১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণু হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (মতিঝিল) বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলায় জড়িত ১৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একজন পলাতক রয়েছে। অন্য চারজন অভিযুক্তের (আলিফ, টোকাই মারুফ, সুমন ও আকলিমা) পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের অভিযুক্ত করা যায়নি। ঘটনায় জড়িত কিন্তু অব্যাহতিপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হলে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন অভিযুক্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতাকৃত অভিযুক্তরা হলোÑ ১. মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), ২. রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), ৩. আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ ম-ল (৫০), ৪. কামাল হোসেন (৪০), ৫. মো. শাহিন (৩২), ৬. মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), ৭. মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), ৮. মুরাদ মিয়া (২৬), ৯. সোহেল রানা (৩০), ১০. আসাদুল ইসলাম (২২), ১১. বিল্লাল মোল্লা (৩২) ও ১২. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩)। উপ-কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, দুইজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তারা হলোÑ মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭) ও ওয়াসিম ওরফে মো. অসিম আহম্মদ (১৪)। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো হয়েছে মো. মহিউদ্দিনকে (১৮)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ভিকটিম তাছলিমা বেগম রেণু তার ছেলে তাসিন আল মাহির ও মেয়ে তাসমিন তুবাকে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোনের ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭

গণপিটুনিতে রেণু হত্যা

১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণু হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (মতিঝিল) বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলায় জড়িত ১৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একজন পলাতক রয়েছে। অন্য চারজন অভিযুক্তের (আলিফ, টোকাই মারুফ, সুমন ও আকলিমা) পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের অভিযুক্ত করা যায়নি। ঘটনায় জড়িত কিন্তু অব্যাহতিপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ কিংবা গ্রেফতার করা সম্ভব হলে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন অভিযুক্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতাকৃত অভিযুক্তরা হলোÑ ১. মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), ২. রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), ৩. আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ ম-ল (৫০), ৪. কামাল হোসেন (৪০), ৫. মো. শাহিন (৩২), ৬. মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), ৭. মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), ৮. মুরাদ মিয়া (২৬), ৯. সোহেল রানা (৩০), ১০. আসাদুল ইসলাম (২২), ১১. বিল্লাল মোল্লা (৩২) ও ১২. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩)। উপ-কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, দুইজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তারা হলোÑ মো. জাফর হোসেন পাটোয়ারী (১৭) ও ওয়াসিম ওরফে মো. অসিম আহম্মদ (১৪)। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো হয়েছে মো. মহিউদ্দিনকে (১৮)।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ভিকটিম তাছলিমা বেগম রেণু তার ছেলে তাসিন আল মাহির ও মেয়ে তাসমিন তুবাকে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোনের ছেলে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।