দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম তার প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া ডান হাতের আঙুল নাড়াতে শুরু করেছেন। এটা তার শারীরিক অবস্থার অনেক বড় উন্নতি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তিনি অনেকখানি ইমপ্রুভ করেছেন বলে জানান, ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন। গতকাল ইউএনও ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসা এবং তার উন্নতির বিষয়ে জানতে চাইলে এমনটাই জানান তিনি।
ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, তিনি আগের চেয়ে অনেকখানি ইমপ্রুভ করেছেন। ডান হাতের আঙুলগুলো নাড়াচ্ছেন, যদিও এখনও পুরো হাত নয়। তার মানে আমরা বলতে পারি, হাতের আঙুল নাড়াচ্ছেন মানে ইমপ্রুভমেন্ট আসছে। আগে যে হাত প্যারালাইজড ছিল, তিনি সেই ডান হাতের আঙুল নাড়াচ্ছেন-এটা একটা গ্রেট নিউজ। তাই আমরা আরেকটু আশাবাদী হচ্ছি। কারণ তার ডান হাতে শক্তি আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আরও আগে থেকেই তার জ্ঞানের মাত্রা ভালো ছিল। স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। কথা বলছিলেন ধীরে ধীরে। হালকা খাবারও খাচ্ছিলেন। এখনও এইচডিইউতে (হাই-ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে) আছেন নাকি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে- জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, কেবিনে স্থানান্তর করিনি। কারণ অনেক দর্শণার্থীর একটা বিষয় রয়েছে। তাই কেবিনে একটু ধীরে সুস্থে নিতে চাচ্ছি আমরা।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমান তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম তার প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া ডান হাতের আঙুল নাড়াতে শুরু করেছেন। এটা তার শারীরিক অবস্থার অনেক বড় উন্নতি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তিনি অনেকখানি ইমপ্রুভ করেছেন বলে জানান, ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন। গতকাল ইউএনও ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসা এবং তার উন্নতির বিষয়ে জানতে চাইলে এমনটাই জানান তিনি।
ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, তিনি আগের চেয়ে অনেকখানি ইমপ্রুভ করেছেন। ডান হাতের আঙুলগুলো নাড়াচ্ছেন, যদিও এখনও পুরো হাত নয়। তার মানে আমরা বলতে পারি, হাতের আঙুল নাড়াচ্ছেন মানে ইমপ্রুভমেন্ট আসছে। আগে যে হাত প্যারালাইজড ছিল, তিনি সেই ডান হাতের আঙুল নাড়াচ্ছেন-এটা একটা গ্রেট নিউজ। তাই আমরা আরেকটু আশাবাদী হচ্ছি। কারণ তার ডান হাতে শক্তি আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আরও আগে থেকেই তার জ্ঞানের মাত্রা ভালো ছিল। স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। কথা বলছিলেন ধীরে ধীরে। হালকা খাবারও খাচ্ছিলেন। এখনও এইচডিইউতে (হাই-ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে) আছেন নাকি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে- জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, কেবিনে স্থানান্তর করিনি। কারণ অনেক দর্শণার্থীর একটা বিষয় রয়েছে। তাই কেবিনে একটু ধীরে সুস্থে নিতে চাচ্ছি আমরা।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমান তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনও ওয়াহিদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।