রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল মামলার বাদী গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক এসএম গাফফারুল আলম সাক্ষ্য দেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ।
পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। এছাড়া অবশিষ্ট জেরা ও অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। একই আদালত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাহেদ করিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
চার্জশিটে বলা হয়, অস্ত্রটি আসামি সাহেদের কেনা। তবে সেটি অবৈধ। অস্ত্রটি কেনার পর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এজন্য ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় কোন হাতের ছাপ আসেনি। মামলার তদন্ত কালে প্রমাণিত হয়েছে, আসামি সাহেদ অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলি তার নিজ দখলে রেখেছে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড চলাকালীন অবস্থায় সাহেবকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দুটি মামলা করে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড চলাকালীন সাহেদ করিমকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।
এর আগে গত ৬ জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুই শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই দিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন ভ্রাম?্যমাণ আদালত। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২১ মহররম ১৪৪২, ২৩ ভাদ্র ১৪২৭
আদালত বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল মামলার বাদী গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক এসএম গাফফারুল আলম সাক্ষ্য দেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ।
পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা করেন। এছাড়া অবশিষ্ট জেরা ও অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। একই আদালত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাহেদ করিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
চার্জশিটে বলা হয়, অস্ত্রটি আসামি সাহেদের কেনা। তবে সেটি অবৈধ। অস্ত্রটি কেনার পর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এজন্য ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় কোন হাতের ছাপ আসেনি। মামলার তদন্ত কালে প্রমাণিত হয়েছে, আসামি সাহেদ অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলি তার নিজ দখলে রেখেছে। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড চলাকালীন অবস্থায় সাহেবকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দুটি মামলা করে।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। রিমান্ড চলাকালীন সাহেদ করিমকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।
এর আগে গত ৬ জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুই শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই দিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন ভ্রাম?্যমাণ আদালত। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।