মহাসড়ক সম্প্রসারণে ভূমি অধিগ্রহণ আতঙ্কে ৪০ সংখ্যালঘু পরিবার

চট্টগ্রামের ৪০টি সংখ্যালঘু পরিবার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রমে জেলার পটিয়ার ভাটিখাইন করল গ্রামস্থ মোহনানন্দ সেবাশ্রম ও এসব সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘর বিলীন হওয়ার ধারণায় প্রতিনিয়ত আজানা আতঙ্কে তাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।

জানা গেছে, পটিয়ার বাক সরলীকরণ সড়কের প্রস্তাবিত পূর্ববর্তী এলাইন্টমেন্টের ওপর প্রতিষ্ঠিত ওই সেবাশ্রম ও ৪০টি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে প্রণয়ন করায় তাদের মাঝে এমন আতঙ্কের চাপ দেখা গেছে। এর আগে ওই সেবাশ্রমটি রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ সামশুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে করল নাথ পাড়ায় ও আশ্রমসংলগ্ন এলাকায় নকশা পরিবর্তন করে আশ্রমের উত্তর পাশে নতুন নকশা প্রণয়নে প্রকল্প কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। নির্দেশনা মোতাবেক আশ্রম থেকে ৯ ফুট উত্তর দিকে সরলীকরণ সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ‘চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতাধীন মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলছে। ওই সড়লীকরণ সড়ক নির্মাণে সেবাশ্রম ও নাথ পাড়ার পরিবারগুলো রক্ষার্থে যে অংশটুকু বাতিল করা হয়েছে তা পুনরায় অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এতে আশ্রম উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু পরিবারগুলো তাদের ভিটেবাড়ি হারাবে বলে তারা জানান।

মোহনানন্দ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুভাষানন্দ অবধূত বলেন, ওই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ যদি আশ্রমের উত্তরাংশে লোকালয়বিহীন খালি জায়গা দিয়ে হয় তাহলে আশ্রম ও ৪০টি পরিবার উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এদিকে মোহনানন্দ সেবাশ্রম ও ৪০টি হিন্দু পরিবার রক্ষার্থে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ। বাক সরলীকরণ সড়কের প্রস্তাবিত পূর্ববর্তী এলাইন্টমেন্টের ওপর প্রতিষ্ঠিত সেবাশ্রম ও ৪০টি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে প্রণয়ন করায় তা রক্ষার্থে আশ্রম পরিচালনা কমিটি ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

চট্টগ্রাম

মহাসড়ক সম্প্রসারণে ভূমি অধিগ্রহণ আতঙ্কে ৪০ সংখ্যালঘু পরিবার

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের ৪০টি সংখ্যালঘু পরিবার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রমে জেলার পটিয়ার ভাটিখাইন করল গ্রামস্থ মোহনানন্দ সেবাশ্রম ও এসব সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘর বিলীন হওয়ার ধারণায় প্রতিনিয়ত আজানা আতঙ্কে তাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।

জানা গেছে, পটিয়ার বাক সরলীকরণ সড়কের প্রস্তাবিত পূর্ববর্তী এলাইন্টমেন্টের ওপর প্রতিষ্ঠিত ওই সেবাশ্রম ও ৪০টি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে প্রণয়ন করায় তাদের মাঝে এমন আতঙ্কের চাপ দেখা গেছে। এর আগে ওই সেবাশ্রমটি রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ সামশুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে করল নাথ পাড়ায় ও আশ্রমসংলগ্ন এলাকায় নকশা পরিবর্তন করে আশ্রমের উত্তর পাশে নতুন নকশা প্রণয়নে প্রকল্প কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। নির্দেশনা মোতাবেক আশ্রম থেকে ৯ ফুট উত্তর দিকে সরলীকরণ সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ‘চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতাধীন মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলছে। ওই সড়লীকরণ সড়ক নির্মাণে সেবাশ্রম ও নাথ পাড়ার পরিবারগুলো রক্ষার্থে যে অংশটুকু বাতিল করা হয়েছে তা পুনরায় অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এতে আশ্রম উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু পরিবারগুলো তাদের ভিটেবাড়ি হারাবে বলে তারা জানান।

মোহনানন্দ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সুভাষানন্দ অবধূত বলেন, ওই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ যদি আশ্রমের উত্তরাংশে লোকালয়বিহীন খালি জায়গা দিয়ে হয় তাহলে আশ্রম ও ৪০টি পরিবার উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এদিকে মোহনানন্দ সেবাশ্রম ও ৪০টি হিন্দু পরিবার রক্ষার্থে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ। বাক সরলীকরণ সড়কের প্রস্তাবিত পূর্ববর্তী এলাইন্টমেন্টের ওপর প্রতিষ্ঠিত সেবাশ্রম ও ৪০টি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে প্রণয়ন করায় তা রক্ষার্থে আশ্রম পরিচালনা কমিটি ও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।