বাংলাদেশে ৪২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে চীনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা হবে

১ লাখ ১০ হাজার ভ্যাকসিন দেবে ফ্রি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকায় কয়েকটি হাসপাতালে ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে চীনা ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হবে।

গতকাল মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বমঞ্চে চীনের নেতৃত্বের আসনে যাওয়ার অভিলাষ ও নানামুখী তৎপরতার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নির্বাহী পরিচালক ডা. জন ডি. ক্লেমেন্স বলেন, বেইজিংভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সিনোভ্যাক বায়োটেক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাবে। চীনা এই কোম্পানি বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ডোজ দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সহায়তা করছে আইসিডিডিআরবি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, প্যাটেন্ট এবং মুনাফার কারণে যদি বিশ্বের একজন মানুষও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে এটি হবে এই শতাব্দির সবচেয়ে অবিচার।

২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এরপর ভাইরাসটি বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুই কোটি ৮৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত ও ৯ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। মহামারীর তাণ্ডব অব্যাহত থাকলেও রাশিয়া ছাড়া কোন দেশই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনতে পারেনি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এখনও নেতৃত্বের আসনে রয়েছে চীন। দেশটির অন্তত চারটি ভ্যাকসিন শেষ ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে, যা বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে বেশি।

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

বাংলাদেশে ৪২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে চীনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা হবে

১ লাখ ১০ হাজার ভ্যাকসিন দেবে ফ্রি

সংবাদ ডেস্ক |

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকায় কয়েকটি হাসপাতালে ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে চীনা ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হবে।

গতকাল মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বমঞ্চে চীনের নেতৃত্বের আসনে যাওয়ার অভিলাষ ও নানামুখী তৎপরতার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নির্বাহী পরিচালক ডা. জন ডি. ক্লেমেন্স বলেন, বেইজিংভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সিনোভ্যাক বায়োটেক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাবে। চীনা এই কোম্পানি বাংলাদেশকে বিনামূল্যে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ডোজ দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সহায়তা করছে আইসিডিডিআরবি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, প্যাটেন্ট এবং মুনাফার কারণে যদি বিশ্বের একজন মানুষও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে এটি হবে এই শতাব্দির সবচেয়ে অবিচার।

২০১৯ সালে ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এরপর ভাইরাসটি বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুই কোটি ৮৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত ও ৯ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। মহামারীর তাণ্ডব অব্যাহত থাকলেও রাশিয়া ছাড়া কোন দেশই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনতে পারেনি। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এখনও নেতৃত্বের আসনে রয়েছে চীন। দেশটির অন্তত চারটি ভ্যাকসিন শেষ ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে, যা বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে বেশি।