একদিনে করোনায় মৃত্যু আরও ৩৪ জন

শনাক্ত ১৭৯২

সারাদেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ায় চার হাজার ৬৬৮ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৯২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী নয়জন। ৩৪ জনের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯৪টি করোনা পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৯৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৪৭টি। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯২ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনে। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার ৭৫৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪৭৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জনে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৬৩৮ জন (৭৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৩০ জন (২২ দশমিক বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৬ জন রয়েছেন। বিভাগ অনুযায়ী, ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় তিনজন, ব?রিশা?লে দুইজন, সিলেটে একজন এবং রংপুর বিভাগে তিনজন রয়েছেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। ১২ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছায় সাড়ে তিন হাজারে। তারপর ১৩ দিনের মাথায় ২৫ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকায় আরও ৫০০ নাম যোগ হতে সেই ১৩ দিনই লাগে। অর্থাৎ গতকাল ১১ সেপ্টম্বরে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৬৬৮ জনে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনসংখ্যার অনুপাতে নমুনা পরীক্ষাও কম হচ্ছে। এতে প্রত্যন্ত গ্রামে ও শহরের কিছু অঞ্চলে সন্দেহভাজন অনেকে পরীক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। আবার সংক্রমণ ঠেকানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে প্রায় সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদদের আশঙ্কা, একটি দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস। করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমণের পর লক্ষণ দেখা দিতে পারে এক থেকে ১৪ দিনের মধ্যে। কিন্তু লক্ষণ স্পষ্ট হওয়ার আগেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মানুষ থেকে মানুষে। আর এ কারণেই বিশ্বে এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ২১৮টি দেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকরী কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোন চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৯ হাজার পেরিয়ে গেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২২ মহররম ১৪৪২, ২৪ ভাদ্র ১৪২৭

একদিনে করোনায় মৃত্যু আরও ৩৪ জন

শনাক্ত ১৭৯২

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

সারাদেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ায় চার হাজার ৬৬৮ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৯২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জন মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী নয়জন। ৩৪ জনের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯৪টি করোনা পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৯৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৭৪৭টি। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯২ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনে। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার ৭৫৮টি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪৭৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জনে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৬৩৮ জন (৭৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৩০ জন (২২ দশমিক বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৬ জন রয়েছেন। বিভাগ অনুযায়ী, ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় তিনজন, ব?রিশা?লে দুইজন, সিলেটে একজন এবং রংপুর বিভাগে তিনজন রয়েছেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। ১২ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছায় সাড়ে তিন হাজারে। তারপর ১৩ দিনের মাথায় ২৫ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকায় আরও ৫০০ নাম যোগ হতে সেই ১৩ দিনই লাগে। অর্থাৎ গতকাল ১১ সেপ্টম্বরে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৬৬৮ জনে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনসংখ্যার অনুপাতে নমুনা পরীক্ষাও কম হচ্ছে। এতে প্রত্যন্ত গ্রামে ও শহরের কিছু অঞ্চলে সন্দেহভাজন অনেকে পরীক্ষার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। আবার সংক্রমণ ঠেকানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে প্রায় সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদদের আশঙ্কা, একটি দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস। করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমণের পর লক্ষণ দেখা দিতে পারে এক থেকে ১৪ দিনের মধ্যে। কিন্তু লক্ষণ স্পষ্ট হওয়ার আগেই এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মানুষ থেকে মানুষে। আর এ কারণেই বিশ্বে এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ২১৮টি দেশে নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকরী কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোন চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৮১ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৯ হাজার পেরিয়ে গেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।