ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দিতে আরও এক প্রস্তাব

এবারের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে স্থীরভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষই নির্বাচনী দল হিসেবে স্বস্তিতে নেই। সেক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারে মনোনীত হওয়া তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নিয়েও অনুমান করা কঠিন। তারপরও ২০২১-এ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে মনোনীত করতে ২য় বারের মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্য ওয়াল স্টিট জার্নাল।

কসোভো ও সার্বিয়ায় শান্তি চুক্তির আওতায় আনতে ভূমিকা রাখায় পুরস্কারটির জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছেন সুইডেনের আইনপ্রণেতা ম্যাগনাস জ্যাকবসন। ট্রাম্পকে ২য় মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়ে জ্যাকবসন গত শুক্রবার টুইট বার্তায় বলেন, ‘হোয়াইট হাউজে স্বাক্ষরিত শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যৌথ চুক্তির জন্য ট্রাম্প প্রশাসন, সার্বিয়া এবং কসোভোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে মনোনীত করার প্রস্তাব দিয়েছি। বাণিজ্য এবং যোগাযোগ শান্তির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।’ এ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করে ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘ট্রাম্প পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। সামনের বছর পুরস্কারটির জন্য তারই মনোনীত হওয়া উচিত।’

নোবেল প্রাইজ.ওআরজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর পরের বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ থাকে। তবে কেউ নিজেকে মনোনয়ন দিতে পারেন না।

গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানায় ২০১৮-এর অক্টোবরে খাশোগির আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি যুবরাজকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন বলে ট্রাম্প দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেছিলেন।

খাশোগি হত্যার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হট্টগোল লাগিয়ে দেয়া নিয়ে উডওয়ার্ডের বইয়ে ট্রাম্পের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, আমি তাকে রক্ষা করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। এসব ঘটনার অন্তরালের হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনের মাঠে ভীতি সঞ্চার করলেও নির্বাচনে তার জয় নিশ্চিত হবে এমনটাও বলা যাচ্ছে না।

ওয়াশিংটন পোস্টের এ কলাম লেখক তার বিয়ে সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। ৫৯ বছর বয়সী এ সাংবাদিক কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন। সৌদি যুবরাজের সমালোচক এ সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন।বিশেষজ্ঞগণ বলছেন-নির্বাচন নিয়ে নানাবিধ উদ্বেগ উৎকন্ঠায় জনমতে এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্পের পুননির্বাচিত হওয়া দুরহ।

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৩ মহররম ১৪৪২, ২৫ ভাদ্র ১৪২৭

ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দিতে আরও এক প্রস্তাব

এবারের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে স্থীরভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষই নির্বাচনী দল হিসেবে স্বস্তিতে নেই। সেক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারে মনোনীত হওয়া তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে ট্রাম্পের জয়-পরাজয় নিয়েও অনুমান করা কঠিন। তারপরও ২০২১-এ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে মনোনীত করতে ২য় বারের মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্য ওয়াল স্টিট জার্নাল।

কসোভো ও সার্বিয়ায় শান্তি চুক্তির আওতায় আনতে ভূমিকা রাখায় পুরস্কারটির জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছেন সুইডেনের আইনপ্রণেতা ম্যাগনাস জ্যাকবসন। ট্রাম্পকে ২য় মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়ে জ্যাকবসন গত শুক্রবার টুইট বার্তায় বলেন, ‘হোয়াইট হাউজে স্বাক্ষরিত শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যৌথ চুক্তির জন্য ট্রাম্প প্রশাসন, সার্বিয়া এবং কসোভোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে মনোনীত করার প্রস্তাব দিয়েছি। বাণিজ্য এবং যোগাযোগ শান্তির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।’ এ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করে ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সংঘাত নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘ট্রাম্প পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। সামনের বছর পুরস্কারটির জন্য তারই মনোনীত হওয়া উচিত।’

নোবেল প্রাইজ.ওআরজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর পরের বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ থাকে। তবে কেউ নিজেকে মনোনয়ন দিতে পারেন না।

গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানায় ২০১৮-এর অক্টোবরে খাশোগির আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি যুবরাজকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন বলে ট্রাম্প দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেছিলেন।

খাশোগি হত্যার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হট্টগোল লাগিয়ে দেয়া নিয়ে উডওয়ার্ডের বইয়ে ট্রাম্পের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন, আমি তাকে রক্ষা করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, তাকে ছেড়ে দিতে আমি কংগ্রেসকে পাশে পেয়েছিলাম। যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আমি তাদের থামিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। এসব ঘটনার অন্তরালের হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনের মাঠে ভীতি সঞ্চার করলেও নির্বাচনে তার জয় নিশ্চিত হবে এমনটাও বলা যাচ্ছে না।

ওয়াশিংটন পোস্টের এ কলাম লেখক তার বিয়ে সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। ৫৯ বছর বয়সী এ সাংবাদিক কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন। সৌদি যুবরাজের সমালোচক এ সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন।বিশেষজ্ঞগণ বলছেন-নির্বাচন নিয়ে নানাবিধ উদ্বেগ উৎকন্ঠায় জনমতে এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্পের পুননির্বাচিত হওয়া দুরহ।