শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে কর্মবণ্টনে স্বজনপ্রীতি

তিন প্রকৌশলীর অধীনেই অর্ধশত প্রকল্প পদোন্নতি না হওয়ায় ৩৭ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ শূন্য

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি) কর্মবণ্টনে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পুরো সংস্থার প্রায় অর্ধেক প্রকল্প ও কাজই তিনজন প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণে। সংস্থার ৬৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের ৩৭টিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর (জোন প্রধান) পদ শূন্য; যার ফলে থাকায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ কাজের তদারকি। ওইসব পদ পূরণের কোন উদ্যোগ না নিয়ে পছন্দের প্রকৌশলীদের দুটি বা তিনটি জোনের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সংস্থার ‘খুলনা সার্কেল’-এ (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) কাউকে পদায়ন না করে ওই পদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রধান কার্যালয়ের এক প্রকৌশলীকে। সংস্থা প্রধান নিজেও অধীনস্থদের পদোন্নতি না দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের পদোন্নতি নিয়ে ব্যস্ত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার দু’জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ইইডি’তে ফিডার পদে কেউ (সহকারী প্রকৌশলী থেকে) নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য নন। ওই পদে পদোন্নতি পেতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সাত বছর দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। বর্তমানে ৯৯ জন সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং ৪০ জন সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কর্মরত আছেন; যাদের চাকরির বয়স সাড়ে চার বছর পূর্ণ হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায়, এই ১৩৯ জন বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীর পাশাপাশি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্য থেকেও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেয়া যায়। তাদের মধ্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে তাদের জোন অফিসগুলোতে নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দেয়া যায়।

এ ব্যাপারে ইইডি’র ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘নিচের পদ ফাঁকা থাকবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে; এটা কোন যুক্তি হতে পারে না। শূন্য পদগুলো পূরণ করা প্রয়োজন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতি হলে ৫/৭ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। আমরা অবিলম্বে এই পদোন্নতি চাই।’ কিন্তু ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) সবার পদোন্নতির উদ্যোগ না নিয়ে সম্প্রতি নিজের পছন্দের ৪/৫ জন সহকারী প্রকৌশলীকে পদোন্নতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠালে তা নাকচ হয়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে পছন্দের দু’চারজনকে পদোন্নতি দেয়া হলে মাঠ প্রশাসনে অসন্তোষ আরও বাড়বে।’

নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বেলায়েত হোসেন তালুকদার সংবাদকে বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলীদের অনেক জেলায় পদ (কর্মকর্তা) নেই; কারেন্ট চার্জ (চলতি দায়িত্ব) দিয়ে চলছে। এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। পদোন্নতির ব্যাপার আছে; তবে কোন কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’

খসড়া বিধিমালায় প্রমার্জন নিয়ে বিতর্ক

বুলবুল আখতার চলতি দায়িত্ব থেকে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পেতে গত ২৮ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদনপত্র পাঠান। ‘প্রধান প্রকৌশলী পদে (গ্রেড-২) পদোন্নতি প্রদানের নিমিত্ত ফিডার পদে অপূর্ণ চাকরিকাল প্রমার্জনের আবেদন’ শীর্ষক চিঠিতে তিনি বলেন, তাকে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রধান প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক (২২ আগস্ট থেকে) প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান প্রকৌশলীর পদটি নন-ক্যাডার এবং ২য় গ্রেডভুক্ত। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী (ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট) নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯৬’ এর বিদ্যমান নিয়োগ বিধিমালায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদটি অন্তর্ভুক্ত নেই। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ নবসৃষ্ট অনান্য পদ অন্তর্ভুক্তপূর্বক বিদ্যমান নিয়োগবিধিটি সংশোধনের নিমিত্তে সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য অপেক্ষমান। উক্ত খসড়া নিয়োগ বিধিমালায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির জন্য ২ বছর চাকরির শর্ত রয়েছে।’

কিন্তু ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার স্বাক্ষরিত ‘বাংলাদেশ গেজেট’এ বলা হয়েছে, ‘প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।’

প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ইইডিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর একটি পদ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তিনটি পদ রয়েছে। এছাড়াও প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাতটি পদ থাকলেও দুটি পদ শূন্য রয়েছে। আবার সিনিয়র প্রকৌশলীদের কোন প্রকল্পের দায়িত্ব না দিয়ে পছন্দের প্রকৌশলীদের ২২টি থেকে ২৭টি প্রকল্পের দায়িত্ব পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এই বৈষম্য, স্বজনপ্রীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ১৬টি প্রকল্পসহ ইইডির অধীনে প্রায় অর্ধশত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে।

শিক্ষা সচিবের নির্দেশে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হন ইইডি; যা দেখে রীতিমত বিস্মিত হন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তারা। শীর্ষ কর্মকর্তার পছন্দের তিনজনের কাছে অস্বাভাবিক বেশি উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব দেয়া হলেও অন্য প্রকৌশলীদের নামমাত্র কাজের দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ওই তিন কর্মকর্তা মাত্রাতিরিক্ত কাজের ভারে নূব্জ্য থাকায় শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নের পুরো কাজই স্থবির হয়ে পড়ছে।

ইইডি’র চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার গত ২৫ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ইইডি’র ‘কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মবণ্টন’ তালিকা জমা দেন। ওই তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পুরো সংস্থার প্রায় অর্ধেক উন্নয়ন কাজই দু’জন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণে। এই তিনজনই প্রধান কার্যালয়ের সবচেয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তা। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের বদলির হুমকি দিয়ে ওই তিনজনকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ইইডি, যেখানে তাদের কারও চাকরির বয়স একবছর হয়নি।

এই তিন প্রকৌশলীর একজনের বিরুদ্ধে দু’তিন বছর আগে কক্সবাজারে একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণে বড় ধরনের দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছিল, পরবর্তীতে তাকে শাস্তিমূলক বদলিও করা হয়েছিল। অপর একজনের বিরুদ্ধেও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নি¤œমানের অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে ওই প্রকৌশলীকে কুমিল্লা থেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছিল। অপর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ইইডিতে সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচারণ, অসাধু ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা ও ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতারের সঙ্গে সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি তা ধরেননি।

ইইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমীর কুমার রজক দাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ২৭টি প্রকল্প। ২৭ প্রকল্পের কয়েকটি হলো- ‘৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি’, ‘সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘৯টি সরকারি কলেজ স্থাপন’, ‘বিদ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন’, ‘জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন’, ‘জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন’, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’, ‘হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’, ‘ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘নির্বাচিত ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘ন্যাশনাল একাডেমিক ফর অটিজম অ্যান্ড নিওরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটি’, ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্প।

অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘সুনামগঞ্জ জেলায় ৩টি বেসরকারি কলেজ উন্নয়ন’, ‘গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও রাজবাড়ী জেলায় ৩টি বেসরকারি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘নোয়াখালী ও ফেনীতে ২টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘রাজস্ব খাতের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার (৭০১৬)’, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবাসিক ভবন নির্মাণ’, ‘কলেজবিহীন ৫ উপজেলায় সরকারি কলেজ স্থাপন’, ‘১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন’, ‘নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন (১৮০০টি)’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’, ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলায় ৩টি কলেজের উন্নয়ন’, ‘সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (২০০টি)’, ‘সদর দফতর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে ইইডি শক্তিশালীকরণ’, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন’ এবং ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প।

নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ছয়টি প্রকল্প ও একটি সংস্থা। ছয় প্রকল্প হলো- ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’, ‘টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট লি. এর আওতাধীন ভারতেশ^রী হোমসের প্রকল্প’, ‘মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ এবং ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। একইসঙ্গে আইএমইডি’র ইইডি’র কার্যক্রম সমন্বয় করেন রফিকুল ইসলাম।

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে কর্মবণ্টনে স্বজনপ্রীতি

তিন প্রকৌশলীর অধীনেই অর্ধশত প্রকল্প পদোন্নতি না হওয়ায় ৩৭ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ শূন্য

রাকিব উদ্দিন

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি) কর্মবণ্টনে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পুরো সংস্থার প্রায় অর্ধেক প্রকল্প ও কাজই তিনজন প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণে। সংস্থার ৬৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের ৩৭টিতে নির্বাহী প্রকৌশলীর (জোন প্রধান) পদ শূন্য; যার ফলে থাকায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ কাজের তদারকি। ওইসব পদ পূরণের কোন উদ্যোগ না নিয়ে পছন্দের প্রকৌশলীদের দুটি বা তিনটি জোনের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সংস্থার ‘খুলনা সার্কেল’-এ (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) কাউকে পদায়ন না করে ওই পদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়া হয়েছে প্রধান কার্যালয়ের এক প্রকৌশলীকে। সংস্থা প্রধান নিজেও অধীনস্থদের পদোন্নতি না দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের পদোন্নতি নিয়ে ব্যস্ত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার দু’জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ইইডি’তে ফিডার পদে কেউ (সহকারী প্রকৌশলী থেকে) নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য নন। ওই পদে পদোন্নতি পেতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সাত বছর দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। বর্তমানে ৯৯ জন সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং ৪০ জন সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কর্মরত আছেন; যাদের চাকরির বয়স সাড়ে চার বছর পূর্ণ হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায়, এই ১৩৯ জন বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীর পাশাপাশি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্য থেকেও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দেয়া যায়। তাদের মধ্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে তাদের জোন অফিসগুলোতে নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দেয়া যায়।

এ ব্যাপারে ইইডি’র ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘নিচের পদ ফাঁকা থাকবে বলে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে; এটা কোন যুক্তি হতে পারে না। শূন্য পদগুলো পূরণ করা প্রয়োজন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতি হলে ৫/৭ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। আমরা অবিলম্বে এই পদোন্নতি চাই।’ কিন্তু ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) সবার পদোন্নতির উদ্যোগ না নিয়ে সম্প্রতি নিজের পছন্দের ৪/৫ জন সহকারী প্রকৌশলীকে পদোন্নতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠালে তা নাকচ হয়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে পছন্দের দু’চারজনকে পদোন্নতি দেয়া হলে মাঠ প্রশাসনে অসন্তোষ আরও বাড়বে।’

নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বেলায়েত হোসেন তালুকদার সংবাদকে বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলীদের অনেক জেলায় পদ (কর্মকর্তা) নেই; কারেন্ট চার্জ (চলতি দায়িত্ব) দিয়ে চলছে। এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। পদোন্নতির ব্যাপার আছে; তবে কোন কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’

খসড়া বিধিমালায় প্রমার্জন নিয়ে বিতর্ক

বুলবুল আখতার চলতি দায়িত্ব থেকে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পেতে গত ২৮ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদনপত্র পাঠান। ‘প্রধান প্রকৌশলী পদে (গ্রেড-২) পদোন্নতি প্রদানের নিমিত্ত ফিডার পদে অপূর্ণ চাকরিকাল প্রমার্জনের আবেদন’ শীর্ষক চিঠিতে তিনি বলেন, তাকে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রধান প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক (২২ আগস্ট থেকে) প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধান প্রকৌশলীর পদটি নন-ক্যাডার এবং ২য় গ্রেডভুক্ত। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী (ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট) নিয়োগ বিধিমালা-১৯৯৬’ এর বিদ্যমান নিয়োগ বিধিমালায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদটি অন্তর্ভুক্ত নেই। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ নবসৃষ্ট অনান্য পদ অন্তর্ভুক্তপূর্বক বিদ্যমান নিয়োগবিধিটি সংশোধনের নিমিত্তে সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য অপেক্ষমান। উক্ত খসড়া নিয়োগ বিধিমালায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির জন্য ২ বছর চাকরির শর্ত রয়েছে।’

কিন্তু ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার স্বাক্ষরিত ‘বাংলাদেশ গেজেট’এ বলা হয়েছে, ‘প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।’

প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ইইডিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর একটি পদ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তিনটি পদ রয়েছে। এছাড়াও প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাতটি পদ থাকলেও দুটি পদ শূন্য রয়েছে। আবার সিনিয়র প্রকৌশলীদের কোন প্রকল্পের দায়িত্ব না দিয়ে পছন্দের প্রকৌশলীদের ২২টি থেকে ২৭টি প্রকল্পের দায়িত্ব পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এই বৈষম্য, স্বজনপ্রীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ১৬টি প্রকল্পসহ ইইডির অধীনে প্রায় অর্ধশত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে।

শিক্ষা সচিবের নির্দেশে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হন ইইডি; যা দেখে রীতিমত বিস্মিত হন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার কর্মকর্তারা। শীর্ষ কর্মকর্তার পছন্দের তিনজনের কাছে অস্বাভাবিক বেশি উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব দেয়া হলেও অন্য প্রকৌশলীদের নামমাত্র কাজের দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ওই তিন কর্মকর্তা মাত্রাতিরিক্ত কাজের ভারে নূব্জ্য থাকায় শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নের পুরো কাজই স্থবির হয়ে পড়ছে।

ইইডি’র চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার গত ২৫ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ইইডি’র ‘কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মবণ্টন’ তালিকা জমা দেন। ওই তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পুরো সংস্থার প্রায় অর্ধেক উন্নয়ন কাজই দু’জন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নিয়ন্ত্রণে। এই তিনজনই প্রধান কার্যালয়ের সবচেয়ে কনিষ্ঠ কর্মকর্তা। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের বদলির হুমকি দিয়ে ওই তিনজনকে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ইইডি, যেখানে তাদের কারও চাকরির বয়স একবছর হয়নি।

এই তিন প্রকৌশলীর একজনের বিরুদ্ধে দু’তিন বছর আগে কক্সবাজারে একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণে বড় ধরনের দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছিল, পরবর্তীতে তাকে শাস্তিমূলক বদলিও করা হয়েছিল। অপর একজনের বিরুদ্ধেও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নি¤œমানের অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে ওই প্রকৌশলীকে কুমিল্লা থেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছিল। অপর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ইইডিতে সহকর্মীদের সঙ্গে অসদাচারণ, অসাধু ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্যতা ও ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতারের সঙ্গে সেলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি তা ধরেননি।

ইইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমীর কুমার রজক দাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ২৭টি প্রকল্প। ২৭ প্রকল্পের কয়েকটি হলো- ‘৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি’, ‘সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘৯টি সরকারি কলেজ স্থাপন’, ‘বিদ্যমান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন’, ‘জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজসমূহের উন্নয়ন’, ‘জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন’, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’, ‘হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’, ‘ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘নির্বাচিত ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন’, ‘ন্যাশনাল একাডেমিক ফর অটিজম অ্যান্ড নিওরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটি’, ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’ প্রকল্প।

অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘সুনামগঞ্জ জেলায় ৩টি বেসরকারি কলেজ উন্নয়ন’, ‘গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও রাজবাড়ী জেলায় ৩টি বেসরকারি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘নোয়াখালী ও ফেনীতে ২টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘রাজস্ব খাতের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার (৭০১৬)’, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন’, ‘তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবাসিক ভবন নির্মাণ’, ‘কলেজবিহীন ৫ উপজেলায় সরকারি কলেজ স্থাপন’, ‘১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন’, ‘নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন (১৮০০টি)’, ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’, ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলায় ৩টি কলেজের উন্নয়ন’, ‘সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (২০০টি)’, ‘সদর দফতর ও জেলা কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে ইইডি শক্তিশালীকরণ’, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন’ এবং ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প।

নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ছয়টি প্রকল্প ও একটি সংস্থা। ছয় প্রকল্প হলো- ‘২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন’, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন’, ‘টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট লি. এর আওতাধীন ভারতেশ^রী হোমসের প্রকল্প’, ‘মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ এবং ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। একইসঙ্গে আইএমইডি’র ইইডি’র কার্যক্রম সমন্বয় করেন রফিকুল ইসলাম।