অনুসন্ধানে দুদক
ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল দেখিয়ে পরিবার পরিকল্পা অধিদফতরের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের দুই উপ-পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু রেকর্ডপত্র মিলেছে ।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর তাদের তলব করে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেনÑ পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (পিএম) জাকিয়া আখতার ও উপ-পরিচালক (স্থানীয় সংগ্রহ) আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নূরী। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেসার্স রুহী এন্টার প্রাইজের মালিক মোশতাক আহমেদ রুহীকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক একেএম রোকনুজ্জামান ও গবেষণা কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দত্তকে ১৪ এবং পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছাকে ১৫ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা কথা রয়েছে। এর আগে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা সুকর্ন ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফাইজুল হককে গত ২৬ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিট’র সারাদেশে ৪৮৬টি ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করে। কর্মশালায় অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ভাতা ও যাতায়াত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সই জাল করে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। অধিদফতরের ‘আইইএম ইউনিট’র ইউনাইটেড নেশন পপুলেশন ফান্ড খাতে বরাদ্দ ছিল (২০১৯ সালে) ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ওই টাকা কোন কাজ না করেই অগ্রণী ব্যাংক, ওয়াসা ভবন শাখা থেকে তোলা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৯টি কোটেশনের বিল দেয়া হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ওই বছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছার ভাগ্নের মালিকানাধীন ‘রুহী এন্টার প্রাইজ’ কোন কাজ না করে ৮৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন হয়। অন্যদিকে কাজ না করেই তার আপন চাচাতো ভাইয়ের মালিকানাধীন ‘সুকর্ন এন্টার প্রাইজ’কে ১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়ে বিল উত্তোলন হয়েছে। ‘রুহী এন্টার প্রাইজ’ ও ‘সুকর্ন এন্টার প্রাইজ’র নামে বরাদ্দ ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা উত্তরা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার মাধ্যমে তোলা হয়েছে।
সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৪ মহররম ১৪৪২, ২৬ ভাদ্র ১৪২৭
অনুসন্ধানে দুদক
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া বিল দেখিয়ে পরিবার পরিকল্পা অধিদফতরের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের দুই উপ-পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু রেকর্ডপত্র মিলেছে ।
দুদক সূত্র জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর তাদের তলব করে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেনÑ পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (পিএম) জাকিয়া আখতার ও উপ-পরিচালক (স্থানীয় সংগ্রহ) আবু তাহের মো. সানাউল্লাহ নূরী। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেসার্স রুহী এন্টার প্রাইজের মালিক মোশতাক আহমেদ রুহীকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক একেএম রোকনুজ্জামান ও গবেষণা কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দত্তকে ১৪ এবং পরিচালক (আইইএম) ড. আশরাফুন্নেছাকে ১৫ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা কথা রয়েছে। এর আগে সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা সুকর্ন ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফাইজুল হককে গত ২৬ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিট’র সারাদেশে ৪৮৬টি ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করে। কর্মশালায় অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী ভাতা ও যাতায়াত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সই জাল করে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। অধিদফতরের ‘আইইএম ইউনিট’র ইউনাইটেড নেশন পপুলেশন ফান্ড খাতে বরাদ্দ ছিল (২০১৯ সালে) ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ওই টাকা কোন কাজ না করেই অগ্রণী ব্যাংক, ওয়াসা ভবন শাখা থেকে তোলা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩৯টি কোটেশনের বিল দেয়া হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ওই বছরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছার ভাগ্নের মালিকানাধীন ‘রুহী এন্টার প্রাইজ’ কোন কাজ না করে ৮৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন হয়। অন্যদিকে কাজ না করেই তার আপন চাচাতো ভাইয়ের মালিকানাধীন ‘সুকর্ন এন্টার প্রাইজ’কে ১ কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়ে বিল উত্তোলন হয়েছে। ‘রুহী এন্টার প্রাইজ’ ও ‘সুকর্ন এন্টার প্রাইজ’র নামে বরাদ্দ ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা উত্তরা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার মাধ্যমে তোলা হয়েছে।