বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈরে ওয়ালটনকে ৩ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বেসরকারি হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে উক্ত চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হোসনে আরা বেগম এনডিসি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ওয়ালটন দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় একটি নাম। ওয়ালটন বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আসায় অন্য কোম্পানিগুলো উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ৫টি হাইটেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ৩৫৫ একর জমিতে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পার্কগুলোতে বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এর বিপরীতে ২০১৬ সাল থেকেই হাইটেক পার্ক থেকে আয় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। পাশাপাশি ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ১১০টিরও বেশি স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এবং ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ওয়ালটন কারখানাকে প্রাইভেট হাইটেক পার্ক ঘোষণা দেয়ায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম বলেন, যেসব ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশে তৈরি করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারেননি, আমরা সেগুলো তৈরি করে আসছি। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আমরা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবো। পাশাপাশি এখানে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পও স্থাপন করা হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এনএম সফিকুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরী) ফাহমিদা আখতার, উপ-পরিচালক (সংগ্রহ) মো. মাহফুজুল কবীর, ওয়ালটন ল্যাপটপ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৫ মহররম ১৪৪২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৭

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও ওয়ালটনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

image

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, কালিয়াকৈরে ওয়ালটনকে ৩ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বেসরকারি হাইটেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে উক্ত চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হোসনে আরা বেগম এনডিসি বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওয়ালটনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ওয়ালটন দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় একটি নাম। ওয়ালটন বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আসায় অন্য কোম্পানিগুলো উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ৫টি হাইটেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ৩৫৫ একর জমিতে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এখান থেকে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পার্কগুলোতে বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এর বিপরীতে ২০১৬ সাল থেকেই হাইটেক পার্ক থেকে আয় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। পাশাপাশি ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ১১০টিরও বেশি স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এবং ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ওয়ালটন কারখানাকে প্রাইভেট হাইটেক পার্ক ঘোষণা দেয়ায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম বলেন, যেসব ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য বাংলাদেশে তৈরি করার কথা কেউ চিন্তাও করতে পারেননি, আমরা সেগুলো তৈরি করে আসছি। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আমরা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলবো। পাশাপাশি এখানে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পও স্থাপন করা হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এনএম সফিকুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরী) ফাহমিদা আখতার, উপ-পরিচালক (সংগ্রহ) মো. মাহফুজুল কবীর, ওয়ালটন ল্যাপটপ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী লিয়াকত আলীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।