ইইউ লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট মানে না

আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে নিজ দেশে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তাকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করছে না ইইউ। ১৫ সেপ্টেম্বর জোটটির কূটনৈতিক প্রধান জোসেফ বোরেল ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টকে জানায়, বেলারুশের গত ৯ আগস্টের নির্বাচন ছিল প্রতারণাপূর্ণ। এতে জয় পাওয়ার দাবি করে আসছেন লুকাশেঙ্কো। তবে ইইউর কঠোর প্রতিক্রিয়ার আগের দিনই তাকে স্বাগত জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে ক্রমেই বিক্ষোভ জোরালো হচ্ছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম। মেট্রো নিউজ।

গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যম জানিয়েছে গত ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিগত ২৬ বছর ধরে বেলারুশের ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। রোববার দেশটির রাজধানী মিনস্কের রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন অন্তত এক লাখ মানুষ। একই দিন দেশটির আরও বেশ কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। বেলারুশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ৭৭৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু রাজধানী থেকেই গ্রেফতার হয়েছে অন্তত ৫শ’ জন।

বিতর্কিত নির্বাচন ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুর নিপীড়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছেন বেলারুশের নেতা লুকাশেঙ্কো। এ পরিস্থিতিতে বেলারুশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখেন জোটটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, ‘আমাদের কাছে পরিস্থিতি পরিষ্কার। আমরা মনে করি গত ৯ আগস্টের নির্বাচন ছিল প্রতারণাপূর্ণ। লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করি না।’ ২৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, বেলারুশে ভোট জালিয়াতি এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি চলছে। জোসেফ বোরেল জানান, বেলারুশে এখন পর্যন্ত সাত হাজার পাঁচশ’রও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে আর পাঁচ শতাধিক নিপীড়নের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন বেলারুশের বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিরোধিতা করছে সাইপ্রাস। ইইউর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ছে আর সদস্য দেশগুলোকে তিনি বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদনের আহ্বান জানান। দেশটির বিক্ষোভকারীরা তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৭ মহররম ১৪৪২, ২৯ ভাদ্র ১৪২৭

ইইউ লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট মানে না

আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে নিজ দেশে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তাকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করছে না ইইউ। ১৫ সেপ্টেম্বর জোটটির কূটনৈতিক প্রধান জোসেফ বোরেল ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টকে জানায়, বেলারুশের গত ৯ আগস্টের নির্বাচন ছিল প্রতারণাপূর্ণ। এতে জয় পাওয়ার দাবি করে আসছেন লুকাশেঙ্কো। তবে ইইউর কঠোর প্রতিক্রিয়ার আগের দিনই তাকে স্বাগত জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে ক্রমেই বিক্ষোভ জোরালো হচ্ছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম। মেট্রো নিউজ।

গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যম জানিয়েছে গত ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিগত ২৬ বছর ধরে বেলারুশের ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। রোববার দেশটির রাজধানী মিনস্কের রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন অন্তত এক লাখ মানুষ। একই দিন দেশটির আরও বেশ কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। বেলারুশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ৭৭৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু রাজধানী থেকেই গ্রেফতার হয়েছে অন্তত ৫শ’ জন।

বিতর্কিত নির্বাচন ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুর নিপীড়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর সমালোচনার মুখে রয়েছেন বেলারুশের নেতা লুকাশেঙ্কো। এ পরিস্থিতিতে বেলারুশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখেন জোটটির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, ‘আমাদের কাছে পরিস্থিতি পরিষ্কার। আমরা মনে করি গত ৯ আগস্টের নির্বাচন ছিল প্রতারণাপূর্ণ। লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করি না।’ ২৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, বেলারুশে ভোট জালিয়াতি এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি চলছে। জোসেফ বোরেল জানান, বেলারুশে এখন পর্যন্ত সাত হাজার পাঁচশ’রও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে আর পাঁচ শতাধিক নিপীড়নের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন বেলারুশের বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিরোধিতা করছে সাইপ্রাস। ইইউর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ছে আর সদস্য দেশগুলোকে তিনি বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদনের আহ্বান জানান। দেশটির বিক্ষোভকারীরা তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।