বকেয়া বেতনের দাবিতে ড্রাগনের শ্রমিকদের শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও

বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে পাঁচ মাসব্যাপী আন্দোলন করে আসছে ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকরা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় তারা সচিবালয় অবস্থিত শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। শ্রমিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেত হয়ে মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সচিবালয় লিংক রোডে ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। পুলিশের বাধায় শ্রমিকরা লিংক রোডে অবস্থিত সচিবালয় গেটে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ড্রাগন মালিককে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

পুলিশি বাধার মুখে সংঘটিত সমাবেশে গার্মেন্ট টিইউসির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনার নাম করে শ্রমিকদের ঘোরাচ্ছে। তারা এ যাবতকালে অন্তত ৬-৭ বার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেও আইন প্রতিপালনে তাকে বাধ্য করতে সক্ষম হয়নি। তিনি বলেন, ড্রাগন মালিক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বিজিএমইএ’র প্রথম সভাপতি ও অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেউ আগ্রহী নয়। ড্রাগন মালিক শ্রমিকের আইনানুগ পাওনা পরিশোধে সদর্পে অস্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে শিল্প এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার উস্কানি দিচ্ছেন। সমাবেশে আরও বক্তব্যে রাখেন গার্মেন্ট টিইউসি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, শ্রমিক নেতা হযরত আলী, ড্রাগন শ্রমিক রমেসা বেগম, শিল্পী আক্তার, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ২০২০, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে ড্রাগন গ্রুপের দুটি কারখানা ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে কারখানা দুটি কুমিল্লায় স্থানান্তরের নোটিস জারি করা হয়। শ্রমিকরা কুমিল্লায় স্থানান্তরিত না হওয়ার কথা জানিয়ে মালিকপক্ষের কাছে আইনানুগ পাওনা পরিশোধের দাবি জানান। পরবর্তীতে মে মাসে নতুন করে করোনা মহামারীর কারণ উল্লেখ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

বকেয়া বেতনের দাবিতে ড্রাগনের শ্রমিকদের শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে পাঁচ মাসব্যাপী আন্দোলন করে আসছে ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকরা। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় তারা সচিবালয় অবস্থিত শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। শ্রমিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেত হয়ে মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সচিবালয় লিংক রোডে ব্যাপক পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। পুলিশের বাধায় শ্রমিকরা লিংক রোডে অবস্থিত সচিবালয় গেটে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ড্রাগন মালিককে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

পুলিশি বাধার মুখে সংঘটিত সমাবেশে গার্মেন্ট টিইউসির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা আলোচনার নাম করে শ্রমিকদের ঘোরাচ্ছে। তারা এ যাবতকালে অন্তত ৬-৭ বার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেও আইন প্রতিপালনে তাকে বাধ্য করতে সক্ষম হয়নি। তিনি বলেন, ড্রাগন মালিক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বিজিএমইএ’র প্রথম সভাপতি ও অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেউ আগ্রহী নয়। ড্রাগন মালিক শ্রমিকের আইনানুগ পাওনা পরিশোধে সদর্পে অস্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে শিল্প এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার উস্কানি দিচ্ছেন। সমাবেশে আরও বক্তব্যে রাখেন গার্মেন্ট টিইউসি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, শ্রমিক নেতা হযরত আলী, ড্রাগন শ্রমিক রমেসা বেগম, শিল্পী আক্তার, আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ ২০২০, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে ড্রাগন গ্রুপের দুটি কারখানা ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে কারখানা দুটি কুমিল্লায় স্থানান্তরের নোটিস জারি করা হয়। শ্রমিকরা কুমিল্লায় স্থানান্তরিত না হওয়ার কথা জানিয়ে মালিকপক্ষের কাছে আইনানুগ পাওনা পরিশোধের দাবি জানান। পরবর্তীতে মে মাসে নতুন করে করোনা মহামারীর কারণ উল্লেখ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।