মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বিএসএফ বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা বিজিবি’র হাতে ধরা পড়েছে। ঘটনাগুলোর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করছে। গতকাল বিজিবি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট এরকম একাধিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজিবি সদর দফতর থেকে জানানো হয়, বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন এর আনুষ্ঠানিক বৈঠক গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলনকক্ষে শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসাররা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দফদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। বিজিবি সূত্র জানায়, আজ আনুষ্ঠানিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনও আলোচনা রয়েছে কাল সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া/আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম/বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন/ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং হবে।
শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বিএসএফ বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনা বিজিবি’র হাতে ধরা পড়েছে। ঘটনাগুলোর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করছে। গতকাল বিজিবি সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট এরকম একাধিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজিবি সদর দফতর থেকে জানানো হয়, বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন এর আনুষ্ঠানিক বৈঠক গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলনকক্ষে শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালকরা ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসাররা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দফদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। বিজিবি সূত্র জানায়, আজ আনুষ্ঠানিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনও আলোচনা রয়েছে কাল সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া/আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম/বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন/ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং হবে।