যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, দুর্নীতি দূর করতে হবে

মেগা প্রকল্পগুলোর সময় ও ব্যয় দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। সময় ও ব্যয় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজে কাক্সিক্ষত গতি আনা যাচ্ছে না। সরকারের বেশিরভাগ প্রকল্পই যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। সরকারের মেগা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেÑ পদ্মা সেতু, পদ্মা রেলসংযোগ, মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে অনেক প্রকল্পের কাজই বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমেছে। করোনার জন্য যেসব কাজ করা যায়নি তা সম্পন্ন করার জন্য এখন বাড়তি সময় আর অর্থ দুটোই লাগবে। তবে শুধু মহামারীর কারণে যে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি ধীর হয়েছে তা নয়। মহামারীর প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই একেকটি প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। এরপরও কাজে কাক্সিক্ষত গতি আসেনি। যথাসময়ে কাজ করা হলে অনেক প্রকল্পই হয়তো মহামারীর আগেই বাস্তবায়ন করা যেত। দ্রুত ও মানসম্মত কাজ করার জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের যে দক্ষতা ও সক্ষমতা থাকা জরুরি তাদের সেটা আছে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির কথাও শোনা যায়। প্রকল্পের মেয়াদ আর ব্যয় বাড়লে অনিয়ম-দুর্নীতির পথ আরও প্রশস্ত হয়। এ কারণে অনেক প্রকল্প ইচ্ছে করেই ধীর লয়ে বাস্তবায়ন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বা ব্যয় বাড়ানো মানেই জনগণের অর্থের অপচয়। কাজে বিলম্ব ঘটলে প্রকল্পের সুবিধা পেতে জনগণের অপেক্ষাও বাড়ে। মেগা প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হতো। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে গতি আনতে পাশাপাশি কাজের গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের কাজে সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের কাজে লাগাতে হবে। লাগাম টানতে হবে অনিয়ম আর দুর্নীতির।

মহামারী করোনার সংক্রমণের মধ্যেও পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। একইভাবে বাকি প্রকল্পের কাজ চালু রাখা যেত কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে। করোনার সংক্রমণ এখনও থামেনি। এরিমধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। আমরা আশা করব, স্বাস্থবিধি মেনে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজের গতি আনতে হবে। কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে জনগণের ওপর থেকে প্রকল্পের সময় আর ব্যয় বৃদ্ধির বোঝা লাঘব হবে।

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২৮ মহররম ১৪৪২, ৩০ ভাদ্র ১৪২৭

যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, দুর্নীতি দূর করতে হবে

মেগা প্রকল্পগুলোর সময় ও ব্যয় দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। সময় ও ব্যয় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজে কাক্সিক্ষত গতি আনা যাচ্ছে না। সরকারের বেশিরভাগ প্রকল্পই যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। সরকারের মেগা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেÑ পদ্মা সেতু, পদ্মা রেলসংযোগ, মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে অনেক প্রকল্পের কাজই বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমেছে। করোনার জন্য যেসব কাজ করা যায়নি তা সম্পন্ন করার জন্য এখন বাড়তি সময় আর অর্থ দুটোই লাগবে। তবে শুধু মহামারীর কারণে যে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি ধীর হয়েছে তা নয়। মহামারীর প্রাদুর্ভাবের আগে থেকেই একেকটি প্রকল্পের সময় ও ব্যয় দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। এরপরও কাজে কাক্সিক্ষত গতি আসেনি। যথাসময়ে কাজ করা হলে অনেক প্রকল্পই হয়তো মহামারীর আগেই বাস্তবায়ন করা যেত। দ্রুত ও মানসম্মত কাজ করার জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের যে দক্ষতা ও সক্ষমতা থাকা জরুরি তাদের সেটা আছে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির কথাও শোনা যায়। প্রকল্পের মেয়াদ আর ব্যয় বাড়লে অনিয়ম-দুর্নীতির পথ আরও প্রশস্ত হয়। এ কারণে অনেক প্রকল্প ইচ্ছে করেই ধীর লয়ে বাস্তবায়ন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বা ব্যয় বাড়ানো মানেই জনগণের অর্থের অপচয়। কাজে বিলম্ব ঘটলে প্রকল্পের সুবিধা পেতে জনগণের অপেক্ষাও বাড়ে। মেগা প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হতো। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে গতি আনতে পাশাপাশি কাজের গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের কাজে সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের কাজে লাগাতে হবে। লাগাম টানতে হবে অনিয়ম আর দুর্নীতির।

মহামারী করোনার সংক্রমণের মধ্যেও পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। একইভাবে বাকি প্রকল্পের কাজ চালু রাখা যেত কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে। করোনার সংক্রমণ এখনও থামেনি। এরিমধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। আমরা আশা করব, স্বাস্থবিধি মেনে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজের গতি আনতে হবে। কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে জনগণের ওপর থেকে প্রকল্পের সময় আর ব্যয় বৃদ্ধির বোঝা লাঘব হবে।