ব্যঙ্গাত্মক আইজি নোবেলের জন্য মনোনীত নরেন্দ্র মোদি

ব্যঙ্গাত্মক আইজি নোবেল-২০২০ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রৃ মোদি। ‘চিকিৎ?সা শিক্ষা’ (মেডিকেল এডুকেশন) নামক ব্যঙ্গাত্মক এক উদ্ভাবনের জন্য তিনি মূলত মনোনীত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ি। ‘আগ্রাসী শান্তিপূর্ণ’ নামক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য। দ্য ইউরেশিয়ান টাইমস।

আইজি নোবেল একটি ব্যঙ্গার্থক নোবেল প্রাইজ। ‘অ্যানালস অফ ইমপ্রোবাবল’ রিসার্চ ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছর এ নোবেল পুরস্কার ব্যঙ্গ করে দেয়া হয় বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের। কোন খবর বা ঘটনার ব্যঙ্গার্থক দিকটিকে ফুটিয়ে তোলা হয় এ পুরস্কারের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান্ডার্স থিয়েটারে সম্পূর্ণ ঠাট্টার ছলে এ নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সমালোচকদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে সংকট সামলাতে একাধিক ব্যবস্থা ও চেষ্টার কথা বলেছেন মোদি। কিন্তু শ্রমিকদের মৃত্যু, বেকারত্ব ইস্যুতে সরকারের বিশেষ কোন চিন্তাভাবনা দেখা যায়নি তাই মোদিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

শুধু প্রধানমন্ত্রীই ননÑ অঙ্ক, জনস্বাস্থ্য, শান্তি ইত্যাদি ক্যাটাগরিতেও একাধিক ভারতীয় এ ব্যঙ্গার্থক নোবেল পেয়েছেন মজার ছলে। যেমন ২০০২ সালে একটি সারফেস এরিয়ার অঙ্ক কষার জন্য এ নোবেল পেয়েছিলেন জি নির্মলন।

কয়েক দিন আগে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়ে বিশ্বজুড়ে হেডলাইনে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ভারতে ফেরা যাক। ট্রাম্পের বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নোবেল পেলেন। তবে ব্যঙ্গাত্মক এ পুরস্কারের নাম আইজি নোবেল প্রাইজ। মোদিই ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি আইজি নোবেল পুরস্কার পেলেন। জানানো হয়েছে, ‘করোনা অতিমারির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তিনি বোঝাতে পেরেছেন, মানুষের জীবন ও মৃত্যুর উপরে রাজনৈতিক নেতাদের চটজলদি প্রভাব বিজ্ঞানীদের চেয়ে অনেক বেশি।’

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪ মহররম ১৪৪২, ০৫ আশ্বিন ১৪২৭

ব্যঙ্গাত্মক আইজি নোবেলের জন্য মনোনীত নরেন্দ্র মোদি

image

ব্যঙ্গাত্মক আইজি নোবেল-২০২০ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রৃ মোদি। ‘চিকিৎ?সা শিক্ষা’ (মেডিকেল এডুকেশন) নামক ব্যঙ্গাত্মক এক উদ্ভাবনের জন্য তিনি মূলত মনোনীত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ি। ‘আগ্রাসী শান্তিপূর্ণ’ নামক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য। দ্য ইউরেশিয়ান টাইমস।

আইজি নোবেল একটি ব্যঙ্গার্থক নোবেল প্রাইজ। ‘অ্যানালস অফ ইমপ্রোবাবল’ রিসার্চ ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতি বছর এ নোবেল পুরস্কার ব্যঙ্গ করে দেয়া হয় বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের। কোন খবর বা ঘটনার ব্যঙ্গার্থক দিকটিকে ফুটিয়ে তোলা হয় এ পুরস্কারের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান্ডার্স থিয়েটারে সম্পূর্ণ ঠাট্টার ছলে এ নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সমালোচকদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে সংকট সামলাতে একাধিক ব্যবস্থা ও চেষ্টার কথা বলেছেন মোদি। কিন্তু শ্রমিকদের মৃত্যু, বেকারত্ব ইস্যুতে সরকারের বিশেষ কোন চিন্তাভাবনা দেখা যায়নি তাই মোদিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

শুধু প্রধানমন্ত্রীই ননÑ অঙ্ক, জনস্বাস্থ্য, শান্তি ইত্যাদি ক্যাটাগরিতেও একাধিক ভারতীয় এ ব্যঙ্গার্থক নোবেল পেয়েছেন মজার ছলে। যেমন ২০০২ সালে একটি সারফেস এরিয়ার অঙ্ক কষার জন্য এ নোবেল পেয়েছিলেন জি নির্মলন।

কয়েক দিন আগে নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়ে বিশ্বজুড়ে হেডলাইনে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ভারতে ফেরা যাক। ট্রাম্পের বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নোবেল পেলেন। তবে ব্যঙ্গাত্মক এ পুরস্কারের নাম আইজি নোবেল প্রাইজ। মোদিই ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি আইজি নোবেল পুরস্কার পেলেন। জানানো হয়েছে, ‘করোনা অতিমারির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তিনি বোঝাতে পেরেছেন, মানুষের জীবন ও মৃত্যুর উপরে রাজনৈতিক নেতাদের চটজলদি প্রভাব বিজ্ঞানীদের চেয়ে অনেক বেশি।’