শনিবার নতুন বিচারপতির নাম ঘোষণা করবেন ট্রাম্প

মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির নাম আগামী শনিবার ঘোষণা করবেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেটের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে তাদের সাক্ষাৎ হয়। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন তিনিই হতে পারেন গিন্সবার্গের উত্তরসূরী। এর পূর্বেও সুপ্রিমকোর্টের শূন্য পদ পূরণের জন্য ব্যারেট রিপাবলিকানদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। এপি।

আসন্ন ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি মনোনয়ন নিয়ে শোরগোল এখন পুরো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। একদিকে ট্রাম্প বলছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই একজন তীক্ষè বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নারীকে বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করা হবে। অপরদিকে জো বাইডেন বলছে, নির্বাচনের পূর্বে এ কাজ করা ঠিক হবে না রিপাবলিকানদের। ট্রাম্পের বিচারপতি মনোনয়নের এ পরিকল্পনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।

এ বিরোধের কারণ মূলত মার্কিন সুপ্রিমকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য। ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভ মতাদর্শে বিশ্বাসী অপরদিকে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটরা উদারবাদী বা লিবারেলিজমে বিশ্বাসী। সুপ্রিমকোর্টের মোট বিচারপতির সংখ্যা ৯ জন। গত শুক্রবারে উদারবাদী বিচারপতি গিন্সবার্গের মৃত্যুর ফলে বর্তমানে মোট বিচারপতির সংখ্যা ৮ জন। এর মাঝে প্রধান বিচারপতি রবার্টস কি উদারবাদী নাকি রক্ষণশীল তা অস্পষ্ট। তিনি যখন ইচ্ছা তখন উদারবাদীদের পক্ষে রায় দেন আবার যখন ইচ্ছা হয় তখন রক্ষণশীল পক্ষ নেন। বাকি থাকে ৭ জন বিচারক।

এর মধ্যে উদারবাদী ৩ জন এবং রক্ষণশীল ৪ জন। যদি ট্রাম্প নির্বাচনের পূর্বেই একজন রক্ষণশীল বিচারককে নির্বাচিত করতে পারেন তাহলে উদারবাদীদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৫ জনে; যা রক্ষণশীলদের জন্য হবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনকানুনে এক বিরাট পরিবর্তন দেখা দেবে। যেহেতু সুপ্রিমকোর্টের বিচারকগণ আজীবনের জন্য নির্বাচিত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণয়নে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক হিসেবে কাজ করেন সেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসননীতি, ভোটাধিকার নীতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সমলিঙ্গের বিয়েসহ বিভিন্ন বিষয়াদির আইন পরিমার্জন, পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রে রক্ষণশীলদের মতামত প্রাধান্য পাবে।

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪ মহররম ১৪৪২, ০৫ আশ্বিন ১৪২৭

শনিবার নতুন বিচারপতির নাম ঘোষণা করবেন ট্রাম্প

মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির নাম আগামী শনিবার ঘোষণা করবেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেটের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে তাদের সাক্ষাৎ হয়। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন তিনিই হতে পারেন গিন্সবার্গের উত্তরসূরী। এর পূর্বেও সুপ্রিমকোর্টের শূন্য পদ পূরণের জন্য ব্যারেট রিপাবলিকানদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। এপি।

আসন্ন ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি মনোনয়ন নিয়ে শোরগোল এখন পুরো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। একদিকে ট্রাম্প বলছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই একজন তীক্ষè বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন নারীকে বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করা হবে। অপরদিকে জো বাইডেন বলছে, নির্বাচনের পূর্বে এ কাজ করা ঠিক হবে না রিপাবলিকানদের। ট্রাম্পের বিচারপতি মনোনয়নের এ পরিকল্পনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।

এ বিরোধের কারণ মূলত মার্কিন সুপ্রিমকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য। ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভ মতাদর্শে বিশ্বাসী অপরদিকে বাইডেনের ডেমোক্র্যাটরা উদারবাদী বা লিবারেলিজমে বিশ্বাসী। সুপ্রিমকোর্টের মোট বিচারপতির সংখ্যা ৯ জন। গত শুক্রবারে উদারবাদী বিচারপতি গিন্সবার্গের মৃত্যুর ফলে বর্তমানে মোট বিচারপতির সংখ্যা ৮ জন। এর মাঝে প্রধান বিচারপতি রবার্টস কি উদারবাদী নাকি রক্ষণশীল তা অস্পষ্ট। তিনি যখন ইচ্ছা তখন উদারবাদীদের পক্ষে রায় দেন আবার যখন ইচ্ছা হয় তখন রক্ষণশীল পক্ষ নেন। বাকি থাকে ৭ জন বিচারক।

এর মধ্যে উদারবাদী ৩ জন এবং রক্ষণশীল ৪ জন। যদি ট্রাম্প নির্বাচনের পূর্বেই একজন রক্ষণশীল বিচারককে নির্বাচিত করতে পারেন তাহলে উদারবাদীদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৫ জনে; যা রক্ষণশীলদের জন্য হবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আইনকানুনে এক বিরাট পরিবর্তন দেখা দেবে। যেহেতু সুপ্রিমকোর্টের বিচারকগণ আজীবনের জন্য নির্বাচিত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণয়নে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক হিসেবে কাজ করেন সেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসননীতি, ভোটাধিকার নীতি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সমলিঙ্গের বিয়েসহ বিভিন্ন বিষয়াদির আইন পরিমার্জন, পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রে রক্ষণশীলদের মতামত প্রাধান্য পাবে।