গ্রাহকদের এখন আর বিটিসিএল অফিসে যেতে হবে না। সবকিছু এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। আবেদন থেকে বিল পর্যন্ত সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক সেবা দেয়ার উপর জোর দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সম্প্রতি বিটিসিএলের সব অঞ্চলের (১৮ অঞ্চল) চিফ জেনারেল ম্যানেজারদের কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কনফারেন্সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তার ভিত্তিতে সেবার মান বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। আসছে আরও নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা। বিটিসিএলের এমডি ড. মো. রফিকুল মতিন মুঠোফোনে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ ২২টি জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর করা হয়েছে। এখন টেস্টের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় সম্প্রসারণ করা হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশন অফিসে আছে। আরও ৪২টি জেলার সম্প্রসারণ হলে ৬৪ জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার বসিয়ে গ্রাহক সেবা আরো দ্রুত বাড়ানো হবে।
বিটিসিএলের টেলিফোন সংযোগ থেকে শুরু করে অ্যাডভাইস, ডিমান্ড নোট সবকিছুই খুব সহজেই হচ্ছে। এখন অনলাইন ভিত্তিক সেবা দেয়া জোরদার করা হয়েছে। বিটিসিএলের সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেয়ার আলাপ নামে একটি অ্যাপস ভিত্তিক সার্ভিস চালু হচ্ছে। এখন ট্রায়াল আছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এখন বিটিসিএলের গ্রাহকদের সেবার মান বাড়াতে বাসার টেলিফোন বা অফিসের টেলিফোন না ধরলে কয়েকটি রিং বাজার পর অটোমেটিক গ্রাহকের নির্ধারিত মোবাইলে ডাইবার্ট হযে কানেন্ট হয়ে যাবে। এমন সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। গ্রাহক ইচ্ছা করলে মোবাইল ফোন নম্বর রিসিভ করে কথা বলতে পারবেন।
বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিটিসিএলের ভাইবার, ইমোর মতো অ্যাপস ভিত্তিক টেলিফোন সেবা আলাপ আসছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এ নতুন অ্যাপস চালু হবে। এতে গ্রাহক সুবিধা অনেক বাড়বে।
টেলিসেবা অ্যাপ : এ সেবার মাধ্যমে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের সমস্যা থাকলে অভিযোগ করা যাবে। এতে কোন খরচ লাগবে না। আ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করা ও বিল সম্পর্কে জানা যাবে। আবার অনলাইনে নগদ, বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে বিল শোধ করা যাবে। এভাবে বিটিসিএল ডিজিটাল যুগে তাদের সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, এখনও মাঠপর্যায়ের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের আরও সেবামুখী না করলে গ্রাহরা বিটিসিএলের সেবা নিবে কিনা তা নিয়ে অনেকই প্রশ্ন করেছেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বার বার বলার পরও সেবা পাওয়া কষ্টকর বলে অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন।
বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৪ মহররম ১৪৪২, ০৫ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
গ্রাহকদের এখন আর বিটিসিএল অফিসে যেতে হবে না। সবকিছু এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। আবেদন থেকে বিল পর্যন্ত সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক সেবা দেয়ার উপর জোর দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সম্প্রতি বিটিসিএলের সব অঞ্চলের (১৮ অঞ্চল) চিফ জেনারেল ম্যানেজারদের কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কনফারেন্সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তার ভিত্তিতে সেবার মান বাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। আসছে আরও নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা। বিটিসিএলের এমডি ড. মো. রফিকুল মতিন মুঠোফোনে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ ২২টি জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর করা হয়েছে। এখন টেস্টের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় সম্প্রসারণ করা হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশন অফিসে আছে। আরও ৪২টি জেলার সম্প্রসারণ হলে ৬৪ জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার বসিয়ে গ্রাহক সেবা আরো দ্রুত বাড়ানো হবে।
বিটিসিএলের টেলিফোন সংযোগ থেকে শুরু করে অ্যাডভাইস, ডিমান্ড নোট সবকিছুই খুব সহজেই হচ্ছে। এখন অনলাইন ভিত্তিক সেবা দেয়া জোরদার করা হয়েছে। বিটিসিএলের সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেয়ার আলাপ নামে একটি অ্যাপস ভিত্তিক সার্ভিস চালু হচ্ছে। এখন ট্রায়াল আছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়াও এখন বিটিসিএলের গ্রাহকদের সেবার মান বাড়াতে বাসার টেলিফোন বা অফিসের টেলিফোন না ধরলে কয়েকটি রিং বাজার পর অটোমেটিক গ্রাহকের নির্ধারিত মোবাইলে ডাইবার্ট হযে কানেন্ট হয়ে যাবে। এমন সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা। গ্রাহক ইচ্ছা করলে মোবাইল ফোন নম্বর রিসিভ করে কথা বলতে পারবেন।
বিটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিটিসিএলের ভাইবার, ইমোর মতো অ্যাপস ভিত্তিক টেলিফোন সেবা আলাপ আসছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এ নতুন অ্যাপস চালু হবে। এতে গ্রাহক সুবিধা অনেক বাড়বে।
টেলিসেবা অ্যাপ : এ সেবার মাধ্যমে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের সমস্যা থাকলে অভিযোগ করা যাবে। এতে কোন খরচ লাগবে না। আ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করা ও বিল সম্পর্কে জানা যাবে। আবার অনলাইনে নগদ, বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে বিল শোধ করা যাবে। এভাবে বিটিসিএল ডিজিটাল যুগে তাদের সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, এখনও মাঠপর্যায়ের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের আরও সেবামুখী না করলে গ্রাহরা বিটিসিএলের সেবা নিবে কিনা তা নিয়ে অনেকই প্রশ্ন করেছেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বার বার বলার পরও সেবা পাওয়া কষ্টকর বলে অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন।