প্রধান চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মনোজ প্রামাণিক
স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের যে সাহসিকতাপূর্ণ অভ্যুত্থান ঘটেছিল সেই ইতিহাসকে ধারণ করে নির্মিত হচ্ছে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’। সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ভালোবাসা প্রীতিলতা চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করছেন প্রদীপ ঘোষ।
গতকাল বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮৮তম আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্রটির শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হয়। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, বিশিষ্ট সংগঠক আমিন হেলালী ।
তথ্যমন্ত্রী বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভারতের স্বাধীনতার ইাতহাস বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। সারা ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্নকে আন্দোলিত করেছিল চট্টগ্রামের যুববিদ্রোহ। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে সাহসিকতাপূর্ণ অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম চারদিন স্বাধীন ছিল। দুইশ বছরের বৃটিশ শাসন-শোষণের শৃঙ্খল মোচনে, বীর চট্টলার মাটিতে জন্ম নেয় বীর নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের নির্মিতব্য এই চলচ্চিত্রটি নতুন প্রজন্মকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সব সদস্যই সংস্কৃতি অনুরাগী ছিলেন। চলচ্চিত্র কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয় বরং দেশের সংস্কৃতি বিনির্মাণে চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এই চলচ্চিত্র আগামী প্রজন্মের চেতনা বিকাশে সহায়ক হবে।
বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার বলেন, আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে যে, ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্র বাঙালির সংগ্রামের আত্মপরিচয়কে সমৃদ্ধ করবে। বাংলার মাটিতে যেসব বিপ্লবীরা জীবন দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের সবার প্রতি সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। চট্টগ্রামের যুববিদ্রোহ বাঙালি জাতির সব আন্দোলনকে শক্তি যুগিয়েছিল।
গতকাল চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর মিলনায়তনে আয়োজিত শুভ মহরতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযেগ অধিদফতরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সম গোলাম কিবরিয়া, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সচিব মুমিনুল হক জীবন, নাট্যজন শংকর সাওজাল, ঢাকা ১০নং ওয়ার্ডের কমিশনার মারুফ আহমেদ মনসুর, সাবেক ছাত্রনেতা মজুমদার শাহীন, তথ্যমন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখা-২ এর উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ নিয়ে নির্মিতব্য এই চলচ্চিত্রের প্রীতিলতা চরিত্রে অভিনয়ে অংশ নিচ্ছেন দেশের খ্যাতিমান অভিনয় শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস চরিত্রে থাকছেন মনোজ প্রামাণিক।প্রীতিলতার বাবা চরিত্রে খ্যাতিমান নাট্যকার ও অভিনেতা মান্নান হীরা।
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭
প্রধান চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মনোজ প্রামাণিক
স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের যে সাহসিকতাপূর্ণ অভ্যুত্থান ঘটেছিল সেই ইতিহাসকে ধারণ করে নির্মিত হচ্ছে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’ অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’। সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ভালোবাসা প্রীতিলতা চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করছেন প্রদীপ ঘোষ।
গতকাল বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৮৮তম আত্মাহুতি দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্রটির শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হয়। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, বিশিষ্ট সংগঠক আমিন হেলালী ।
তথ্যমন্ত্রী বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভারতের স্বাধীনতার ইাতহাস বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। সারা ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্নকে আন্দোলিত করেছিল চট্টগ্রামের যুববিদ্রোহ। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে সাহসিকতাপূর্ণ অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম চারদিন স্বাধীন ছিল। দুইশ বছরের বৃটিশ শাসন-শোষণের শৃঙ্খল মোচনে, বীর চট্টলার মাটিতে জন্ম নেয় বীর নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের নির্মিতব্য এই চলচ্চিত্রটি নতুন প্রজন্মকে স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সব সদস্যই সংস্কৃতি অনুরাগী ছিলেন। চলচ্চিত্র কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয় বরং দেশের সংস্কৃতি বিনির্মাণে চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এই চলচ্চিত্র আগামী প্রজন্মের চেতনা বিকাশে সহায়ক হবে।
বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার বলেন, আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ এই কারণে যে, ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্র বাঙালির সংগ্রামের আত্মপরিচয়কে সমৃদ্ধ করবে। বাংলার মাটিতে যেসব বিপ্লবীরা জীবন দিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের সবার প্রতি সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। চট্টগ্রামের যুববিদ্রোহ বাঙালি জাতির সব আন্দোলনকে শক্তি যুগিয়েছিল।
গতকাল চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর মিলনায়তনে আয়োজিত শুভ মহরতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযেগ অধিদফতরের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সম গোলাম কিবরিয়া, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সচিব মুমিনুল হক জীবন, নাট্যজন শংকর সাওজাল, ঢাকা ১০নং ওয়ার্ডের কমিশনার মারুফ আহমেদ মনসুর, সাবেক ছাত্রনেতা মজুমদার শাহীন, তথ্যমন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখা-২ এর উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ নিয়ে নির্মিতব্য এই চলচ্চিত্রের প্রীতিলতা চরিত্রে অভিনয়ে অংশ নিচ্ছেন দেশের খ্যাতিমান অভিনয় শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস চরিত্রে থাকছেন মনোজ প্রামাণিক।প্রীতিলতার বাবা চরিত্রে খ্যাতিমান নাট্যকার ও অভিনেতা মান্নান হীরা।