চলতি বছর কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ভারতে

চলতি বছর ভারতজুড়ে শস্য ও কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলনের কারণ হতে পারে। দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ২০২০-২১ মৌসুমের জন্য শস্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে এ পূর্বাভাস শুধু খরিফ মৌসুমের জন্য দেয়া হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২০-২১ মৌসুমে (খরিফ) ভারতে ধান, ডাল, তেলবীজসহ সব ধরনের শস্য এবং আখ, তুলা, পাটের মতো কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলন হতে পারে। বাড়তে পারে উৎপাদন। এনডিটিভি।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে খাদ্যশস্যের সম্মিলিত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টনে। দেশটিতে গত পাঁচ মৌসুমে (২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ মৌসুম পর্যন্ত) উৎপাদিত খাদ্যশস্যের গড়ের তুলনায় এবারের খরিফ মৌসুমে উৎপাদন বাড়তে পারে ৯৮ লাখ ৩০ হাজার টন। চীনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ। খাদ্যপণ্যটির রপ্তানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে সব মিলিয়ে ১০ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত পাঁচ মৌসুমের গড়ের তুলনায় এবারের খরিফ মৌসুমে ভারতে চাল উৎপাদন বাড়তে পারে ৬৭ লাখ টন। গত পাঁচ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে গড়ে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। একই চিত্র দেখা যেতে পারে ডাল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও। ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ৯৩ লাখ ১০ হাজার টন ডাল (মুগ, মসুর, ছোলা, অড়হর, মাষকলাইসহ বিভিন্ন জাতের) উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। গত খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ৭৭ লাখ ২০ হাজার টন বিভিন্ন জাতের ডাল উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক মৌসুমের ব্যবধানে দেশটিতে ডাল উৎপাদন বাড়তে পারে ১৫ লাখ ৯০ হাজার টন। এবারের খরিফ মৌসুমে তেলবীজ উৎপাদনেও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার টন তেলবীজ (সরিষা, সয়াবিন, সূর্যমুখী বীজ, পামসহ বিভিন্ন জাতের) উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টন বিভিন্ন জাতের তেলবীজ উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক মৌসুমের ব্যবধানে দেশটিতে তেলবীজ উৎপাদন বাড়তে পারে ৩৪ লাখ ১০ হাজার টন। শুধু খাদ্যশস্য ও তেলবীজ নয়, বরং ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে আখ, তুলা, পাটের মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন আগের তুলনায় চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে সব মিলিয়ে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার টন আখ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত পাঁচ মৌসুমের গড়ের তুলনায় এবারের খরিফ মৌসুমে ভারতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টন। গত পাঁচ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে গড়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টন আখ উৎপাদন হয়েছিল।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

চলতি বছর কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ভারতে

সংবাদ ডেস্ক

image

চলতি বছর ভারতজুড়ে শস্য ও কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলনের কারণ হতে পারে। দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে ২০২০-২১ মৌসুমের জন্য শস্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে এ পূর্বাভাস শুধু খরিফ মৌসুমের জন্য দেয়া হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২০-২১ মৌসুমে (খরিফ) ভারতে ধান, ডাল, তেলবীজসহ সব ধরনের শস্য এবং আখ, তুলা, পাটের মতো কৃষিপণ্যের বাম্পার ফলন হতে পারে। বাড়তে পারে উৎপাদন। এনডিটিভি।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে খাদ্যশস্যের সম্মিলিত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টনে। দেশটিতে গত পাঁচ মৌসুমে (২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ মৌসুম পর্যন্ত) উৎপাদিত খাদ্যশস্যের গড়ের তুলনায় এবারের খরিফ মৌসুমে উৎপাদন বাড়তে পারে ৯৮ লাখ ৩০ হাজার টন। চীনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ। খাদ্যপণ্যটির রপ্তানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে সব মিলিয়ে ১০ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত পাঁচ মৌসুমের গড়ের তুলনায় এবারের খরিফ মৌসুমে ভারতে চাল উৎপাদন বাড়তে পারে ৬৭ লাখ টন। গত পাঁচ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে গড়ে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। একই চিত্র দেখা যেতে পারে ডাল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও। ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ৯৩ লাখ ১০ হাজার টন ডাল (মুগ, মসুর, ছোলা, অড়হর, মাষকলাইসহ বিভিন্ন জাতের) উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। গত খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ৭৭ লাখ ২০ হাজার টন বিভিন্ন জাতের ডাল উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক মৌসুমের ব্যবধানে দেশটিতে ডাল উৎপাদন বাড়তে পারে ১৫ লাখ ৯০ হাজার টন। এবারের খরিফ মৌসুমে তেলবীজ উৎপাদনেও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার টন তেলবীজ (সরিষা, সয়াবিন, সূর্যমুখী বীজ, পামসহ বিভিন্ন জাতের) উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত খরিফ মৌসুমে ভারতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টন বিভিন্ন জাতের তেলবীজ উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক মৌসুমের ব্যবধানে দেশটিতে তেলবীজ উৎপাদন বাড়তে পারে ৩৪ লাখ ১০ হাজার টন। শুধু খাদ্যশস্য ও তেলবীজ নয়, বরং ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে ভারতে আখ, তুলা, পাটের মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন আগের তুলনায় চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে সব মিলিয়ে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার টন আখ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত পাঁচ মৌসুমের গড়ের তুলনায় এবারের খরিফ মৌসুমে ভারতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টন। গত পাঁচ খরিফ মৌসুমে দেশটিতে গড়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টন আখ উৎপাদন হয়েছিল।