৬ লাখ ইয়েন মিলবে জাপানি নব দম্পতিদের

নব দম্পতিদের নতুন জীবন শুরুতে বাসাভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ইয়েন পর্যন্ত দেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার। তবে সবাই এ ‘উপহার’ পাবেন না, যেসব পৌরসভা জাপানের ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে, শুধু সেসব পৌরসভার বাসিন্দারাই এ অর্থ পাবেন। এক্ষেত্রে নতুন বিয়ে করা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বয়সই ৪০ এর নিচে থাকতে হবে; দু’জনের সম্মিলিত আয়ও কোনভাবেই ৫৪ লাখ ইয়েনের বেশি হতে পারবে না। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বিয়েতে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার নতুন এ নিয়ম চালুর চিন্তাভাবনা চলছে বলে রোববার জাপান সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রে জানানো হয়েছে। টোকিও সিমবুন।

২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাপানে অবিবাহিত থাকতে চাওয়া ও দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতার কারণে জাপানে এমনিতেই শিশু জন্মহার অত্যন্ত কম। জন্মহার বাড়াতেই দেশটির সরকার এখন বিয়েতে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতা বাড়িয়ে নবদম্পতিদের বেশি অর্থ এবং বয়সের সীমা খানিকটা বাড়িয়ে দেয়ার কথা ভাবছে। ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রামে’ এখন স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়স ৩৫-এর কম এবং সম্মিলিত আয় ৪৮ লাখ ডলারের নিচে হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ইয়েন পর্যন্ত সহযোগিতা মেলে।

চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত জাপানের মাত্র ২৮১টি পৌরসভা এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে, যা দেশটির শহর ও গ্রাম মিলিয়ে থাকা পৌরসভার মাত্র ১৫ শতাংশ। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, নবদম্পতিদের সহযোগিতার অর্ধেক অর্থ বহন করে পৌরসভা; বাকিটা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড স্যোশাল সিকিউরিটি রিসার্চের জরিপ বলছে, অবিবাহিত নারীদের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই বিয়ে না করার জন্য অর্থের অভাবকে দায়ী করেছিলেন।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

৬ লাখ ইয়েন মিলবে জাপানি নব দম্পতিদের

নব দম্পতিদের নতুন জীবন শুরুতে বাসাভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটাতে সর্বোচ্চ ৬ লাখ ইয়েন পর্যন্ত দেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার। তবে সবাই এ ‘উপহার’ পাবেন না, যেসব পৌরসভা জাপানের ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে, শুধু সেসব পৌরসভার বাসিন্দারাই এ অর্থ পাবেন। এক্ষেত্রে নতুন বিয়ে করা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বয়সই ৪০ এর নিচে থাকতে হবে; দু’জনের সম্মিলিত আয়ও কোনভাবেই ৫৪ লাখ ইয়েনের বেশি হতে পারবে না। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বিয়েতে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার নতুন এ নিয়ম চালুর চিন্তাভাবনা চলছে বলে রোববার জাপান সরকারের বেশ কয়েকটি সূত্রে জানানো হয়েছে। টোকিও সিমবুন।

২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাপানে অবিবাহিত থাকতে চাওয়া ও দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতার কারণে জাপানে এমনিতেই শিশু জন্মহার অত্যন্ত কম। জন্মহার বাড়াতেই দেশটির সরকার এখন বিয়েতে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতা বাড়িয়ে নবদম্পতিদের বেশি অর্থ এবং বয়সের সীমা খানিকটা বাড়িয়ে দেয়ার কথা ভাবছে। ‘নিউলিওয়েড সাপোর্ট প্রোগ্রামে’ এখন স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়স ৩৫-এর কম এবং সম্মিলিত আয় ৪৮ লাখ ডলারের নিচে হলে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ইয়েন পর্যন্ত সহযোগিতা মেলে।

চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত জাপানের মাত্র ২৮১টি পৌরসভা এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে, যা দেশটির শহর ও গ্রাম মিলিয়ে থাকা পৌরসভার মাত্র ১৫ শতাংশ। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, নবদম্পতিদের সহযোগিতার অর্ধেক অর্থ বহন করে পৌরসভা; বাকিটা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড স্যোশাল সিকিউরিটি রিসার্চের জরিপ বলছে, অবিবাহিত নারীদের ১৭ দশমিক ৮ শতাংশই বিয়ে না করার জন্য অর্থের অভাবকে দায়ী করেছিলেন।