যুক্তরাষ্ট্র-রুশ চুক্তি চান পুতিন

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার শর্তে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি করে একে অপরের নির্বাচনে সাইবার হস্তক্ষেপ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার এক বিবৃতিতে পুতিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে আবার সবকিছু ঠিকঠাক করে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এ তথ্য জানান। এ বক্তব্যের সঙ্গে পুতিন আরও বলেছেন, সাইবার জগতে হস্তক্ষেপের মতো ঘটনাগুলো ঠেকাতে তিনি দু-দেশের মধ্যে একটি চুক্তি চান। এবিসি, রয়টার্স।

গত শুক্রবার গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রযুক্তি পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়াসহ একে অপরের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক না গলানোর পারস্পরিক নিশ্চয়তা দেয়ার প্রস্তাব করছি আমি।

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের এ সময়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, রাশিয়া ২০১৬-এর মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্পের অনুকূলে কাজ করেছে। নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানেও রাশিয়া হ্যাকিং করেছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। তবে মস্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্তমানে আবার নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টায় প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে পুতিন বলেছেন, আমাদের এ সময়ে প্রধান একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ডিজিটাল জগতে বড় ধরনের সংঘাতের ঝুঁকি।

‘আইসিটি’ ব্যবহারে আমাদের সম্পর্ককে আবার ঠিক করে নিতে বাস্তবিক নানা পদক্ষেপের একটি বিস্তৃত কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য আমি আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রকে আবেদন জানাচ্ছি। বড় ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঠেকাতে দু’দেশের এক চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রস্তাব দিয়ে পুতিন একে তুলনা করেছেন সেই ১৯৭২-এর যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত চুক্তির সঙ্গে। স্নায়ুযুদ্ধের তুমুল উত্তেজনার এ সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ চুক্তি হয়েছিল।

চুক্তির প্রস্তাব ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নিরাপত্তামূলক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দু’দেশের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যকার যোগাযোগ লাইন আবার পুরোদমে চালু করারও আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৩৮ দিন বাকি থাকার এ মুহূর্তে প্রকাশ্য জনমত জরিপে বাইডেন ৫১ শতাংশ এগিয়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন ৮ শতাংশ বেশি জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে এগিয়ে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বর্ণবাদবিরোধী দাঙ্গায় কৃষ্ণাঙ্গদের সমতায় পৌঁছুতে তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অবস্থান শক্ত হতে হবে এবং নিরঙ্কুশ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গদের সমতা অর্জন সম্ভব। সেক্ষেত্রে বিতর্কিত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার পরিবারের অনেক সদস্যই রয়েছে এ মুহূর্তে। গতকাল জানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা করলেন ভাতিজি ম্যারি। এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অসদাচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার ভাতিজি ম্যারি ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১০ মিলিয়ন ডলার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে ট্রাম্প ও তার সহোদরদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ম্যারি ট্রাম্প।

ইপসোসের মতামত সমীক্ষায় দেখা গেছে যুদ্ধের ময়দানের রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদটির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি কাছাকাছি রয়েছে। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন তিনটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক রাজ্যের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর মাত্র একটি পাতলা নেতৃত্বের মাধ্যমে টিকে আছে। অনলাইন রাজ্য জরিপে সেপ্টেম্বরের শুরুতে এবং এ সপ্তাহে প্রকাশিত, বাইডেন এবং ট্রাম্প ফ্লোরিডা এবং উত্তর ক্যারোলিনার সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে জোট বেঁধেছে। বাইডেনের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট অ্যারিজোনায় ১ পয়েন্ট, পেনসিলভেনিয়ায় ৩ পয়েন্ট এবং উইসকনসিন ও মিশিগানে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। জনসংখ্যার আকার এবং যে কোন পক্ষেই দোলাচলে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করে তিন নভেম্বরের নির্বাচনে কে জিতবে তা নির্ধারণের জন্য দু’জনই সমালোচিত। প্রতিটি রাজ্যে দু’জন প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্যের জরিপের নমুনায় ত্রুটির অবকাশ ছিল, যার অর্থ কোনও প্রার্থীরই সুস্পষ্ট সুবিধা নেই। জাতীয়ভাবে, সোমবার ও মঙ্গলবার পরিচালিত সর্বশেষ রয়টার্স/ইপসোস সবাই সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে বাইডেনের নেতৃত্বকে ট্রাম্পের পক্ষে ৮ শতাংশ পয়েন্টে রেখে দিয়েছে। একত্রিত হয়ে, রাজ্য ও জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০২০ সালের নির্বাচন ২০১৬ সালের মতো একই মিত্র ফলাফলের সঙ্গে মিলিত হতে পারে, ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছে তবে রিপাবলিকানরা ইলেক্টোরাল কলেজ এবং হোয়াইট হাউসে বিজয়ী হয়েছে। যদিও বাইডেনের জাতীয় জনপ্রিয় ভোটে জয়লাভের সুবিধা রয়েছে, ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষেত্রের রাজ্যগুলো জয়ের প্রায় একই সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো পর্যাপ্ত নির্বাচনী ভোট রয়েছে। পোলগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের মধ্যে এই বছর মতামতটিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন স্থান পায়। সবচেয়ে বেশি নির্বাচিত প্রার্থী হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টের প্রার্থীদের বিবিধ ক্ষেত্র থেকে উঠে আসা বাইডেন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম ভোটার ব্লকের ওপরে ট্রাম্পের আধিপত্য বিস্তৃত করে চলেছে। করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে সাড়া জাগানোর জন্য তিনি জাতীয়ভাবে যতটা জনপ্রিয় রয়েছে, ততক্ষণে সুইং-স্টেট ভোটারদের দ্বারা ট্রাম্পকে দণ্ডিত করা হয়েছে বলে মনে হয় না। সুইং-স্টেটের ভোটাররাও ট্রাম্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পরিচালনায় বাইডেনের চেয়ে আরও ভালো দেখতে পাবে।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

যুক্তরাষ্ট্র-রুশ চুক্তি চান পুতিন

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার শর্তে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি করে একে অপরের নির্বাচনে সাইবার হস্তক্ষেপ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার এক বিবৃতিতে পুতিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে আবার সবকিছু ঠিকঠাক করে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এ তথ্য জানান। এ বক্তব্যের সঙ্গে পুতিন আরও বলেছেন, সাইবার জগতে হস্তক্ষেপের মতো ঘটনাগুলো ঠেকাতে তিনি দু-দেশের মধ্যে একটি চুক্তি চান। এবিসি, রয়টার্স।

গত শুক্রবার গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন প্রযুক্তি পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়াসহ একে অপরের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক না গলানোর পারস্পরিক নিশ্চয়তা দেয়ার প্রস্তাব করছি আমি।

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের এ সময়ে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, রাশিয়া ২০১৬-এর মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্পের অনুকূলে কাজ করেছে। নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের প্রচারাভিযানেও রাশিয়া হ্যাকিং করেছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। তবে মস্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্তমানে আবার নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টায় প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। ক্রেমলিনের বিবৃতিতে পুতিন বলেছেন, আমাদের এ সময়ে প্রধান একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, ডিজিটাল জগতে বড় ধরনের সংঘাতের ঝুঁকি।

‘আইসিটি’ ব্যবহারে আমাদের সম্পর্ককে আবার ঠিক করে নিতে বাস্তবিক নানা পদক্ষেপের একটি বিস্তৃত কর্মসূচি অনুমোদনের জন্য আমি আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রকে আবেদন জানাচ্ছি। বড় ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঠেকাতে দু’দেশের এক চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রস্তাব দিয়ে পুতিন একে তুলনা করেছেন সেই ১৯৭২-এর যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত চুক্তির সঙ্গে। স্নায়ুযুদ্ধের তুমুল উত্তেজনার এ সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ চুক্তি হয়েছিল।

চুক্তির প্রস্তাব ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নিরাপত্তামূলক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য দু’দেশের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যকার যোগাযোগ লাইন আবার পুরোদমে চালু করারও আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৩৮ দিন বাকি থাকার এ মুহূর্তে প্রকাশ্য জনমত জরিপে বাইডেন ৫১ শতাংশ এগিয়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন ৮ শতাংশ বেশি জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে এগিয়ে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বর্ণবাদবিরোধী দাঙ্গায় কৃষ্ণাঙ্গদের সমতায় পৌঁছুতে তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অবস্থান শক্ত হতে হবে এবং নিরঙ্কুশ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গদের সমতা অর্জন সম্ভব। সেক্ষেত্রে বিতর্কিত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার পরিবারের অনেক সদস্যই রয়েছে এ মুহূর্তে। গতকাল জানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা করলেন ভাতিজি ম্যারি। এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অসদাচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন তার ভাতিজি ম্যারি ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১০ মিলিয়ন ডলার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে ট্রাম্প ও তার সহোদরদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ম্যারি ট্রাম্প।

ইপসোসের মতামত সমীক্ষায় দেখা গেছে যুদ্ধের ময়দানের রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদটির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি কাছাকাছি রয়েছে। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন তিনটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক রাজ্যের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর মাত্র একটি পাতলা নেতৃত্বের মাধ্যমে টিকে আছে। অনলাইন রাজ্য জরিপে সেপ্টেম্বরের শুরুতে এবং এ সপ্তাহে প্রকাশিত, বাইডেন এবং ট্রাম্প ফ্লোরিডা এবং উত্তর ক্যারোলিনার সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে জোট বেঁধেছে। বাইডেনের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট অ্যারিজোনায় ১ পয়েন্ট, পেনসিলভেনিয়ায় ৩ পয়েন্ট এবং উইসকনসিন ও মিশিগানে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। জনসংখ্যার আকার এবং যে কোন পক্ষেই দোলাচলে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করে তিন নভেম্বরের নির্বাচনে কে জিতবে তা নির্ধারণের জন্য দু’জনই সমালোচিত। প্রতিটি রাজ্যে দু’জন প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্যের জরিপের নমুনায় ত্রুটির অবকাশ ছিল, যার অর্থ কোনও প্রার্থীরই সুস্পষ্ট সুবিধা নেই। জাতীয়ভাবে, সোমবার ও মঙ্গলবার পরিচালিত সর্বশেষ রয়টার্স/ইপসোস সবাই সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে বাইডেনের নেতৃত্বকে ট্রাম্পের পক্ষে ৮ শতাংশ পয়েন্টে রেখে দিয়েছে। একত্রিত হয়ে, রাজ্য ও জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০২০ সালের নির্বাচন ২০১৬ সালের মতো একই মিত্র ফলাফলের সঙ্গে মিলিত হতে পারে, ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছে তবে রিপাবলিকানরা ইলেক্টোরাল কলেজ এবং হোয়াইট হাউসে বিজয়ী হয়েছে। যদিও বাইডেনের জাতীয় জনপ্রিয় ভোটে জয়লাভের সুবিধা রয়েছে, ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষেত্রের রাজ্যগুলো জয়ের প্রায় একই সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো পর্যাপ্ত নির্বাচনী ভোট রয়েছে। পোলগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের মধ্যে এই বছর মতামতটিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন স্থান পায়। সবচেয়ে বেশি নির্বাচিত প্রার্থী হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টের প্রার্থীদের বিবিধ ক্ষেত্র থেকে উঠে আসা বাইডেন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম ভোটার ব্লকের ওপরে ট্রাম্পের আধিপত্য বিস্তৃত করে চলেছে। করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে সাড়া জাগানোর জন্য তিনি জাতীয়ভাবে যতটা জনপ্রিয় রয়েছে, ততক্ষণে সুইং-স্টেট ভোটারদের দ্বারা ট্রাম্পকে দণ্ডিত করা হয়েছে বলে মনে হয় না। সুইং-স্টেটের ভোটাররাও ট্রাম্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পরিচালনায় বাইডেনের চেয়ে আরও ভালো দেখতে পাবে।