অনিয়ম-চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি শ্রমিকদের

নৌ-শ্রমিক ও নৌ-সেক্টরের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা। মাবনবন্ধনে সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বেপারীসহ নৌ-সেক্টরের শ্রমিকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের নদী পথের সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চল ছাড়াও বিভিন্ন নৌ-পথে ও ঘাটে বন্দরে ভুয়া ইজারাদারসহ নিয়মিত অনিয়মিত চাঁদাবাজদের দ্বারা নৌ-শ্রমিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ দুর্নীতিপরায়ন দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে পরিত্রাণ ও নৌ-সেক্টর রক্ষা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সংস্থার দেয়া টোল-ট্যাক্স ইজারার নামে নৌ শ্রমিকদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে কিছু চক্র।

এ অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে। একই সঙ্গে মালিকপক্ষকে নৌ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। তাই নৌ শ্রমিকদের এবং নৌ-সেক্টরের অব্যবস্থাপনা দূর করার ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। এই দাবি মেনে না নিলে আগামীতে কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি। মাবনবন্ধনে বক্তারা বলেন, মিরপুর-গাবতলী-আশুলিয়া-রুস্তমপুর এলাকায় নদীর দুই পাড়ে বেঁধে রাখা জাহাজগুলোর কারণে নৌযান চলাচলে বিঘœ হয় এবং অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ গ্যাদারিং অচিরেই দূর করা প্রয়োজন। ঢালাওভাবে সব ছোট-বড় বাল্কহেড কার্গো-ট্রলারে তৃতীয় শ্রেণীর মাস্টার বা মাস্টার ড্রাইভার দিয়ে সার্ভিস রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে নির্দেশনা চাপিয়ে না দিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা ক্যাটাগরি বা সিস্টেমে করা প্রয়োজন। এতে ছোট-বড় নির্ণয় করে একেবারে ছোট ট্রলারগুলোকে আলাদা সার্টিফিকেট দিয়ে সার্ভের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে সাময়িক চলার জন্য একটি নীতিমালা ও দীর্ঘমেয়াদি বা স্থায়ীভাবে চলার একটি ধারাবাহিক নীতিমালা নেয়া যেতে পারে।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

নৌ-সেক্টরে

অনিয়ম-চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি শ্রমিকদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নৌ-শ্রমিক ও নৌ-সেক্টরের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা। মাবনবন্ধনে সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বেপারীসহ নৌ-সেক্টরের শ্রমিকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের নদী পথের সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চল ছাড়াও বিভিন্ন নৌ-পথে ও ঘাটে বন্দরে ভুয়া ইজারাদারসহ নিয়মিত অনিয়মিত চাঁদাবাজদের দ্বারা নৌ-শ্রমিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ দুর্নীতিপরায়ন দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে পরিত্রাণ ও নৌ-সেক্টর রক্ষা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সংস্থার দেয়া টোল-ট্যাক্স ইজারার নামে নৌ শ্রমিকদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে কিছু চক্র।

এ অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে। একই সঙ্গে মালিকপক্ষকে নৌ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। তাই নৌ শ্রমিকদের এবং নৌ-সেক্টরের অব্যবস্থাপনা দূর করার ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন তিনি। এই দাবি মেনে না নিলে আগামীতে কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি। মাবনবন্ধনে বক্তারা বলেন, মিরপুর-গাবতলী-আশুলিয়া-রুস্তমপুর এলাকায় নদীর দুই পাড়ে বেঁধে রাখা জাহাজগুলোর কারণে নৌযান চলাচলে বিঘœ হয় এবং অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ গ্যাদারিং অচিরেই দূর করা প্রয়োজন। ঢালাওভাবে সব ছোট-বড় বাল্কহেড কার্গো-ট্রলারে তৃতীয় শ্রেণীর মাস্টার বা মাস্টার ড্রাইভার দিয়ে সার্ভিস রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে নির্দেশনা চাপিয়ে না দিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা ক্যাটাগরি বা সিস্টেমে করা প্রয়োজন। এতে ছোট-বড় নির্ণয় করে একেবারে ছোট ট্রলারগুলোকে আলাদা সার্টিফিকেট দিয়ে সার্ভের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে সাময়িক চলার জন্য একটি নীতিমালা ও দীর্ঘমেয়াদি বা স্থায়ীভাবে চলার একটি ধারাবাহিক নীতিমালা নেয়া যেতে পারে।