সূচক-লেনদেন উভয় কমেছে শেয়ারবাজারে

গত সোমবার বড় উত্থান হলেও গতকাল পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮.৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪.৯১ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৬৯ পয়েন্ট এবং সিডিএসইসি ৪.৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭৭.৯৯ পয়েন্ট, ১৮১২.৫২ এবং ১০৪৮.১৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ৯৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির বা ২৩.৫২ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৮৫টির বা ৫১.৮২ শতাংশের এবং ৮৮টি বা ২৪.৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৯১.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬.৭০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির দর। গতকাল সিএসইতে ৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৮টি শেয়ার ৫৯ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫৩ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া আমান কটনের ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, একমি ল্যাবরেটরিজের ৩৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, অগ্নি সিস্টেমসের ৯ লাখ ৩ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ২৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ৩৫ লাখ ২৯ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ২ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, জেএমআই সিরিঞ্জের ২১ লাখ ১৭ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৭ লাখ ১১ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫২ লাখ ২০ হাাজর টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ২২ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৫ লাখ টাকার, রিং শাইনের ১ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৪১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ১ কোটি ১১ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ১ কোটি ২১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ টাকার এবং ওয়ালটনের ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪২

সূচক-লেনদেন উভয় কমেছে শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

গত সোমবার বড় উত্থান হলেও গতকাল পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮.৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪.৯১ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৬৯ পয়েন্ট এবং সিডিএসইসি ৪.৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৭৭.৯৯ পয়েন্ট, ১৮১২.৫২ এবং ১০৪৮.১৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ৯৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৬১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির বা ২৩.৫২ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৮৫টির বা ৫১.৮২ শতাংশের এবং ৮৮টি বা ২৪.৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৯১.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬.৭০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির দর। গতকাল সিএসইতে ৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ২৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৮টি শেয়ার ৫৯ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫৩ কোটি ২৯ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া আমান কটনের ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, একমি ল্যাবরেটরিজের ৩৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার, অ্যাডভেন্ট ফার্মার ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, অগ্নি সিস্টেমসের ৯ লাখ ৩ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ২৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ৩৫ লাখ ২৯ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ২ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার, জেএমআই সিরিঞ্জের ২১ লাখ ১৭ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৭ লাখ ১১ হাজার টাকার, এনসিসি ব্যাংকের ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫২ লাখ ২০ হাাজর টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ লাখ ২২ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৫ লাখ টাকার, রিং শাইনের ১ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ৪১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ১ কোটি ১১ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ১ কোটি ২১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ টাকার এবং ওয়ালটনের ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।