পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা ও অসত্য বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা যুবদলের মধ্যে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও অংগ সংগঠন ছোড়া ইট পাটকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির একাংশ ভেঙে যায়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসেবে মঠবাড়িয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতারা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় ছাত্রলীগের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি কেন্দ্র করে বাক বিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদের গেটে থাকা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীরা খননার ঘড়ির অপর পাশে ছবি সম্বলিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলে একাংশ ভেঙে যায়।
খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এজেডএম মাসুদুজ্জামান মিলুসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথম পর্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। নিয়ন্ত্রণে আনার আধা ঘন্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধুর ফেস্টুন ম্যুরাল ভাংচুরকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলালের বাসভবনে হামলা ও বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করে। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম ফরাজী, রিপন মুন্সী, খালেদ হাসান বাবু, মাইনুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, মাসুম বিল্লাহসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কিছুৃ নেতাকর্মী আহত হয়।
অন্যদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেলের আঘাতে জিদান, ইরান, আজাদ, আহাদ আহসান, অলি, প্রণয় হাওলাদার বিকিসহ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে থানা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম গুরুতর জখম সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমাদুল হক খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আওমী লীগ নেতা আরিফ-উল-হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন।
বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা ও অসত্য বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা যুবদলের মধ্যে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও অংগ সংগঠন ছোড়া ইট পাটকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির একাংশ ভেঙে যায়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসেবে মঠবাড়িয়া উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতারা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় ছাত্রলীগের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি কেন্দ্র করে বাক বিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদের গেটে থাকা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীরা খননার ঘড়ির অপর পাশে ছবি সম্বলিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলে একাংশ ভেঙে যায়।
খবর পেয়ে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এজেডএম মাসুদুজ্জামান মিলুসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথম পর্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। নিয়ন্ত্রণে আনার আধা ঘন্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধুর ফেস্টুন ম্যুরাল ভাংচুরকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলালের বাসভবনে হামলা ও বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করে। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম ফরাজী, রিপন মুন্সী, খালেদ হাসান বাবু, মাইনুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, মাসুম বিল্লাহসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কিছুৃ নেতাকর্মী আহত হয়।
অন্যদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেলের আঘাতে জিদান, ইরান, আজাদ, আহাদ আহসান, অলি, প্রণয় হাওলাদার বিকিসহ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে থানা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম গুরুতর জখম সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমাদুল হক খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আওমী লীগ নেতা আরিফ-উল-হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন।