গত মঙ্গলবারের মতো গতকালও বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ডিএসইতে গতকালের লেনদেন সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ২৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৯৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার। ডিএসইতে এদিনের লেনদেন ৩ মাস ১০ দিন বা ৭১ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর গতকালের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৩৩.২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮.৩০ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৭১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইসি ১৩.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৮৬.৩০ পয়েন্ট, ১৮৩৬.২৩ এবং ১০৬০.৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইতে এদিন ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির বা ২৬.৫৫ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৬৯টির বা ৪৭.৭৪ শতাংশের এবং ৯১টি বা ২৫.৭১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৯০.১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৪৪.৫৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির দর। এছাড়া গতকাল সিএসইতে ৫২ কোটি ০৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেহ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেন অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার ৫৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২১ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার এসএস স্টিলের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।
এছাড়া অ্যাডভেন্ট ফার্মার ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ২৮ লাখ ১৮ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ৬৪ লাখ টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৩৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার, মুন্নু এগ্রোর ১৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিডের ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, ওনিয়ন ফার্মার ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ৭৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার, রেনেটার ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ১০ লাখ ৫ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৬৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার এবং ইয়াকিন পলিমারের ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
গত মঙ্গলবারের মতো গতকালও বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ডিএসইতে গতকালের লেনদেন সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ২৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৯৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার। ডিএসইতে এদিনের লেনদেন ৩ মাস ১০ দিন বা ৭১ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর গতকালের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩২৯ কোটি ৭২ লাখ টাকার।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৩৩.২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৮.৩০ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৭১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইসি ১৩.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৮৬.৩০ পয়েন্ট, ১৮৩৬.২৩ এবং ১০৬০.৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইতে এদিন ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির বা ২৬.৫৫ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৬৯টির বা ৪৭.৭৪ শতাংশের এবং ৯১টি বা ২৫.৭১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৯০.১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৪৪.৫৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির দর। এছাড়া গতকাল সিএসইতে ৫২ কোটি ০৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেহ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩২টি কোম্পানি লেনদেন অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার ৫৬ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২১ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার এসএস স্টিলের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।
এছাড়া অ্যাডভেন্ট ফার্মার ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ২৮ লাখ ১৮ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, বিএসআরএম লিমিটেডের ৬৪ লাখ টাকার, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৩৭ লাখ ৩১ হাজার টাকার, মুন্নু এগ্রোর ১৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিডের ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, ওনিয়ন ফার্মার ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ৭৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ১২ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩৭ লাখ ৫২ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার, রেনেটার ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ১৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারের ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ১০ লাখ ৫ হাজার টাকার, শাইনপুকুর সিরামিকের ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৬৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার এবং ইয়াকিন পলিমারের ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।