প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার ৯৫ শতাংশ নতুন বই নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে। গতকাল থেকে স্কুল পর্যায়ে নতুন বিতরণ শুরু হয়েছে। এবার জেলায় প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত (সর্বশেষ বুধবার) মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৩২ হাজার নতুন বই এসে পৌঁছেছে। চাহিদা রয়েছে ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৩০২। শিক্ষা অফিসের হিসেব অনুযায়ী, জেলায় মোট ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১২৮টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। দুই মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার কাছে বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। তবে অন্য বছরের মতো বই উৎসব আয়োজনে করোনাভাইরাসের বিষয়টি সর্বাধিক বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও রয়েছে। অন্য বছরের মতো বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি এবার হবে না। বই বিতরণের জন্য সরকারি কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জড়ো করা হবে না। শ্রেণী অনুযায়ী ভাগ করে অভিভাবকদের কাছে বই বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি-বাড়ি বই পৌঁছে দেয়া হবে।
সদর উপজেলার ৭৪ নম্বর কুতুবআইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে বোঝাই করে রাখা হয়েছে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই। চাহিদা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হচ্ছে নতুন বই। এসবের তদারকি করছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলসান আরা বেগম।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন, জেলায় চাহিদা অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ নতুন বই ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে। বইগুলো বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার ৯৫ শতাংশ নতুন বই নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছে। গতকাল থেকে স্কুল পর্যায়ে নতুন বিতরণ শুরু হয়েছে। এবার জেলায় প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত (সর্বশেষ বুধবার) মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪৩২ হাজার নতুন বই এসে পৌঁছেছে। চাহিদা রয়েছে ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৩০২। শিক্ষা অফিসের হিসেব অনুযায়ী, জেলায় মোট ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১২৮টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। দুই মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের সবার কাছে বছরের প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। তবে অন্য বছরের মতো বই উৎসব আয়োজনে করোনাভাইরাসের বিষয়টি সর্বাধিক বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও রয়েছে। অন্য বছরের মতো বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি এবার হবে না। বই বিতরণের জন্য সরকারি কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জড়ো করা হবে না। শ্রেণী অনুযায়ী ভাগ করে অভিভাবকদের কাছে বই বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি-বাড়ি বই পৌঁছে দেয়া হবে।
সদর উপজেলার ৭৪ নম্বর কুতুবআইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে বোঝাই করে রাখা হয়েছে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই। চাহিদা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হচ্ছে নতুন বই। এসবের তদারকি করছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলসান আরা বেগম।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন, জেলায় চাহিদা অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ নতুন বই ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে। বইগুলো বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে।