পাপুলের পরিবারের ৬১৩ ব্যাংক একাউন্ট জব্দ

অর্থপাচার মামলায় উঠে আসবে আরও নাম : সিআইডি প্রধান

৩৮ কোটি ২২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের মোট ৮টি ব্যাংকের ৬১৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০ দশমিক দুই সাত একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০ দশমিক ২৭ একর জমি এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পত্তিও জব্দ তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংকে ৫৯০টি, প্রাইম ব্যাংকে ১৩টি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চারটি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে দুটি এবং সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকে একটি করে হিসাব পাওয়া গেছে।

এছাড়া ভূ-সম্পত্তির মধ্যে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ২২ একর, হোমনায় সাড়ে ৭ একর ও সিলেটে ৪৯ শতাংশ জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। গুলশান-২ এর ৯৫ নম্বর সড়কের সিইএন ডি-২ বাড়ির ৮/এ ও বি ঠিকানায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পাপুল-সেলিনা দম্পতির অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতার রূপ দিতে সহযোগিতা করেন। এজন্য ‘লিলাবালী’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছিলেন। মূলত এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই জেসমিন প্রধান পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।

এছাড়া জেসমিন প্রধানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। তার বোনের স্বামী এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। চলতি বছরের ৬ জুন এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েত সরকার। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে প্রথমে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়। এর পাশাপাশি দুদকের পক্ষ থেকে তার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। চলতি বছরের ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ২২ জুন সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও ২২ জুলাই জেসমিন ও সেলিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। দুদকের বাইরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি পাপুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার পল্টন থানায় মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

অর্থপাচার মামলায়

উঠে আসবে আরও নাম : সিআইডি প্রধান

এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেছেন, এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে করা মানিলন্ডারিং মামলায় তার শ্যালিকা ও মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসবে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে মামলায় তাদের নাম যুক্ত করা হবে। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) মো. ওমর ফারুক, ফিন্যানসিয়াল ক্রাইম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, মূলত পাপুলের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় করা মানবপাচার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য উঠে আসে। এ অভিযোগে গত মঙ্গলবার পল্টন মডেল থানায় পাপুল, তার শ্যালিকা ও মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তে আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তাধীন থাকায় এখনই কোন কিছু স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্তে যারই নাম উঠে আসুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পাপুল চক্রের ৫১৬টি ব্যাংক একাউন্ট ও এফডিআর চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো ১৩টি ব্যাংকের। যেখানে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করা হয়েছে। বর্তমানে একাউন্টগুলোতে ৩৮ কোটি টাকা জমা আছে। অন্য টাকা কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাপুলের বেশ কিছু প্রপার্টির খোঁজ পাওয়া গেছে। এগুলো জব্দ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে জব্দ করা হবে। জালিয়াতির মাধ্যমে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সিআইডি প্রধান বলেন, মানব পাচার চক্রের সদস্যদের যতই গ্রেফতার করা হোক না কেন তাতে কোন লাভ নেই। চক্রের মূল হোতাদের গ্রেফতার করতে না পারলে কোনভাবেই এটি বন্ধ হবে না। এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২

পাপুলের পরিবারের ৬১৩ ব্যাংক একাউন্ট জব্দ

অর্থপাচার মামলায় উঠে আসবে আরও নাম : সিআইডি প্রধান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

৩৮ কোটি ২২ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের মোট ৮টি ব্যাংকের ৬১৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০ দশমিক দুই সাত একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৩০ দশমিক ২৭ একর জমি এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পত্তিও জব্দ তালিকায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংকে ৫৯০টি, প্রাইম ব্যাংকে ১৩টি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চারটি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে দুটি এবং সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকে একটি করে হিসাব পাওয়া গেছে।

এছাড়া ভূ-সম্পত্তির মধ্যে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ২২ একর, হোমনায় সাড়ে ৭ একর ও সিলেটে ৪৯ শতাংশ জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। গুলশান-২ এর ৯৫ নম্বর সড়কের সিইএন ডি-২ বাড়ির ৮/এ ও বি ঠিকানায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পাপুল-সেলিনা দম্পতির অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতার রূপ দিতে সহযোগিতা করেন। এজন্য ‘লিলাবালী’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছিলেন। মূলত এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই জেসমিন প্রধান পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।

এছাড়া জেসমিন প্রধানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। তার বোনের স্বামী এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। চলতি বছরের ৬ জুন এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েত সরকার। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে প্রথমে মানবপাচার আইনে মামলা করা হয়। এর পাশাপাশি দুদকের পক্ষ থেকে তার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। চলতি বছরের ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ২২ জুন সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও ২২ জুলাই জেসমিন ও সেলিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। দুদকের বাইরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি পাপুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার পল্টন থানায় মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

অর্থপাচার মামলায়

উঠে আসবে আরও নাম : সিআইডি প্রধান

এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেছেন, এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে করা মানিলন্ডারিং মামলায় তার শ্যালিকা ও মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসবে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে মামলায় তাদের নাম যুক্ত করা হবে। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) মো. ওমর ফারুক, ফিন্যানসিয়াল ক্রাইম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, মূলত পাপুলের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় করা মানবপাচার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য উঠে আসে। এ অভিযোগে গত মঙ্গলবার পল্টন মডেল থানায় পাপুল, তার শ্যালিকা ও মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তে আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তাধীন থাকায় এখনই কোন কিছু স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে তদন্তে যারই নাম উঠে আসুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পাপুল চক্রের ৫১৬টি ব্যাংক একাউন্ট ও এফডিআর চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো ১৩টি ব্যাংকের। যেখানে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন করা হয়েছে। বর্তমানে একাউন্টগুলোতে ৩৮ কোটি টাকা জমা আছে। অন্য টাকা কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাপুলের বেশ কিছু প্রপার্টির খোঁজ পাওয়া গেছে। এগুলো জব্দ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে জব্দ করা হবে। জালিয়াতির মাধ্যমে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সিআইডি প্রধান বলেন, মানব পাচার চক্রের সদস্যদের যতই গ্রেফতার করা হোক না কেন তাতে কোন লাভ নেই। চক্রের মূল হোতাদের গ্রেফতার করতে না পারলে কোনভাবেই এটি বন্ধ হবে না। এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।