এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে হালদার) নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বাংলাদেশে থাকা বান্ধবীদের সঙ্গে। এরমধ্যে একজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে। তার ওই বান্ধবীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি পিকে হালদারের ওই বান্ধবীর বিষয়টি হাইকোর্টে শুনানির সময় উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে দুদকের এই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পিকে হালদারের অর্থপাচারের অনুসন্ধানে তার একাধিক বান্ধবীর খোঁজ মিলেছে। সেই বান্ধবীদের ৭০-৮০টি অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। পিকে হালদার বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে থাকছেন। এক সপ্তাহ সিঙ্গাপুরে থাকলে পরের সপ্তাহে দুবাই থাকছেন। ঠিকানা যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য তিনি ঘনঘন বাসা পরিবর্তন করছেন।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে। এদিকে আদালতের পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার অগ্রগতি প্রতিবেদন, মামলার এফআইআর ও সম্পত্তি-অর্থ জব্দের আদেশ হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। পিকে হালদারের আত্মীয় পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পিকে হালদারের সাবেক সহকর্মী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়। এরপর আদালত মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে পিকে হালদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করে বর্তমানে ‘কানাডায়’ আত্মগোপনে আছেন বলে জানিয়েছিল দুদকের একটি সূত্র। ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা লুট করে, প্রায় একই মালিকানাধীন আরও প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আতœসাৎ করে। এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে আতœসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই বললেও চলে। ফলে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে হালদার) নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বাংলাদেশে থাকা বান্ধবীদের সঙ্গে। এরমধ্যে একজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছে। তার ওই বান্ধবীর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি পিকে হালদারের ওই বান্ধবীর বিষয়টি হাইকোর্টে শুনানির সময় উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে দুদকের এই আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পিকে হালদারের অর্থপাচারের অনুসন্ধানে তার একাধিক বান্ধবীর খোঁজ মিলেছে। সেই বান্ধবীদের ৭০-৮০টি অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। পিকে হালদার বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে থাকছেন। এক সপ্তাহ সিঙ্গাপুরে থাকলে পরের সপ্তাহে দুবাই থাকছেন। ঠিকানা যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য তিনি ঘনঘন বাসা পরিবর্তন করছেন।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে। এদিকে আদালতের পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার অগ্রগতি প্রতিবেদন, মামলার এফআইআর ও সম্পত্তি-অর্থ জব্দের আদেশ হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। পিকে হালদারের আত্মীয় পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পিকে হালদারের সাবেক সহকর্মী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়। এরপর আদালত মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে পিকে হালদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট করে বর্তমানে ‘কানাডায়’ আত্মগোপনে আছেন বলে জানিয়েছিল দুদকের একটি সূত্র। ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা লুট করে, প্রায় একই মালিকানাধীন আরও প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আতœসাৎ করে। এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে আতœসাৎ ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই বললেও চলে। ফলে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।