নির্যাতনকারী পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রীসহ গ্রেফতার
রংপুর নগরীর পার্কের মোড় কোর্ট পাড়া এলাকায় প্রতিবন্ধি অটো চালককে মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি অটোসহ যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। নির্যাতনকারী পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায় রংপুর নগরীর পার্কের মোড় কোর্টপাড়া এলাকায় বসবাসকারী রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর একটি অটো ভাড়া নিয়ে চালাতো প্রতিবন্ধি নাজমুল ইসলাম। দুদিন আগে অটো চুরি হলে এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল হাসান প্রতিবন্ধি নাজমুলকে তার বাসায় ধরে এনে তার স্ত্রী সাথি বেগমসহ তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতনে নাজমুল মারা গেলে পুলিশ কনস্টেবল হাসান ও তার স্ত্রী সাথি বেগম নিহত প্রতিবন্ধি নাজমুলের লাশ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের সিলিং এর মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে প্রচার করে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি নামালে এলাকাবাসি দেখতে পায় নিহতের সব গুলো নখ থেতলানো শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। নিহত প্রতিবন্ধি নাজমুলকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে এলাকাবাসি হত্যাকারী পুলিশ কনস্টেবল হাসান ও তার স্ত্রী সাথি বেগমকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটৈান পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ঘেরাও করে দায়িদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ জনতার দাবির মুখে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথি বেগমকে গ্রেফতার করে।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে শত শত জনতা নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় রংপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় বেশ কয়েকটি অটোসহ যানবাহন ভাংচুর করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ নিয়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দু’ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের রংপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সন্ধা ৭টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান জানান এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২
নির্যাতনকারী পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রীসহ গ্রেফতার
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
রংপুর নগরীর পার্কের মোড় কোর্ট পাড়া এলাকায় প্রতিবন্ধি অটো চালককে মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি অটোসহ যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। নির্যাতনকারী পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায় রংপুর নগরীর পার্কের মোড় কোর্টপাড়া এলাকায় বসবাসকারী রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর একটি অটো ভাড়া নিয়ে চালাতো প্রতিবন্ধি নাজমুল ইসলাম। দুদিন আগে অটো চুরি হলে এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল হাসান প্রতিবন্ধি নাজমুলকে তার বাসায় ধরে এনে তার স্ত্রী সাথি বেগমসহ তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতনে নাজমুল মারা গেলে পুলিশ কনস্টেবল হাসান ও তার স্ত্রী সাথি বেগম নিহত প্রতিবন্ধি নাজমুলের লাশ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের সিলিং এর মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে প্রচার করে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি নামালে এলাকাবাসি দেখতে পায় নিহতের সব গুলো নখ থেতলানো শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। নিহত প্রতিবন্ধি নাজমুলকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে এলাকাবাসি হত্যাকারী পুলিশ কনস্টেবল হাসান ও তার স্ত্রী সাথি বেগমকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটৈান পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ঘেরাও করে দায়িদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ জনতার দাবির মুখে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথি বেগমকে গ্রেফতার করে।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে শত শত জনতা নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় রংপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় বেশ কয়েকটি অটোসহ যানবাহন ভাংচুর করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ নিয়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। পুলিশ লাঠি চার্জ করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দু’ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের রংপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সন্ধা ৭টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান জানান এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।