মূল মনোযোগটা দিতে হবে প্রত্যাবাসনেই

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার একটি অংশকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বিরোধিতা করে আসছিল।

স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিতে সাধ্যমতো উদ্যোগ নিয়েছে। রোহিঙ্গারা যেন সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিতে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদলসহ দেশি-বিদেশি ২২টি এনজিও সংস্থা ভাসানচর পরিদর্শন করেছে। সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি, অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা দেখে এনজিওদের সন্তুষ্টি প্রকাশ এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ভাসানচরে বসবাসের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তাদের সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

তবে পুনর্বাসনে নয়, মূল মনোযোগটা দিতে হবে প্রত্যাবাসনেই। এটা স্পষ্ট যে, রোহিঙ্গা সংকট দ্বিপক্ষীয় বিষয় হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক সংকট এবং এর সমাধানও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই সম্ভব। ইতিপূর্বে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে দু’দফা প্রত্যাবাসনের তারিখ ঠিক করা হলেও মায়ানমারের অসহযোগিতা কারণে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে দেশটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য মায়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।

রাজিবুল হাসান সৈকত

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪২

মূল মনোযোগটা দিতে হবে প্রত্যাবাসনেই

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার একটি অংশকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বিরোধিতা করে আসছিল।

স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিতে সাধ্যমতো উদ্যোগ নিয়েছে। রোহিঙ্গারা যেন সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিতে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদলসহ দেশি-বিদেশি ২২টি এনজিও সংস্থা ভাসানচর পরিদর্শন করেছে। সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি, অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা দেখে এনজিওদের সন্তুষ্টি প্রকাশ এবং রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ভাসানচরে বসবাসের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তাদের সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

তবে পুনর্বাসনে নয়, মূল মনোযোগটা দিতে হবে প্রত্যাবাসনেই। এটা স্পষ্ট যে, রোহিঙ্গা সংকট দ্বিপক্ষীয় বিষয় হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক সংকট এবং এর সমাধানও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই সম্ভব। ইতিপূর্বে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে দু’দফা প্রত্যাবাসনের তারিখ ঠিক করা হলেও মায়ানমারের অসহযোগিতা কারণে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে দেশটি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য মায়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।

রাজিবুল হাসান সৈকত