আগেরদিনের মতো গতকালও বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এদিন ডিএসইতে সূচক ১৬ মাস আর লেনদেন চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৫.০৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৮.৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর এই সূচকটি ১ বছর ৩ মাস ২৯ দিন বা ২৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট সূচকটি আজকের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ হাজার ২২৩.৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৩৭ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৪০.৪৯ পয়েন্ট এবং সিডিএসইসি ১৭.০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২০৩.৬৭ পয়েন্ট, ১৮৭৬.৭৩ এবং ১০৮১.৯৫ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ১ হাজার ৪০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। এছাড়া ডিএসইতে গতকালের লেনদেন ৪ মাস ৭ দিন বা ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৭ আগস্ট আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৮টির বা ৫৭.৭৭ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ৭৪টির বা ২০.৫৫ শতাংশের এবং ৭৮টি বা ২১.৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৪৪.৭২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৯.৩০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির দর। এছাড়া গতকাল সিএসইতে ৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৬টি শেয়ার ৬২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ২৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২০৩ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪ লাখ ৪ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।
এছাড়া এডিএন টেলিকমের ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ব্যাংক এশিয়ার ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ঢাকা ব্যাংকের ২ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, লিগ্যাসির ৫ লাখ টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৯০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৩১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৭০ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ কোটি ৪৫ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সেসর ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২২ লাখ ৩ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৫ লাখ টাকার, সাইফ পাওয়ারের ২১ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার, সিমটেক্সের ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ২ কোটি ৮ লাখ ৩ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ২ কোটি ৮০ লাখ ১৫ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
আগেরদিনের মতো গতকালও বড় উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। এদিন ডিএসইতে সূচক ১৬ মাস আর লেনদেন চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৫.০৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১৮.৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর এই সূচকটি ১ বছর ৩ মাস ২৯ দিন বা ২৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট সূচকটি আজকের চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৫ হাজার ২২৩.৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৩৭ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৪০.৪৯ পয়েন্ট এবং সিডিএসইসি ১৭.০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২০৩.৬৭ পয়েন্ট, ১৮৭৬.৭৩ এবং ১০৮১.৯৫ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ১ হাজার ৪০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। এছাড়া ডিএসইতে গতকালের লেনদেন ৪ মাস ৭ দিন বা ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৭ আগস্ট আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৮টির বা ৫৭.৭৭ শতাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দর কমেছে ৭৪টির বা ২০.৫৫ শতাংশের এবং ৭৮টি বা ২১.৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৪৪.৭২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৯.৩০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির দর। এছাড়া গতকাল সিএসইতে ৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ২৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৬টি শেয়ার ৬২ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ২৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২০৩ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪ লাখ ৪ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।
এছাড়া এডিএন টেলিকমের ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ব্যাংক এশিয়ার ৮৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, বারাকা পাওয়ারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, বিডি থাইয়ের ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ঢাকা ব্যাংকের ২ কোটি ২৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, গ্রামীণফোনের ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, লিগ্যাসির ৫ লাখ টাকার, লাফার্জহোলসিমের ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৯০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৩১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৭০ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ কোটি ৪৫ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সেসর ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২২ লাখ ৩ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৫ লাখ টাকার, সাইফ পাওয়ারের ২১ লাখ ৯৮ হাজার টাকার, সী পার্লের ১৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার, সিমটেক্সের ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ২ কোটি ৮ লাখ ৩ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ১৪ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ২ কোটি ৮০ লাখ ১৫ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৭৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকার এবং উত্তরা ফাইন্যান্সের ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।