নারায়ণগঞ্জ ও কক্সবাজারসহ আরও ৬ জেলায় চালু হলো ই-পাসপোর্ট সেবা। জেলাগুলো হলো- খাগড়াছড়ি, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, কক্সবাজার, বান্দরবন ও রাঙামাটি। গতকাল খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ছয়টি জেলায় ই-পাসেপোর্ট সেবার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় অনলাইনে যুক্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাসন্তী চাকমা, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মো. আইয়ুব চৌধুরী ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুর রহমান খান প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২২ জানুয়ারি থেকে ‘ই-পাসপোর্ট সেবায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সরকার উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অভিবাসন সংক্রান্ত এসডিজি অর্জনে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কার্যক্রমকে ডিজিটাল কার্যক্রমে রূপান্তরিত করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৭২টি পাসপোর্ট অফিস, ২৭টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশে অবস্থিত ৮০টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যঝুঁকি সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে দেশব্যাপী ই-পাসপোর্ট সম্প্রসারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৪টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এই সুবিধার আওতায় এসেছে। আজকে ৬টি আরপিও এর সংযুক্তির ফলে সর্বমোট ৭০টি আরপিওতে ই-পাসপোর্ট সুবিধা সম্প্রসারিত হলো। এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা সম্প্রসারিত হলো। পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার। পাসপোর্ট পেতে কেউ যাতে কোন ধরনের হয়রানি বা বাধার সম্মুখীন না হন এবং কোন অবাঞ্চিত ব্যক্তি যেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায় তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
নারায়ণগঞ্জ ও কক্সবাজারসহ আরও ৬ জেলায় চালু হলো ই-পাসপোর্ট সেবা। জেলাগুলো হলো- খাগড়াছড়ি, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, কক্সবাজার, বান্দরবন ও রাঙামাটি। গতকাল খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ছয়টি জেলায় ই-পাসেপোর্ট সেবার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ সময় অনলাইনে যুক্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাসন্তী চাকমা, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মো. আইয়ুব চৌধুরী ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুর রহমান খান প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২২ জানুয়ারি থেকে ‘ই-পাসপোর্ট সেবায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সরকার উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অভিবাসন সংক্রান্ত এসডিজি অর্জনে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব কার্যক্রমকে ডিজিটাল কার্যক্রমে রূপান্তরিত করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৭২টি পাসপোর্ট অফিস, ২৭টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশে অবস্থিত ৮০টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যঝুঁকি সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে দেশব্যাপী ই-পাসপোর্ট সম্প্রসারণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৪টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এই সুবিধার আওতায় এসেছে। আজকে ৬টি আরপিও এর সংযুক্তির ফলে সর্বমোট ৭০টি আরপিওতে ই-পাসপোর্ট সুবিধা সম্প্রসারিত হলো। এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট সেবা সম্প্রসারিত হলো। পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার। পাসপোর্ট পেতে কেউ যাতে কোন ধরনের হয়রানি বা বাধার সম্মুখীন না হন এবং কোন অবাঞ্চিত ব্যক্তি যেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায় তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।