স্মরণসভায় বক্তারা

সাংবাদিক রাহাত খান সবসময় দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবতেন

দেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম। সভায় রাহাত খানকে নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, যতদিন আমাদের ঐহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য এবং লালিত স্বপ্ন থাকবে, ততদিন রাহাত খান থাকবে। কেননা তিনি আত্মকেন্দ্রিক মানুষ ছিলেন না। তিনি সবসময় দেশের মানুষ ও রাজনীতি নিয়ে ভাবতেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাহাত খান তার লেখনীতে এ সমাজ ও কালকে ধারণ করেছেন। তার উপন্যাসের চরিত্রগুলো যেন আমাদের জীবনের কাহিনী। পাঠক সেখানে নিজেকে খুঁজে পায়। সাহিত্য ও সাংবাদিকতা উভয় জায়গাতেই তিনি অনন্য। তিনি অত্যন্ত ভালো একজন সম্পাদক ছিলেন, কর্মীদের ভালোবাসতেন। তিনি তার কাজের মধ্যেদিয়ে আমাদের মধ্যে আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন। রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান বলেন, আজ ২৪ তারিখ আমাদের ২৪তম বিবাহবার্ষিকী, অথচ আজ তাকে নিয়ে শোকসভায় কথা বলতে হচ্ছে।

অনেক মানুষকে দেখেছি, যারা এখন প্রতিষ্ঠিত, যারা কিছুদিন আগেও দাঁড়াতে পারতেন না। তাদের রাহাত খান বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। তারা শুধু অর্থ নয়, অন্য ঋণেও রাহাতের কাছে ঋণী। অথচ ও মারা যাওয়ার পর তারা একবার খবরও নেয়নি। রাহাত খান ভিন্ন মাত্রার এক মানুষ ছিল, শুধু দিয়েই গেছেন, প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছিল খুব কম। এ সময় অপর্ণা খান রাহাত খানের নামে একটি সাহিত্য পুরস্কার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, নানাভাবে কেটেছে রাহাত খানের জীবন।

সেই সবগুলো একত্রিত করলেই রাহাত খানের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। সাহিত্যে সিরিয়াস উপন্যাসের মধ্যে তিনি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছেন। রাহাত খান নিজে নিচু কণ্ঠের মানুষ থাকলেও তার লেখা ছিল অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠের। তার বিভিন্ন সময়ের কলামগুলো একত্রিত করলে একটা সময়কে তুলে ধরা হবে। সভায় কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতা-কর্মীরাসহ বিভিন্ন মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২

স্মরণসভায় বক্তারা

সাংবাদিক রাহাত খান সবসময় দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবতেন

image

দেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম। সভায় রাহাত খানকে নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, যতদিন আমাদের ঐহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য এবং লালিত স্বপ্ন থাকবে, ততদিন রাহাত খান থাকবে। কেননা তিনি আত্মকেন্দ্রিক মানুষ ছিলেন না। তিনি সবসময় দেশের মানুষ ও রাজনীতি নিয়ে ভাবতেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাহাত খান তার লেখনীতে এ সমাজ ও কালকে ধারণ করেছেন। তার উপন্যাসের চরিত্রগুলো যেন আমাদের জীবনের কাহিনী। পাঠক সেখানে নিজেকে খুঁজে পায়। সাহিত্য ও সাংবাদিকতা উভয় জায়গাতেই তিনি অনন্য। তিনি অত্যন্ত ভালো একজন সম্পাদক ছিলেন, কর্মীদের ভালোবাসতেন। তিনি তার কাজের মধ্যেদিয়ে আমাদের মধ্যে আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন। রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান বলেন, আজ ২৪ তারিখ আমাদের ২৪তম বিবাহবার্ষিকী, অথচ আজ তাকে নিয়ে শোকসভায় কথা বলতে হচ্ছে।

অনেক মানুষকে দেখেছি, যারা এখন প্রতিষ্ঠিত, যারা কিছুদিন আগেও দাঁড়াতে পারতেন না। তাদের রাহাত খান বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। তারা শুধু অর্থ নয়, অন্য ঋণেও রাহাতের কাছে ঋণী। অথচ ও মারা যাওয়ার পর তারা একবার খবরও নেয়নি। রাহাত খান ভিন্ন মাত্রার এক মানুষ ছিল, শুধু দিয়েই গেছেন, প্রাপ্তির প্রত্যাশা ছিল খুব কম। এ সময় অপর্ণা খান রাহাত খানের নামে একটি সাহিত্য পুরস্কার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতি, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, নানাভাবে কেটেছে রাহাত খানের জীবন।

সেই সবগুলো একত্রিত করলেই রাহাত খানের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। সাহিত্যে সিরিয়াস উপন্যাসের মধ্যে তিনি নিজস্ব ধারা তৈরি করেছেন। রাহাত খান নিজে নিচু কণ্ঠের মানুষ থাকলেও তার লেখা ছিল অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠের। তার বিভিন্ন সময়ের কলামগুলো একত্রিত করলে একটা সময়কে তুলে ধরা হবে। সভায় কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতা-কর্মীরাসহ বিভিন্ন মানুষ উপস্থিত ছিলেন।