ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কে মুক্তাগাছার নিমুরিয়াতে একটি পুরনো কালভার্ট ব্রিজ হঠাৎ ভেঙে পড়ায় দুইদিন ধরে ময়মনসিংহের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ দেয়া দিয়েছে। মেরামত করতে সড়ক ও জনপদের ধীরগতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ময়মনসিংহগামী একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপারের সময় নিমুরিয়ার কইল্লার খালের ওপর নির্মিত দেড় শতাধিক বছরের পুরাতন ছোট কালভার্ট ব্রিজটি ধসে পড়ে। এতে দুই দিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে রাস্তার দুই পাশে বাঁশ বেঁধে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শত শত যানবাহনকে অন্তত ২০ কিলোমিটার ঘুরে জামালপুর সড়কের চেচুয়া হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে দুই পাশে বাঁশ বেঁধে যোগযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক ও জনপদের পক্ষ থেকে বালু ও সুড়কি এনে রাখা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৪-৫ দিন সময় লাগবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। এই আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ময়মনসিংহের সাথে উত্তর বঙ্গের টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার শত শত যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে। স্থানীয় নিমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়া জানান, ব্রিটিশ আমলের নির্মিত কালভার্ট ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ার পরও প্রতিনিয়ত ভারি যানবাহন চলাচল করে এর ওপর দিয়ে। সঠিক দেখভাল না থাকায় কালভার্টিটি ভেঙ্গে পড়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী একটি বাসের চালক আব্দুল গফুর জানান, সড়ক ও জনপদ কোন কাজই সময়মতো করার চিন্তা করে না। এই কালভার্টটি দেখেন এত পুরাতন তারা আগেই কাজ করতে পারত কিন্তু করেনি। এখন ভেঙ্গ পড়ায় বড় দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। তারপরও তাদের তেমন কোন তোড়জোড় নাই। বিষয়গুলো সরকারের দেখা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভারী যান পারাপারের সময় এটি হঠাৎ করে ধসে পড়েছে। বেইলি ব্রিজ স্থাপন করে সাময়িকভাবে সড়ক চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ সড়কটিতে বেইলি সেতু স্থাপন শেষে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। এরপর ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২
এম. ইদ্রিছ আলী, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কে মুক্তাগাছার নিমুরিয়াতে একটি পুরনো কালভার্ট ব্রিজ হঠাৎ ভেঙে পড়ায় দুইদিন ধরে ময়মনসিংহের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ দেয়া দিয়েছে। মেরামত করতে সড়ক ও জনপদের ধীরগতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ময়মনসিংহগামী একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপারের সময় নিমুরিয়ার কইল্লার খালের ওপর নির্মিত দেড় শতাধিক বছরের পুরাতন ছোট কালভার্ট ব্রিজটি ধসে পড়ে। এতে দুই দিকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে রাস্তার দুই পাশে বাঁশ বেঁধে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শত শত যানবাহনকে অন্তত ২০ কিলোমিটার ঘুরে জামালপুর সড়কের চেচুয়া হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে দুই পাশে বাঁশ বেঁধে যোগযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক ও জনপদের পক্ষ থেকে বালু ও সুড়কি এনে রাখা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৪-৫ দিন সময় লাগবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। এই আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ময়মনসিংহের সাথে উত্তর বঙ্গের টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার শত শত যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। ব্যস্ততম এই সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে। স্থানীয় নিমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়া জানান, ব্রিটিশ আমলের নির্মিত কালভার্ট ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়ার পরও প্রতিনিয়ত ভারি যানবাহন চলাচল করে এর ওপর দিয়ে। সঠিক দেখভাল না থাকায় কালভার্টিটি ভেঙ্গে পড়ায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী একটি বাসের চালক আব্দুল গফুর জানান, সড়ক ও জনপদ কোন কাজই সময়মতো করার চিন্তা করে না। এই কালভার্টটি দেখেন এত পুরাতন তারা আগেই কাজ করতে পারত কিন্তু করেনি। এখন ভেঙ্গ পড়ায় বড় দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। তারপরও তাদের তেমন কোন তোড়জোড় নাই। বিষয়গুলো সরকারের দেখা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ভারী যান পারাপারের সময় এটি হঠাৎ করে ধসে পড়েছে। বেইলি ব্রিজ স্থাপন করে সাময়িকভাবে সড়ক চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ সড়কটিতে বেইলি সেতু স্থাপন শেষে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। এরপর ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।