বিদ্যুৎ খাত নিয়ে কৌশল পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন

গত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বেড়েছে, গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়েছে। তারপরও আর্থিক দায় বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ভর্তুকি ও ঋণের চাপ। গতকাল ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাত : ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগসমূহ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-এর (সিপিডি) আয়োজনে এই বিশেষজ্ঞ সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সামগ্রিক অবস্থান ও কৌশলগুলো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গড়ে তোলার উপর জোর দিয়ে ড. ফাহমিদা অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন।

সংলাপে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক খাত। কোভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভিজ্ঞতার আলোকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সামগ্রিক অবস্থান ও কৌশলগুলো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে। গত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়েছে। তারপরও আর্থিক দায় বাড়ছে, বাড়ছে ভর্তুকি ও ঋণের চাপ। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নত সঞ্চালন ও বিতরণ প্রক্রিয়া অপরিহার্য। জ্বালানি মিশ্রণ বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ করে কয়লা ও তেলভিত্তিক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে অদক্ষতা, দুর্নীতি ও অসঙ্গতি ইত্যাদি বন্ধের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন।

সংলাপে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রতিবেদনে বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়কালে (২০২১-২৫) বিদ্যুৎ খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভিজ্ঞতার আলোকে, সেই সঙ্গে কোভিড-পরবর্তী বাস্তবতার নিরিখে বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনাগুলো সাজানো প্রয়োজন। দেশের শতকরা প্রায় ৩৭ ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখনও ৪০ শতাংশের কম দক্ষতা মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। অদক্ষতার বিষয়ে নজর দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি মিশ্রণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষত নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ খাতের লক্ষ্য এবং কৌশল হিসেবে সিপিডি কিছু সুপারিশমালা পেশ করে। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতের যে চাহিদা তার একটি যৌক্তিক প্রক্ষেপণ প্রয়োজন। আবাসিক ও শিল্প খাতের চাহিদাকে এবং ভবিষ্যৎ চাহিদার শ্লথ প্রবৃদ্ধিকে বিবেচনায় রেখে চাহিদা প্রক্ষেপণ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তাড়াহুড়ো না করে সুস্থিরভাবে পরিকল্পনা করার সময় সরকারের হাতে রয়েছে। জ্বালানি মিশ্রণের জন্য অদক্ষ ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করা এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পকে গুরুত্ব দেয়ার কথাও উঠে আসে।

এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার গুণগত উন্নয়ন মনিটরিংয়ের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারকে (এনএলডিসি) গড়ে তোলা উচিত। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা)- কার্যক্রমে আরও গতিবৃদ্ধি প্রয়োজন। সিপিডি আরও সুপারিশ করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন (দায়মুক্তি আইন) থেকে বের হয়ে আসার চিন্তা করতে হবে। যে রাজস্ব চাপ রয়েছে সরকারের ওপর, তা কমিয়ে আনতে হবে। বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায় ও অদক্ষতার ওপরেও গুরুত্ব দিতে হবে।

ওয়েবিনারে স্রেডা’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি অনেকটাই সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে জ্বালানি মিশ্রণে এখনই পুরোপুরি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভর করা সম্ভব নয়। তবে ছাদের উপর সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরশক্তির ব্যবহার নিয়ে সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করছে। জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়েও পরিকল্পনা চলছে। বায়ু বিদ্যুৎ একটি বিকল্প উৎস হতে পারে। তাই সেটি নিয়ে আরও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে স্রেডা’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল-এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করব। বর্তমানে ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে জ্বালানি আমদানির পরিবর্তে জ্বালানি বিনিময় নীতির দিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি, অদক্ষতা ও আর্থিক দায় মোকাবিলা করতে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এছাড়া সংলাপে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, বুয়েটের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম এবং সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ-এর পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপটি মডারেট করেন। তিনি আরও একবার উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয়, জ্বালানি মিশ্রণে গুরুত্বারোপ এবং ট্রান্সমিশনে দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।

শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২

সিপিডির সংলাপ

বিদ্যুৎ খাত নিয়ে কৌশল পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

গত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বেড়েছে, গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়েছে। তারপরও আর্থিক দায় বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ভর্তুকি ও ঋণের চাপ। গতকাল ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাত : ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও উদ্যোগসমূহ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-এর (সিপিডি) আয়োজনে এই বিশেষজ্ঞ সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সামগ্রিক অবস্থান ও কৌশলগুলো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গড়ে তোলার উপর জোর দিয়ে ড. ফাহমিদা অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন।

সংলাপে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক খাত। কোভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভিজ্ঞতার আলোকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সামগ্রিক অবস্থান ও কৌশলগুলো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে। গত এক দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। গ্রাহকের সংখ্যাও বেড়েছে। তারপরও আর্থিক দায় বাড়ছে, বাড়ছে ভর্তুকি ও ঋণের চাপ। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নত সঞ্চালন ও বিতরণ প্রক্রিয়া অপরিহার্য। জ্বালানি মিশ্রণ বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ করে কয়লা ও তেলভিত্তিক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসঙ্গে অদক্ষতা, দুর্নীতি ও অসঙ্গতি ইত্যাদি বন্ধের দিকেও নজর দেয়া প্রয়োজন।

সংলাপে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রতিবেদনে বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়কালে (২০২১-২৫) বিদ্যুৎ খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভিজ্ঞতার আলোকে, সেই সঙ্গে কোভিড-পরবর্তী বাস্তবতার নিরিখে বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনাগুলো সাজানো প্রয়োজন। দেশের শতকরা প্রায় ৩৭ ভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখনও ৪০ শতাংশের কম দক্ষতা মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। অদক্ষতার বিষয়ে নজর দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি মিশ্রণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষত নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ খাতের লক্ষ্য এবং কৌশল হিসেবে সিপিডি কিছু সুপারিশমালা পেশ করে। এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতের যে চাহিদা তার একটি যৌক্তিক প্রক্ষেপণ প্রয়োজন। আবাসিক ও শিল্প খাতের চাহিদাকে এবং ভবিষ্যৎ চাহিদার শ্লথ প্রবৃদ্ধিকে বিবেচনায় রেখে চাহিদা প্রক্ষেপণ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তাড়াহুড়ো না করে সুস্থিরভাবে পরিকল্পনা করার সময় সরকারের হাতে রয়েছে। জ্বালানি মিশ্রণের জন্য অদক্ষ ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করা এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পকে গুরুত্ব দেয়ার কথাও উঠে আসে।

এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার গুণগত উন্নয়ন মনিটরিংয়ের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারকে (এনএলডিসি) গড়ে তোলা উচিত। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা)- কার্যক্রমে আরও গতিবৃদ্ধি প্রয়োজন। সিপিডি আরও সুপারিশ করে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন (দায়মুক্তি আইন) থেকে বের হয়ে আসার চিন্তা করতে হবে। যে রাজস্ব চাপ রয়েছে সরকারের ওপর, তা কমিয়ে আনতে হবে। বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায় ও অদক্ষতার ওপরেও গুরুত্ব দিতে হবে।

ওয়েবিনারে স্রেডা’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি অনেকটাই সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। বাংলাদেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে জ্বালানি মিশ্রণে এখনই পুরোপুরি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভর করা সম্ভব নয়। তবে ছাদের উপর সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌরশক্তির ব্যবহার নিয়ে সরকার ব্যাপকভাবে কাজ করছে। জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়েও পরিকল্পনা চলছে। বায়ু বিদ্যুৎ একটি বিকল্প উৎস হতে পারে। তাই সেটি নিয়ে আরও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে স্রেডা’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল-এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করব। বর্তমানে ক্লিন এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানিকে গুরুত্ব দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে জ্বালানি আমদানির পরিবর্তে জ্বালানি বিনিময় নীতির দিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি, অদক্ষতা ও আর্থিক দায় মোকাবিলা করতে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এছাড়া সংলাপে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, বুয়েটের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম এবং সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ-এর পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপটি মডারেট করেন। তিনি আরও একবার উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয়, জ্বালানি মিশ্রণে গুরুত্বারোপ এবং ট্রান্সমিশনে দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।