তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নির্ধারণে কৌশল প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য অংশীজনদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি কমিটি গঠন করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিআরপির ক্ষেত্রে বিরাট একটা অস্পষ্টতা আছে, কারা কখন টিআরপিতে ওপরে উঠে যায় বোঝা যায় না। অনেক সময় দেখা যায় একটা টেলিভিশন মানুষ দেখে না কিন্তু তারা টিআরপিতে অনেক উপরে, এরকম অনেক কিছু ঘটে। এজন্য টিআরপি কীভাবে নির্ধারিত হবে সেই কৌশল প্রণয়নের জন্য আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেব। সেই কমিটি নির্ধারণ করবে কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, টিআরপির ক্ষেত্রে নানা ধরনের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায় এবং সেখানে কীভাবে টিআরপি নির্ধারণ হয় তা নিয়েও অনেকে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সুতরাং, এই প্রশ্নের নিরসন হওয়া প্রয়োজন। কোন একটি প্রাইভেট সংস্থা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া টিআরপি দেয়ার কোন এখতিয়ার রাখে না। এটি নিয়ম-নীতির মধ্যে আসা প্রয়োজন। কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে তা সরকার এবং বেসরকারি অংশীজনরা মিলে সেই কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
বিদেশি কলাকুশলীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা দেশি গণমাধ্যমে প্রচার করতে চাইলে মোটা অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে অন্য দেশের শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা বাংলাদেশে প্রচার করা হয়, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এগুলো করে। এতে যেটি ঘটছে তাতে আমাদের দেশে যারা বিজ্ঞাপন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যারা বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নেন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, দেশের শিল্প বঞ্চিত হচ্ছে, দেশ থেকে টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, একইসঙ্গে গণমাধ্যমগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদেশি কলাকুশলী দিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিজ্ঞাপন তৈরি হতেই পারে, সেক্ষেত্রে তাদের মোটা অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হবে। এনবিআর সেই ট্যাক্স নির্ধারণ করে দেবে। আমাদের পক্ষ থেকে খুব সহসা এনবিআরকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হবে কীভাবে এটি হতে পারে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা এই করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে গত দশ মাসের মধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়াননি। আর আমাদের দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মানুষের কাছে মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং সরকার ও দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা তো বলেছিলেন, করোনা মহামারীতে রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হতে পারবে না। স্রষ্টার কৃপায় আর সরকারের প্রচেষ্টায় তাদের শঙ্কা-আশঙ্কাগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, দেশকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য। আর বাস্তবতা হচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপটি ছড়ানোর কারণে যখন আশপাশের দেশগুলো যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করেছে, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গতকাল সেটি না করার জন্য এবং যোগাযোগ পুনস্থাপন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নির্ধারণে কৌশল প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য অংশীজনদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি কমিটি গঠন করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, টিআরপির ক্ষেত্রে বিরাট একটা অস্পষ্টতা আছে, কারা কখন টিআরপিতে ওপরে উঠে যায় বোঝা যায় না। অনেক সময় দেখা যায় একটা টেলিভিশন মানুষ দেখে না কিন্তু তারা টিআরপিতে অনেক উপরে, এরকম অনেক কিছু ঘটে। এজন্য টিআরপি কীভাবে নির্ধারিত হবে সেই কৌশল প্রণয়নের জন্য আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেব। সেই কমিটি নির্ধারণ করবে কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, টিআরপির ক্ষেত্রে নানা ধরনের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায় এবং সেখানে কীভাবে টিআরপি নির্ধারণ হয় তা নিয়েও অনেকে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সুতরাং, এই প্রশ্নের নিরসন হওয়া প্রয়োজন। কোন একটি প্রাইভেট সংস্থা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া টিআরপি দেয়ার কোন এখতিয়ার রাখে না। এটি নিয়ম-নীতির মধ্যে আসা প্রয়োজন। কীভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে তা সরকার এবং বেসরকারি অংশীজনরা মিলে সেই কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
বিদেশি কলাকুশলীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা দেশি গণমাধ্যমে প্রচার করতে চাইলে মোটা অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে অন্য দেশের শিল্পীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা বাংলাদেশে প্রচার করা হয়, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এগুলো করে। এতে যেটি ঘটছে তাতে আমাদের দেশে যারা বিজ্ঞাপন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যারা বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নেন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন, দেশের শিল্প বঞ্চিত হচ্ছে, দেশ থেকে টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, একইসঙ্গে গণমাধ্যমগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদেশি কলাকুশলী দিয়ে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিজ্ঞাপন তৈরি হতেই পারে, সেক্ষেত্রে তাদের মোটা অঙ্কের ট্যাক্স দিতে হবে। এনবিআর সেই ট্যাক্স নির্ধারণ করে দেবে। আমাদের পক্ষ থেকে খুব সহসা এনবিআরকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হবে কীভাবে এটি হতে পারে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা এই করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে গত দশ মাসের মধ্যে জনগণের পাশে দাঁড়াননি। আর আমাদের দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মানুষের কাছে মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং সরকার ও দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা তো বলেছিলেন, করোনা মহামারীতে রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হতে পারবে না। স্রষ্টার কৃপায় আর সরকারের প্রচেষ্টায় তাদের শঙ্কা-আশঙ্কাগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, দেশকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য। আর বাস্তবতা হচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপটি ছড়ানোর কারণে যখন আশপাশের দেশগুলো যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করেছে, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গতকাল সেটি না করার জন্য এবং যোগাযোগ পুনস্থাপন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।