ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস গত চার দিন ধরে জেলার সাধারণ মানুষের জীবন ও গৃহপালিত প্রাণীদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। প্রায় অর্ধদিন সূর্যের দেখা মেলে না। সাধারণ কাজ-কর্ম অনেকাংশে অচল হয়ে থাকছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে লোকজন ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ব্যবসা এবং সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দিনমজুরদের জীবিকার জন্য অসহনীয় আবহাওয়ায় কাজ করতে হয় যদিও কর্মসংস্থানের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মেহেরপুরে কোন আবহাওয়া অফিস নেই তবে প্রতিবেশী জেলা আবহাওয়া অফিসের সূত্রমতে অঞ্চলের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। গত মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কুয়াশার কারণে কম ছিল।
গরম কাপড়ের অভাবে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র বিশেষত প্রবীণরা এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে। পুরনো কাপড় কেনার জন্য লোকজন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। দাম আগের বছরের তুলনায় বেশি বলে জানা গেছে। সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের একজন দরিদ্র শফিকুল ইসলাম পশুহাঁটের অস্থায়ী পুরনো গরম কাপড়ের দোকান থেকে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য পুরনো গরম কাপড় কিনেছিল।
তিনি জানান, পুরনো কাপড় হলেও দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। গ্রামাঞ্চলে কিছু জায়গায় দেখা গেছে, দরিদ্র লোকজন খড়কুটো জালিয়ে প্রচণ্ড শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সিভিল সর্জন ডা. নাসির উদ্দীন জানান, শীতজনিত কারণে তেমন কোন রোগীর আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিছু শিশু ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হলেও আশঙ্কাজনক নয়। কিছু প্রাইভেট চিকিৎসক জানান, তাদের কাছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা নিতে যারা আসছে তাদের বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক মানুষ।
গাংনী উপজেলা শহরের সচেতন মানুষ এই সংবাদাতাকে বলেছেন, জেলার দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে তীব্র শীতজনিত জটিলতা থেকে বাঁচাতে এখনই উষ্ণ কাপড় সরবরাহ করতে হবে। জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান জানান, জেলা প্রশাসন ইউনিয়ন পরিষদের মাধম্যে জেলার শীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও বিতরণ করা হবে।
শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, মেহেরপুর
ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাস গত চার দিন ধরে জেলার সাধারণ মানুষের জীবন ও গৃহপালিত প্রাণীদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। প্রায় অর্ধদিন সূর্যের দেখা মেলে না। সাধারণ কাজ-কর্ম অনেকাংশে অচল হয়ে থাকছে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে লোকজন ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ব্যবসা এবং সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দিনমজুরদের জীবিকার জন্য অসহনীয় আবহাওয়ায় কাজ করতে হয় যদিও কর্মসংস্থানের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মেহেরপুরে কোন আবহাওয়া অফিস নেই তবে প্রতিবেশী জেলা আবহাওয়া অফিসের সূত্রমতে অঞ্চলের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। গত মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কুয়াশার কারণে কম ছিল।
গরম কাপড়ের অভাবে দরিদ্র ও অতিদরিদ্র বিশেষত প্রবীণরা এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে। পুরনো কাপড় কেনার জন্য লোকজন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। দাম আগের বছরের তুলনায় বেশি বলে জানা গেছে। সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের একজন দরিদ্র শফিকুল ইসলাম পশুহাঁটের অস্থায়ী পুরনো গরম কাপড়ের দোকান থেকে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য পুরনো গরম কাপড় কিনেছিল।
তিনি জানান, পুরনো কাপড় হলেও দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। গ্রামাঞ্চলে কিছু জায়গায় দেখা গেছে, দরিদ্র লোকজন খড়কুটো জালিয়ে প্রচণ্ড শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সিভিল সর্জন ডা. নাসির উদ্দীন জানান, শীতজনিত কারণে তেমন কোন রোগীর আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিছু শিশু ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হলেও আশঙ্কাজনক নয়। কিছু প্রাইভেট চিকিৎসক জানান, তাদের কাছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের চিকিৎসা নিতে যারা আসছে তাদের বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক মানুষ।
গাংনী উপজেলা শহরের সচেতন মানুষ এই সংবাদাতাকে বলেছেন, জেলার দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে তীব্র শীতজনিত জটিলতা থেকে বাঁচাতে এখনই উষ্ণ কাপড় সরবরাহ করতে হবে। জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান জানান, জেলা প্রশাসন ইউনিয়ন পরিষদের মাধম্যে জেলার শীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও বিতরণ করা হবে।