বাঁশখালীতে স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে নাজেহালের অভিযোগ!

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নাজেহালের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকদের দেয়া অভিযোগের কথা বলে প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ করে অফিসের সব চাবি, নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা নিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া গতকাল বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-১১১৬/২০) দায়ের করেছেন। এছাড়াও এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ ও অবগতিপত্র প্রদান করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া।

বিভিন্ন দফতরে দায়েরকৃত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরী গত ১৬ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরই মধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়ার কাছ থেকে অফিসের সব চাবি, নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা নিয়ে নেন তিনি। এ সময় প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরী। জানা যায়, অফিসের দফতরের আলমিরাতে গুরুপ্তপুর্ণ কাগজপত্রসহ ১০ লক্ষ টাকা, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ২টি এফডিআর বই ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ বিদ্যালয়ের গোপনীয় ও মূল্যবান কাগজপত্র রয়েছে ।

বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘করোনা কালীন এ সময়ে বিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম নিয়ম অনুসারে চলমান রয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে এসে আমাকে সভাপতি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং অফিসের সব চাবি, নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সভাপতিকে ডাকা হয়েছিল। তিনি সময় নিয়েছিলেন কিন্ত আসেননি। ফলে অভিযোগের বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে।’ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে বিদ্যালয়ে ১ সেট চাবি সভাপতির কাছে থাকবে। নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা দেখার জন্য নিয়েছেন বলে জানান তিনি।’

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি

বাঁশখালীতে স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে নাজেহালের অভিযোগ!

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নাজেহালের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকদের দেয়া অভিযোগের কথা বলে প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ করে অফিসের সব চাবি, নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা নিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া গতকাল বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-১১১৬/২০) দায়ের করেছেন। এছাড়াও এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ ও অবগতিপত্র প্রদান করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া।

বিভিন্ন দফতরে দায়েরকৃত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরী গত ১৬ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরই মধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়ার কাছ থেকে অফিসের সব চাবি, নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা নিয়ে নেন তিনি। এ সময় প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরী। জানা যায়, অফিসের দফতরের আলমিরাতে গুরুপ্তপুর্ণ কাগজপত্রসহ ১০ লক্ষ টাকা, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ২টি এফডিআর বই ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ বিদ্যালয়ের গোপনীয় ও মূল্যবান কাগজপত্র রয়েছে ।

বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘করোনা কালীন এ সময়ে বিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম নিয়ম অনুসারে চলমান রয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে এসে আমাকে সভাপতি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং অফিসের সব চাবি, নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সভাপতিকে ডাকা হয়েছিল। তিনি সময় নিয়েছিলেন কিন্ত আসেননি। ফলে অভিযোগের বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা হয়েছে।’ ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো. নাজেম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে বিদ্যালয়ে ১ সেট চাবি সভাপতির কাছে থাকবে। নোটিশ খাতা ও রেজুলেশন খাতা দেখার জন্য নিয়েছেন বলে জানান তিনি।’