রাজশাহীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে পুকুরের মাছ লুট

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে খায়রুল ইসলাম নামের এক মাছচাষির পুকুর থেকে কয়েক দফায় প্রায় ২০০ মণ মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব জেমসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত গত মঙ্গলবার গোদাগাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই মাছ চাষি। ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম উপজেলার সুলতানগঞ্জ এলাকার এমাজ উদ্দীনের ছেলে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, খায়রুল উপজেলার মালকামলা গ্রামে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে দুটি পুকুর লিজ নেন। সেখানে মাছ ছাড়ার এক বছরেও তিনি কোনো মাছ উত্তোলন করেন নি। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে রাজশাহী কোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওহাব জেমস ও তার লোকজন মাছ লুট করতে থাকেন। খবর পেয়ে খায়রুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কয়েকজন অস্ত্রধারী তাকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ১০০ মণ মাছ লুট করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তারা গত ১৭ ও ১৮ নবেম্বর গভীররাতে আবারো ১০০ মণ মাছ লুট করেন। মাছ চাষি খায়রুল ইসলাম জানান, এর আগেও থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ মঙ্গলবার আবারও অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগের চারদিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এছাড়া অভিযোগের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত এ্যাডভোকেট জেমস ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাছচাষি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজশাহী কোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওহাব জেমস বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া চার বিঘা জমির পুকুর থেকে ২০০ মণ মাছ লুটের অভিযোগ হাস্যকর। তবে পুুকুরের মালিক আমার নিকটাত্মীয় এবং তার সঙ্গেই মাছচাষি খাইরুলের ঝামেলা চলছে। গোদাগাড়ি মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত মেসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রাজশাহীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে পুকুরের মাছ লুট

প্রতিনিধি, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে খায়রুল ইসলাম নামের এক মাছচাষির পুকুর থেকে কয়েক দফায় প্রায় ২০০ মণ মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব জেমসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত গত মঙ্গলবার গোদাগাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই মাছ চাষি। ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম উপজেলার সুলতানগঞ্জ এলাকার এমাজ উদ্দীনের ছেলে।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, খায়রুল উপজেলার মালকামলা গ্রামে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে দুটি পুকুর লিজ নেন। সেখানে মাছ ছাড়ার এক বছরেও তিনি কোনো মাছ উত্তোলন করেন নি। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে রাজশাহী কোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওহাব জেমস ও তার লোকজন মাছ লুট করতে থাকেন। খবর পেয়ে খায়রুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কয়েকজন অস্ত্রধারী তাকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ১০০ মণ মাছ লুট করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তারা গত ১৭ ও ১৮ নবেম্বর গভীররাতে আবারো ১০০ মণ মাছ লুট করেন। মাছ চাষি খায়রুল ইসলাম জানান, এর আগেও থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ মঙ্গলবার আবারও অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগের চারদিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এছাড়া অভিযোগের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত এ্যাডভোকেট জেমস ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাছচাষি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজশাহী কোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওহাব জেমস বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া চার বিঘা জমির পুকুর থেকে ২০০ মণ মাছ লুটের অভিযোগ হাস্যকর। তবে পুুকুরের মালিক আমার নিকটাত্মীয় এবং তার সঙ্গেই মাছচাষি খাইরুলের ঝামেলা চলছে। গোদাগাড়ি মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত মেসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।