ঘর বাণিজ্যে শতাধিক গৃহহীনের ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ মেম্বারের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সরকারি ঘর দেয়ার আশ্বাসে শতাধিক গৃহহীন ও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দেয়ার পর গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চর মরিচাকান্দি ও আশপাশের এলাকার শতাধিক গৃহহীন মানুষকে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য শাহজাহান মিয়া। কিন্তু ৩ বছর পার হলেও ঘর মিলেনি কারোরই। টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো ইউপি সদস্য হুমকি দিচ্ছেন তাদের। এ ব্যাপারে গত ২০শে ডিসেম্বর চরমরিচাকান্দি গ্রামের ২৮ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘর পেতে কেউ সুদে, কেউ ধার করে ইউপি সদস্যকে টাকা এনে দিয়েছেন। মিথ্যা আশ^াস দিয়ে দরিদ্রদের প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শাহজাহান মিয়া। চরমরিচাকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘ধার দেনা করে শাহজাহান মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা দিছি সরকারি ঘর দেয়ার জন্য। টাকাও দেয় না ঘরও দেয় না।’ রুশিয়া বেগম বলেন- ‘মেম্বর সরকারের ঘর দিব কইয়া ১০ হাজার টেহা নিয়া মাসের পর মাস খালি ঘুরাইতেছে। কইলেই মেম্বর খালি ডর-ভয় দেখায়। আমরা টেহা ফেরত চাই।

ইউপি সদস্য শাহজাহান এর দায় চাপাচ্ছেন চেয়ারম্যানের ওপর। সে ৩৬ জনের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নিয়ে চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, দরিদ্রদের কাছ থেকে সদস্য শাহজাহান টাকা নিয়েছে জানতে পেরে তিনি তাকে টাকা ফেরত দিতে বলেছেন। বিষয়টি তিনি ইউএনওকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। শাহজাহানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা জানান তিনি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, চরমরিচাকান্দি গ্রামের ২৮ জন দরিদ্র মানুষ শাহজাহান মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ঘর বাণিজ্যে শতাধিক গৃহহীনের ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ মেম্বারের

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সরকারি ঘর দেয়ার আশ্বাসে শতাধিক গৃহহীন ও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দেয়ার পর গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চর মরিচাকান্দি ও আশপাশের এলাকার শতাধিক গৃহহীন মানুষকে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য শাহজাহান মিয়া। কিন্তু ৩ বছর পার হলেও ঘর মিলেনি কারোরই। টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো ইউপি সদস্য হুমকি দিচ্ছেন তাদের। এ ব্যাপারে গত ২০শে ডিসেম্বর চরমরিচাকান্দি গ্রামের ২৮ জন ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ঘর পেতে কেউ সুদে, কেউ ধার করে ইউপি সদস্যকে টাকা এনে দিয়েছেন। মিথ্যা আশ^াস দিয়ে দরিদ্রদের প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শাহজাহান মিয়া। চরমরিচাকান্দি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘ধার দেনা করে শাহজাহান মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা দিছি সরকারি ঘর দেয়ার জন্য। টাকাও দেয় না ঘরও দেয় না।’ রুশিয়া বেগম বলেন- ‘মেম্বর সরকারের ঘর দিব কইয়া ১০ হাজার টেহা নিয়া মাসের পর মাস খালি ঘুরাইতেছে। কইলেই মেম্বর খালি ডর-ভয় দেখায়। আমরা টেহা ফেরত চাই।

ইউপি সদস্য শাহজাহান এর দায় চাপাচ্ছেন চেয়ারম্যানের ওপর। সে ৩৬ জনের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নিয়ে চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, দরিদ্রদের কাছ থেকে সদস্য শাহজাহান টাকা নিয়েছে জানতে পেরে তিনি তাকে টাকা ফেরত দিতে বলেছেন। বিষয়টি তিনি ইউএনওকেও মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। শাহজাহানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা জানান তিনি। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, চরমরিচাকান্দি গ্রামের ২৮ জন দরিদ্র মানুষ শাহজাহান মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।