‘নবাব এলএলবি’র মামলায় পরিচালক ও অভিনেতা গ্রেফতার স্পর্শিয়াকে অব্যাহতি

‘নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটি আংশিকভাবে অনলাইনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়া একজন নারী ও পুলিশের মধ্যে অশালীন ও আপত্তিকর সংলাপ বিনিময় হতে দেখা যাচ্ছে। যাতে একদিকে যেমন পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে, তেমনি নারীর প্রতিও অবমাননা করা হয়েছে। ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্পর্শিয়া আর পুলিশের চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শাহিন মৃধা নামের এক অভিনেতা। এই দৃশ্যটিতে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ২৫ডিসেম্বর দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক নাসিরুল আমিন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা (নম্বর ২১) দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি হিসেবে পরিচালক অনন্য মামুন, অভিনেতা শাহীন মৃধা ও সেলিব্রেটি অর্চিতা

স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা থাকলেও, মামলার এজাহার থেকে সেলিব্রেটি স্পর্শিয়ার নাম বাদ দেওয়ায় জনমনে কৌতূহল সৃস্টি হয়েছে। এবং এই নিয়ে গণমাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে পুলিশ জানায়, মামলার প্রথম এজাহারে তিন নম্বর আসামি হিসেবে অর্চিতা স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অপরাধের দায়ভার বিশ্লেষণ করে এজাহার থেকে এই অভিনেত্রীর নাম বাদ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মাহিয়া মাহি, অর্চিতা স্পর্শিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম ও শাহীন মৃধা। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেলিব্রেটি প্রডাকশন।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

‘নবাব এলএলবি’র মামলায় পরিচালক ও অভিনেতা গ্রেফতার স্পর্শিয়াকে অব্যাহতি

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

‘নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটি আংশিকভাবে অনলাইনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়া একজন নারী ও পুলিশের মধ্যে অশালীন ও আপত্তিকর সংলাপ বিনিময় হতে দেখা যাচ্ছে। যাতে একদিকে যেমন পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে, তেমনি নারীর প্রতিও অবমাননা করা হয়েছে। ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্পর্শিয়া আর পুলিশের চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন শাহিন মৃধা নামের এক অভিনেতা। এই দৃশ্যটিতে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ২৫ডিসেম্বর দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক নাসিরুল আমিন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা (নম্বর ২১) দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি হিসেবে পরিচালক অনন্য মামুন, অভিনেতা শাহীন মৃধা ও সেলিব্রেটি অর্চিতা

স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা থাকলেও, মামলার এজাহার থেকে সেলিব্রেটি স্পর্শিয়ার নাম বাদ দেওয়ায় জনমনে কৌতূহল সৃস্টি হয়েছে। এবং এই নিয়ে গণমাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে পুলিশ জানায়, মামলার প্রথম এজাহারে তিন নম্বর আসামি হিসেবে অর্চিতা স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অপরাধের দায়ভার বিশ্লেষণ করে এজাহার থেকে এই অভিনেত্রীর নাম বাদ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, নবাব এলএলবি চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মাহিয়া মাহি, অর্চিতা স্পর্শিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম ও শাহীন মৃধা। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেলিব্রেটি প্রডাকশন।