নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও অশিক্ষাসহ নানা কারণে নির্যাতিত হচ্ছে নারীরা। এক জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ নারী তাদের জীবনে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ হয় পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা। যৌতুক, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, তালাকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদ্যমান আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নেই। তাছাড়া এসব আইন সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ সচেতনও নয়।

নারীর ওপর সহিংসতার আরেকটি কারণ, সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। নারী নিজ পরিবারেও নির্যাতিত হচ্ছে। আবার পরিবার পেরিয়ে বাইরেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারী নিজ পরিবারের কাছেও সহিংসতার কথা বলতে পারেন না। দেখা যায়, পরিবারই নির্যাতিত নারীকে দোষী সাব্যস্ত করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাইলেও আইনের আশ্রয় নেয়া যায় না। পরিবার ও সন্তানের কথা ভেবে নিপীড়ন সহ্য করতে হয়।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যে কোন নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

শাহারিয়ার বেলাল

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা

দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও অশিক্ষাসহ নানা কারণে নির্যাতিত হচ্ছে নারীরা। এক জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ নারী তাদের জীবনে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ হয় পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা। যৌতুক, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, তালাকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদ্যমান আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ নেই। তাছাড়া এসব আইন সম্বন্ধে সাধারণ মানুষ সচেতনও নয়।

নারীর ওপর সহিংসতার আরেকটি কারণ, সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। নারী নিজ পরিবারেও নির্যাতিত হচ্ছে। আবার পরিবার পেরিয়ে বাইরেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারী নিজ পরিবারের কাছেও সহিংসতার কথা বলতে পারেন না। দেখা যায়, পরিবারই নির্যাতিত নারীকে দোষী সাব্যস্ত করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাইলেও আইনের আশ্রয় নেয়া যায় না। পরিবার ও সন্তানের কথা ভেবে নিপীড়ন সহ্য করতে হয়।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যে কোন নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

শাহারিয়ার বেলাল