বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মো. নূরুল আমিন

পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬ দফাকে সামনে নিয়ে জনগণের মাঝে গণজাগরণ দেখা দেয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের মাধ্যমে তা আরও সর্বব্যাপী হয়ে উঠে। অবশেষে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা- শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লাখ জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ৯ মাস সংগ্রামের ফসল হিসেবে জাতি অর্জন করে মহান বিজয়।

বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে এসে বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ৩১-১ ১৯৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে সাড়ে তিন বছরে উন্নয়নের শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হন। কিন্তু, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা হয়।

এ হত্যার ফলে এ দেশের উন্নয়ন গতিধারা সামরিক জাতাকলে পিষ্ঠ হয়ে অর্থনীত্রি চাকা উল্টো পথে চলে। বাংলাদেশে চলে অরাজকতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্ব। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে আসেন শেখ হাসিনা। তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র ভেদ করে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। এ সময়ে পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে কাজ করেন। যার ফলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। এ সময়ে খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করে এবং দারিদ্র্য সূচক ৪১.৬ থেকে ৩২ শতাংশে নেমে আসে। স্বাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এ সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আবার দেশকে এগিয়ে নিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি, রূপকল্প ২০২১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুধু শক্তিশালী নয় বরং হয়েছে সুষম ও জনকল্যাণমুখী । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ দারিদ্র্য নিরসনে, নারীর ক্ষমতায়নে, শিক্ষা বিস্তারে, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, পরিবেশ রক্ষায়, জেন্ডার সমতায়, স্যানিটেশনে, মাতৃমৃত্যু রোধে, শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে। যার ফলে অনেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির সংক্ষিপ্তসার নিচে উল্লেখ করা হলো :

বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২০২০ পর্যন্ত বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র :

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক নামক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৮ শতাংশ আর ভারতের প্রবৃদ্ধি কমবে ১০.৩ শতাংশ। যার ফলে ২০২০ পঞ্জিকা বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৮৮ মার্কিন ডলার আর একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৭৭ মার্কিন ডলার।

ভারতীয় গনমাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম করেছে, ভারত পূর্ব দিকে তাকাও : বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। আবার পাকিস্তানের টেলিভিশন টকশোতে উন্নয়ন পরামর্শক জাইঘাম খান বলেছেন, পাকিস্তানের উন্নয়ন যদি ঘটাতে চান সুইডেনকে না দেখে বাংলাদেশের দিকে তাকান। পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানান। বাস্তবেই বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়েছে তা নিম্নের সারণিতে দেখানো হলো :

পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় এটি এখন দৃশ্যমান। দেশবাসীর অপেক্ষা কবে এ সেতু দিয়ে চলাচল করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে এ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ৯.৩ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ) নির্মাণকাজ চলছে। মেট্রো রেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মিরেরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কসহ ১০০ অর্থনৈতিক জোন চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, বেকারত্ব কমবে, দারিদ্র্য নিরসন হবে, জিডিপি বাড়বে, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ হবে।

[লেখক : সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ,

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, (অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত)

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মো. নূরুল আমিন

পাকিস্তানি শোষনের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬ দফাকে সামনে নিয়ে জনগণের মাঝে গণজাগরণ দেখা দেয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের মাধ্যমে তা আরও সর্বব্যাপী হয়ে উঠে। অবশেষে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা- শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লাখ জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ৯ মাস সংগ্রামের ফসল হিসেবে জাতি অর্জন করে মহান বিজয়।

বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে এসে বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ৩১-১ ১৯৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে সাড়ে তিন বছরে উন্নয়নের শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হন। কিন্তু, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা হয়।

এ হত্যার ফলে এ দেশের উন্নয়ন গতিধারা সামরিক জাতাকলে পিষ্ঠ হয়ে অর্থনীত্রি চাকা উল্টো পথে চলে। বাংলাদেশে চলে অরাজকতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্ব। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে আসেন শেখ হাসিনা। তিনি শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র ভেদ করে ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন। এ সময়ে পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে কাজ করেন। যার ফলে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। এ সময়ে খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করে এবং দারিদ্র্য সূচক ৪১.৬ থেকে ৩২ শতাংশে নেমে আসে। স্বাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এ সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আবার দেশকে এগিয়ে নিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি, রূপকল্প ২০২১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুধু শক্তিশালী নয় বরং হয়েছে সুষম ও জনকল্যাণমুখী । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ দারিদ্র্য নিরসনে, নারীর ক্ষমতায়নে, শিক্ষা বিস্তারে, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, পরিবেশ রক্ষায়, জেন্ডার সমতায়, স্যানিটেশনে, মাতৃমৃত্যু রোধে, শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে। যার ফলে অনেক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির সংক্ষিপ্তসার নিচে উল্লেখ করা হলো :

বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২০২০ পর্যন্ত বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র :

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক নামক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৮ শতাংশ আর ভারতের প্রবৃদ্ধি কমবে ১০.৩ শতাংশ। যার ফলে ২০২০ পঞ্জিকা বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৮৮ মার্কিন ডলার আর একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৭৭ মার্কিন ডলার।

ভারতীয় গনমাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম করেছে, ভারত পূর্ব দিকে তাকাও : বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। আবার পাকিস্তানের টেলিভিশন টকশোতে উন্নয়ন পরামর্শক জাইঘাম খান বলেছেন, পাকিস্তানের উন্নয়ন যদি ঘটাতে চান সুইডেনকে না দেখে বাংলাদেশের দিকে তাকান। পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানান। বাস্তবেই বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়েছে তা নিম্নের সারণিতে দেখানো হলো :

পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় এটি এখন দৃশ্যমান। দেশবাসীর অপেক্ষা কবে এ সেতু দিয়ে চলাচল করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে এ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ৯.৩ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ) নির্মাণকাজ চলছে। মেট্রো রেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মিরেরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কসহ ১০০ অর্থনৈতিক জোন চালু হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, বেকারত্ব কমবে, দারিদ্র্য নিরসন হবে, জিডিপি বাড়বে, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ হবে।

[লেখক : সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা বিভাগ,

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, (অবসর-উত্তর ছুটি ভোগরত)