শীতার্ত গরিব অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে কম্বল পৌঁছে দিলেন এসিল্যান্ড ফারজানা ববি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পৌষের তীব্র শীতে সীমাহীন কষ্টে পড়েছে পাহাড়ের বয়স্ক সাধারণ মানুষগুলো। এ পরিস্থিতিতে শীতার্ত মানুষকে কম্বল জড়িয়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে রাতের শীত উপেক্ষা করে মধ্যরাতে পাড়ায়-মহলায় ছুটছেন জেলার মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি। কনকনে শীতে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে পারছে না তখন কম্বল নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন প্রশাসনের তরুণ এ কর্মকর্তা। শনিবার মধ্যরাতে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামে হতদরিদ্র মানুষকে উষ্ণতা দিতে কম্বল নিয়ে শীতার্ত মানুষের ঘরে ঘরে হাজির হন তিনি।

এ সময় তিনি মাটিরাঙ্গার পূর্ব খেদাছড়া, তাইফা, খানটিলা ও কাজীপাড়া এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে শীতে জবুথবু শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। গভীর রাতে ভাঙা ঘরে অসুস্থ আশি বছরের বৃদ্ধ মো. দেলোয়ার হোসেনের গায়ে পরম মমতায় কম্বল জড়িয়ে দেন প্রশাসনের এ কর্মকর্তা। এসিল্যান্ডের দেয়া কম্বলে উষ্ণতা পেয়েছে কাজীপাড়ার মানসিক ভারসাম্যহীন সত্তোরর্ধ্ব আমেনা বেগম। কম্বল পেয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে ফুটেছে প্রাপ্তির হাসি। কম্বল হাতে পেয়ে তৃপ্তির হাসি হেসে আয়তন নেছা এসিল্যান্ডের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। তিনি বলেন, কনকনে শীতে জীবন-যাপন কষ্টের হয়ে পড়েছে। কম্বল পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন আমেনা বেগম।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

খাগড়াছড়িতে

শীতার্ত গরিব অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে কম্বল পৌঁছে দিলেন এসিল্যান্ড ফারজানা ববি

প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পৌষের তীব্র শীতে সীমাহীন কষ্টে পড়েছে পাহাড়ের বয়স্ক সাধারণ মানুষগুলো। এ পরিস্থিতিতে শীতার্ত মানুষকে কম্বল জড়িয়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে রাতের শীত উপেক্ষা করে মধ্যরাতে পাড়ায়-মহলায় ছুটছেন জেলার মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি। কনকনে শীতে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে পারছে না তখন কম্বল নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন প্রশাসনের তরুণ এ কর্মকর্তা। শনিবার মধ্যরাতে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন গ্রামে হতদরিদ্র মানুষকে উষ্ণতা দিতে কম্বল নিয়ে শীতার্ত মানুষের ঘরে ঘরে হাজির হন তিনি।

এ সময় তিনি মাটিরাঙ্গার পূর্ব খেদাছড়া, তাইফা, খানটিলা ও কাজীপাড়া এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে শীতে জবুথবু শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। গভীর রাতে ভাঙা ঘরে অসুস্থ আশি বছরের বৃদ্ধ মো. দেলোয়ার হোসেনের গায়ে পরম মমতায় কম্বল জড়িয়ে দেন প্রশাসনের এ কর্মকর্তা। এসিল্যান্ডের দেয়া কম্বলে উষ্ণতা পেয়েছে কাজীপাড়ার মানসিক ভারসাম্যহীন সত্তোরর্ধ্ব আমেনা বেগম। কম্বল পেয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে ফুটেছে প্রাপ্তির হাসি। কম্বল হাতে পেয়ে তৃপ্তির হাসি হেসে আয়তন নেছা এসিল্যান্ডের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। তিনি বলেন, কনকনে শীতে জীবন-যাপন কষ্টের হয়ে পড়েছে। কম্বল পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন আমেনা বেগম।