পাপুল পরিবারের ৬৭০ ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের পৃথক দুই মামলায় মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকা লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ৬৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ পৃথক শুনানিতে এ আদেশ দেন। এরমধ্যে দুদকের মামলায় পাপুল ও তার পরিবারের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব এবং সিআইডির মামলায় ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে পাপুল পরিবারের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের উপপরিচালক ও মামলার বাদী মো. সালাউদ্দিনের আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদলত সংসদ সদস্য পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা এবং মেয়ের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। একই আদেশে পাপুল দম্পতির পরিবারের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তিও ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সিআইডির করা অপর আরেকটি মামলায় সংসদ সদস্য পাপুল, তার ব্যবসা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে জব্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির আবেদনের অর্থ পাচারের অরেক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত পাপুলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গির। শুনানিতে তিনি দুদকের আবেদনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। গত ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে এ মামলায় আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এমপি পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত মানিলন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোন আয়ের উৎস নেই। এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোন উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে গত ২২ ডিসেম্বর সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন বাদী হয়ে পল্টন থানায় ‘মানিলন্ডারিং’ প্রতিরোধ আইনে অন্য মামলা করেন। মামলায় পাপুল ছাড়াও তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জেডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আলম লিটনের মালিনাধীন কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল এবং কোম্পানি ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫-৬ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, এ মামলার আসামিরা ‘সংঘবদ্ধভাবে মানবপাচারের মাধ্যমে অন্যূন ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধ আয় করেন। এই আয়ের প্রকৃত উৎস গোপনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদে রূপান্তর, ভোগবিলাসে ব্যয় এবং অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন মর্মে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

আদালত সূত্র জানায়, সিআইডির করা অর্থপাচার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক আরেক আদেশে এমপি পাপুলসহ ৮ জনের ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জেডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আলম লিটনের মালিনাধীন কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল এবং এই কোম্পানির ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা ।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, এর আগে একই আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ ৪ জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। একই আদালত সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক আদেশে পাপুল ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পেলেন স্ত্রী ও মেয়ে

এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এই দুই আসামি উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশে মোতাবেক তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন এবং আদালত জামিন দেন।

গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েত পুলিশ। মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মামলা করা হয়। বর্তমানে দেশটির কারাগারে রয়েছে পাপুল। আগামী ২৮ জানুয়ারি তার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

পাপুল পরিবারের ৬৭০ ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের পৃথক দুই মামলায় মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকা লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ৬৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ পৃথক শুনানিতে এ আদেশ দেন। এরমধ্যে দুদকের মামলায় পাপুল ও তার পরিবারের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব এবং সিআইডির মামলায় ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে পাপুল পরিবারের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের উপপরিচালক ও মামলার বাদী মো. সালাউদ্দিনের আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদলত সংসদ সদস্য পাপুল, তার স্ত্রী, শ্যালিকা এবং মেয়ের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। একই আদেশে পাপুল দম্পতির পরিবারের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তিও ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সিআইডির করা অপর আরেকটি মামলায় সংসদ সদস্য পাপুল, তার ব্যবসা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে জব্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির আবেদনের অর্থ পাচারের অরেক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত পাপুলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গির। শুনানিতে তিনি দুদকের আবেদনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। গত ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে এ মামলায় আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এমপি পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত মানিলন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোন আয়ের উৎস নেই। এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোন উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে গত ২২ ডিসেম্বর সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন বাদী হয়ে পল্টন থানায় ‘মানিলন্ডারিং’ প্রতিরোধ আইনে অন্য মামলা করেন। মামলায় পাপুল ছাড়াও তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জেডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আলম লিটনের মালিনাধীন কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল এবং কোম্পানি ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫-৬ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, এ মামলার আসামিরা ‘সংঘবদ্ধভাবে মানবপাচারের মাধ্যমে অন্যূন ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধ আয় করেন। এই আয়ের প্রকৃত উৎস গোপনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদে রূপান্তর, ভোগবিলাসে ব্যয় এবং অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন মর্মে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

আদালত সূত্র জানায়, সিআইডির করা অর্থপাচার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক আরেক আদেশে এমপি পাপুলসহ ৮ জনের ৫৩টি ব্যাংক হিসাবে জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জেডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আলম লিটনের মালিনাধীন কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল এবং এই কোম্পানির ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা ।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, এর আগে একই আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ ৪ জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। একই আদালত সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক আদেশে পাপুল ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পেলেন স্ত্রী ও মেয়ে

এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এই দুই আসামি উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশে মোতাবেক তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন এবং আদালত জামিন দেন।

গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েত পুলিশ। মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মামলা করা হয়। বর্তমানে দেশটির কারাগারে রয়েছে পাপুল। আগামী ২৮ জানুয়ারি তার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।