করোনার ভয়াবহতা চরাঞ্চলে সেভাবে না পৌঁছালেও দারিদ্র্যতা যেন তার আগেই পৌঁছে গেছে। করোনার সঙ্গে একাধিকবার বন্যা এসেও চরের মানুষের যাপিত জীবনকে আরও তছনছ করে দিয়ে গেছে। ফলে চরের মানুষকে আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। এদিকে চরে উৎপাদিত সবজি ও ফসলের ন্যায্য দাম চরের কৃষকরা পাচ্ছে না। কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় পর্যন্ত উঠছে না। এমন অবস্থায় প্রেক্ষিতে চরের মানুষের সুরক্ষায় বিশেষ নজর ও বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
গতকাল সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)-এর সহযোগিতায় ‘আলোকিত চর’ প্রকল্পের আওতায় ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স ও সমুন্নয় আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ : চরাঞ্চলের প্রস্তুতি এবং ৮ দফা দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম, এসকেএনএসআর নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এনসিএর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ অন্যরা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক হাসান মিল্লাত।
সম্মেলনে বলা হয় দেশের মোট জনসংখ্যার ৭% চরবাসী। মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশেরও চরভূমি বলে ধরে নেয়া হয়। দেশের প্রায় ৪০টি জেলার শতাধিক উপজেলার অংশবিশেষে চরসমূহ বিস্তৃত। ভৌগোলিক বিচার-বিশ্লেষণে চরাঞ্চল বাংলাদেশের উচ্চমাত্রার দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। তীব্র নদী ভাঙন, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বেকারত্ব এসব মোকাবিলা করেই বছরের পর বছর প্রায় চরের মানুষ তাদের বাঁচার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। চরাঞ্চলের মানুষের জন্য এখনও খাদ্যসহ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। করোনা আসার পর চরের মানুষকে আরও নিত্যনিতুন সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সম্মেলনে যে ৮ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয় এরমধ্যে রয়েছে- রাজশাহীসহ দেশের সব চর এলাকাতে কোভিড-১৯ প্রেক্ষিতে চরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, চরের উইমেন হেডেড হাউজহোল্ডের জন্য ত্রাণ ও মাসিক আর্থিক ভাতা নিশ্চিত করা, চরের বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নিয়মিত ভাতা ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের কৃষক ও কৃষাণী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ০% সুদে কৃষিঋণ সহায়তা দেয়া, চরে উৎপাদিত সব কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সরকারের সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের নারী ও শিশুদের খাদ্যসহায়তা প্রদানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, চরের নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে, চরের মৌসুমী শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান।
সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
করোনার ভয়াবহতা চরাঞ্চলে সেভাবে না পৌঁছালেও দারিদ্র্যতা যেন তার আগেই পৌঁছে গেছে। করোনার সঙ্গে একাধিকবার বন্যা এসেও চরের মানুষের যাপিত জীবনকে আরও তছনছ করে দিয়ে গেছে। ফলে চরের মানুষকে আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। এদিকে চরে উৎপাদিত সবজি ও ফসলের ন্যায্য দাম চরের কৃষকরা পাচ্ছে না। কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় পর্যন্ত উঠছে না। এমন অবস্থায় প্রেক্ষিতে চরের মানুষের সুরক্ষায় বিশেষ নজর ও বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
গতকাল সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)-এর সহযোগিতায় ‘আলোকিত চর’ প্রকল্পের আওতায় ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স ও সমুন্নয় আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ : চরাঞ্চলের প্রস্তুতি এবং ৮ দফা দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম, এসকেএনএসআর নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এনসিএর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানসহ অন্যরা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক হাসান মিল্লাত।
সম্মেলনে বলা হয় দেশের মোট জনসংখ্যার ৭% চরবাসী। মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশেরও চরভূমি বলে ধরে নেয়া হয়। দেশের প্রায় ৪০টি জেলার শতাধিক উপজেলার অংশবিশেষে চরসমূহ বিস্তৃত। ভৌগোলিক বিচার-বিশ্লেষণে চরাঞ্চল বাংলাদেশের উচ্চমাত্রার দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। তীব্র নদী ভাঙন, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বেকারত্ব এসব মোকাবিলা করেই বছরের পর বছর প্রায় চরের মানুষ তাদের বাঁচার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। চরাঞ্চলের মানুষের জন্য এখনও খাদ্যসহ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। করোনা আসার পর চরের মানুষকে আরও নিত্যনিতুন সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সম্মেলনে যে ৮ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয় এরমধ্যে রয়েছে- রাজশাহীসহ দেশের সব চর এলাকাতে কোভিড-১৯ প্রেক্ষিতে চরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, চরের উইমেন হেডেড হাউজহোল্ডের জন্য ত্রাণ ও মাসিক আর্থিক ভাতা নিশ্চিত করা, চরের বয়স্ক নারী-পুরুষের জন্য নিয়মিত ভাতা ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের কৃষক ও কৃষাণী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ০% সুদে কৃষিঋণ সহায়তা দেয়া, চরে উৎপাদিত সব কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে সরকারের সহায়তা নিশ্চিত করা, চরের নারী ও শিশুদের খাদ্যসহায়তা প্রদানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, চরের নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে, চরের মৌসুমী শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান।