তদন্ত হতে হবে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ

মানব পাচারসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৯৮ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হচ্ছে মাত্র ২ ভাগের। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে নিষ্পত্তি হওয়া ১৪টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে মিলেছে এমন চিত্র। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ৪৪৩টি মানব পাচারের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জানুয়ারি মাসে একটি মামলায় একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। নিষ্পত্তি হওয়া বাকি মামলাগুলোয় সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

মানব পাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ সংক্রান্ত মামলায় বিপদগ্রস্ত কিছু মানুষ রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবিধান চাইছেন। তাদের সুবিচার না পাওয়াটা পরিতাপের বিষয়। অপরাধের বিচার না হলে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

মানব পাচারের ঘটনায় সাধারণত এর কোন দলিল বা নথিপত্র থাকে না। মূলত প্রাথমিক পর্যায়ের দালালেরা গ্রেফতার হয়। তদন্তে ঘাটতি থাকায় অনেক আসামি খালাস পায়। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তে দুর্বলতার কারণে মূল আসামি ছাড়াও অন্যদের আসামি করা হয়। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিকমতো আদালতে হাজির করা হয় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া এবং সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের। মানব পাচার মামলার তদন্ত যেন স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে। সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে হবে। বিচারক, আইনজীবী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হবেন।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

মানব পাচার মামলা

তদন্ত হতে হবে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ

মানব পাচারসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৯৮ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হচ্ছে মাত্র ২ ভাগের। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে নিষ্পত্তি হওয়া ১৪টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে মিলেছে এমন চিত্র। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ৪৪৩টি মানব পাচারের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জানুয়ারি মাসে একটি মামলায় একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। নিষ্পত্তি হওয়া বাকি মামলাগুলোয় সব আসামি খালাস পেয়েছেন।

মানব পাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এ সংক্রান্ত মামলায় বিপদগ্রস্ত কিছু মানুষ রাষ্ট্রের কাছে প্রতিবিধান চাইছেন। তাদের সুবিচার না পাওয়াটা পরিতাপের বিষয়। অপরাধের বিচার না হলে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

মানব পাচারের ঘটনায় সাধারণত এর কোন দলিল বা নথিপত্র থাকে না। মূলত প্রাথমিক পর্যায়ের দালালেরা গ্রেফতার হয়। তদন্তে ঘাটতি থাকায় অনেক আসামি খালাস পায়। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তে দুর্বলতার কারণে মূল আসামি ছাড়াও অন্যদের আসামি করা হয়। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ ঠিকমতো আদালতে হাজির করা হয় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

অপরাধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া এবং সাক্ষী ও প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব পুলিশের। মানব পাচার মামলার তদন্ত যেন স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে। সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে হবে। বিচারক, আইনজীবী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে বিচারপ্রার্থীরা হতাশ হবেন।