দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৪৭৯ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৩২ জন। সব মিলিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৮০ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৩ হাজার ৩১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬১৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৭টি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার সাত দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৮৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জন পুরুষ ও নারী চার জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন। এছাড়া খুলনা ও রংপুর বিভাগে এক জন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৭ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ৯৭০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৬০৬ জন। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৪৭৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬৯৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৮১ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯০০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৭৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৯৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫২৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৪৭৯ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৩২ জন। সব মিলিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৮০ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৩ হাজার ৩১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬১৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৭টি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার সাত দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৮৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জন পুরুষ ও নারী চার জন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন। এছাড়া খুলনা ও রংপুর বিভাগে এক জন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৭ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ৯৭০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৬০৬ জন। উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৪৭৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬৯৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৮১ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯০০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৭৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৯৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৯৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫২৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।