শেখ হাসিনা সরকার পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ একটি মহল পার্বত্য এলাকা এবং সারাদেশ শান্তিতে থাকুক তা চায় না। তিনি বলেন, দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, তারা পার্বত্য এলাকার শান্তিতে ও খুশি নয়। গতকাল রাঙ্গামাটির সাজেকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডিসিএইচটি এমটিবি চ্যালেঞ্জ ২০২০’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবং এরশাদ সরকার শান্তি চুক্তি করেনি। এতে ক্রমাগত অশান্তির কারণে এখানকার বহু মানুষ শরণার্থী হয়েছে। অনেকে ভিন্ন পথে যোগ দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করে নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পাহাড়ে চিরস্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। বহু শরণার্থী আবার ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের বিদ্যমান শান্তি-সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও স্যোসাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে ক্রীড়া চর্চা ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। নিজেকে সাইক্লিস্ট পরিচয় দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আয়োজিত সাইকেল র‌্যালিতে অংশ নিতে পছন্দ করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ফ্রান্সে আয়োজিত সাইকেল প্রতিযোগিতা বিশে^ প্রশংসিত। আজকের এ প্রতিযোগিতা একদিন বিশে^ প্রশংসিত হবে এবং পৃথিবীর অন্য দেশের সাইক্লিস্টরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এজন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়মিত রাখতে হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উঁচু-নিচু বন্ধুর ও দুর্গম পথ সাজেক থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা দেশে বেশ সাড়া ফেলেছে। এর কারণে আগের চেয়ে অধিক পর্যটক এ এলাকায় বেড়াতে আসবে। ফলে পাহাড়ি সৌন্দর্য আরও বিকশিত ও আকর্ষীত হবে। পর্যটন শিল্পে গতিশীলতা ফিরে আসবে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, এক সময় পার্বত্য এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা হতো, দেখানো হতো। সে পরিবেশ এখন নেই। পাহাড়ের উন্নয়নের প্রতি সরকার অধিক মনোযোগ দিয়েছে। এ অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। পাহাড়ের মানুষ সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ সদস্য ও উপজাতীয় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্স-এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা বক্তৃতা করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর ২০৩ ব্রিগ্রেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ফয়জুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মমিনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. মোদাচ্ছের আহমদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংশ প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংশ প্রু চৌধুরী, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ও ফ্ল্যাগ নাড়িয়ে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। এ প্রতিযোগিতায় ৬ জন নারী প্রতিযোগীসহ ১০০ জন সাইক্লিস্ট অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা দ্বিতীয় দিন রাঙ্গামাটি এবং সমাপনী দিন বান্দরবানের থানচি যাবে। এ সময় তারা প্রায় ৩০০ কি.মি. পথ পাড়ি দেবে।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শেখ হাসিনা সরকার পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ একটি মহল পার্বত্য এলাকা এবং সারাদেশ শান্তিতে থাকুক তা চায় না। তিনি বলেন, দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, তারা পার্বত্য এলাকার শান্তিতে ও খুশি নয়। গতকাল রাঙ্গামাটির সাজেকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডিসিএইচটি এমটিবি চ্যালেঞ্জ ২০২০’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবং এরশাদ সরকার শান্তি চুক্তি করেনি। এতে ক্রমাগত অশান্তির কারণে এখানকার বহু মানুষ শরণার্থী হয়েছে। অনেকে ভিন্ন পথে যোগ দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করে নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পাহাড়ে চিরস্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। বহু শরণার্থী আবার ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের বিদ্যমান শান্তি-সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্টে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও স্যোসাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে ক্রীড়া চর্চা ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। নিজেকে সাইক্লিস্ট পরিচয় দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আয়োজিত সাইকেল র‌্যালিতে অংশ নিতে পছন্দ করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ফ্রান্সে আয়োজিত সাইকেল প্রতিযোগিতা বিশে^ প্রশংসিত। আজকের এ প্রতিযোগিতা একদিন বিশে^ প্রশংসিত হবে এবং পৃথিবীর অন্য দেশের সাইক্লিস্টরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এজন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়মিত রাখতে হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উঁচু-নিচু বন্ধুর ও দুর্গম পথ সাজেক থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা দেশে বেশ সাড়া ফেলেছে। এর কারণে আগের চেয়ে অধিক পর্যটক এ এলাকায় বেড়াতে আসবে। ফলে পাহাড়ি সৌন্দর্য আরও বিকশিত ও আকর্ষীত হবে। পর্যটন শিল্পে গতিশীলতা ফিরে আসবে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, এক সময় পার্বত্য এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা হতো, দেখানো হতো। সে পরিবেশ এখন নেই। পাহাড়ের উন্নয়নের প্রতি সরকার অধিক মনোযোগ দিয়েছে। এ অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। পাহাড়ের মানুষ সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার সংসদ সদস্য ও উপজাতীয় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্স-এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা বক্তৃতা করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর ২০৩ ব্রিগ্রেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ফয়জুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মমিনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো. মোদাচ্ছের আহমদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংশ প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংশ প্রু চৌধুরী, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ও ফ্ল্যাগ নাড়িয়ে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। এ প্রতিযোগিতায় ৬ জন নারী প্রতিযোগীসহ ১০০ জন সাইক্লিস্ট অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা দ্বিতীয় দিন রাঙ্গামাটি এবং সমাপনী দিন বান্দরবানের থানচি যাবে। এ সময় তারা প্রায় ৩০০ কি.মি. পথ পাড়ি দেবে।