নতুন প্রজন্মের জন্য তিমির নন্দীর উদ্যোগ

তিমির নন্দী, একাধারে একজন শব্দসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক। গত বছর গুণী এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব সঙ্গীত জীবনে চলার পথে ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। এই উপলক্ষে তার সুরে ‘মেঘলা দু’চোখ’ নামের ১৪টি গানের একটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে জি-সিরিজের ব্যানারে। নতুন খবর হচ্ছে, তিমির নন্দী তার সুরে নতুন প্রজন্মের অনেক সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে নতুন নতুন গান তুলে দিচ্ছেন। এরইমধ্যে দেশাত্মবোধ ও আধুনিক এই গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিমির নন্দী বলেন, ‘মূলত বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক সৈয়দ মোস্তফা কামালই আমাকে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের দিয়ে কিছু গান তৈরি করার অনুরোধ করেন। তাই বাংলাদেশ বেতারে আমার সুরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু দেশের গান এবং আধুনিক গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি গান রেকর্ড হয়েছে। আরও কিছু গান রেকর্ডিং করা বাকি রয়েছে।’

তিমির নন্দীর এই আয়োজনে গানগুলো লিখেছেন রঙ্গু শাহাবুদ্দীন, মো. রফিকুল হাসান, খোকন সিরাজুল ইসলাম, আয়েত হোসেন উজ্জ্বল, সালমা আক্তার। নতুন ও পুরোনো শিল্পীদের মধ্যে যারা গান গেয়েছেন এবং গাইবেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন লীনু বিল্লাহ, মোখলেসুল ইসলাম নীলু, জীনাত রেহানা, তানভীর আলম সজীব, শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি, ছন্দা চক্রবর্ত্তী, স্মরলিপি, সন্দীপন, রন্টি দাস, নিশীতা বড়ুয়া, মুহিন, চম্পা বণিক, শাহিনা হক, রাজীব, হিমাদ্রি বিশ্বাস, প্রিয়াংকা গোপ, রেবেকা সুলতানাসহ আরও অনেকে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পশ্চিমবঙ্গে চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামে তিমির নন্দীর এক আত্মীয় দুটি গান দিয়ে তাকে সুর করতে বলেন। সেই থেকে সুরকার হিসেবে তার কাজ শুরু। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ঢাকায় বন্ধুদের নিয়ে ‘রজনী’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন করেন। তখন বন্ধুদের লেখা অনেক গানেরই সুর করেছেন। প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন বিটিভির ধারাবাহিক নাটক ‘শংকিত পদযাত্রা’র। এই নাটকে ড. আব্দুল মতিনের কথায় ‘বাঁধন খুলে দিলাম’ তার গাওয়া এবং সুর করা, যা সেই সময়ে ভীষণ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।

বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৫ পৌষ ১৪২৭, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

নতুন প্রজন্মের জন্য তিমির নন্দীর উদ্যোগ

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

তিমির নন্দী, একাধারে একজন শব্দসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক। গত বছর গুণী এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব সঙ্গীত জীবনে চলার পথে ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন। এই উপলক্ষে তার সুরে ‘মেঘলা দু’চোখ’ নামের ১৪টি গানের একটি অ্যালবামও প্রকাশিত হয়েছে জি-সিরিজের ব্যানারে। নতুন খবর হচ্ছে, তিমির নন্দী তার সুরে নতুন প্রজন্মের অনেক সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে নতুন নতুন গান তুলে দিচ্ছেন। এরইমধ্যে দেশাত্মবোধ ও আধুনিক এই গানগুলোর রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিমির নন্দী বলেন, ‘মূলত বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক সৈয়দ মোস্তফা কামালই আমাকে নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের দিয়ে কিছু গান তৈরি করার অনুরোধ করেন। তাই বাংলাদেশ বেতারে আমার সুরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু দেশের গান এবং আধুনিক গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি গান রেকর্ড হয়েছে। আরও কিছু গান রেকর্ডিং করা বাকি রয়েছে।’

তিমির নন্দীর এই আয়োজনে গানগুলো লিখেছেন রঙ্গু শাহাবুদ্দীন, মো. রফিকুল হাসান, খোকন সিরাজুল ইসলাম, আয়েত হোসেন উজ্জ্বল, সালমা আক্তার। নতুন ও পুরোনো শিল্পীদের মধ্যে যারা গান গেয়েছেন এবং গাইবেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন লীনু বিল্লাহ, মোখলেসুল ইসলাম নীলু, জীনাত রেহানা, তানভীর আলম সজীব, শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি, ছন্দা চক্রবর্ত্তী, স্মরলিপি, সন্দীপন, রন্টি দাস, নিশীতা বড়ুয়া, মুহিন, চম্পা বণিক, শাহিনা হক, রাজীব, হিমাদ্রি বিশ্বাস, প্রিয়াংকা গোপ, রেবেকা সুলতানাসহ আরও অনেকে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পশ্চিমবঙ্গে চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামে তিমির নন্দীর এক আত্মীয় দুটি গান দিয়ে তাকে সুর করতে বলেন। সেই থেকে সুরকার হিসেবে তার কাজ শুরু। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ঢাকায় বন্ধুদের নিয়ে ‘রজনী’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন করেন। তখন বন্ধুদের লেখা অনেক গানেরই সুর করেছেন। প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন বিটিভির ধারাবাহিক নাটক ‘শংকিত পদযাত্রা’র। এই নাটকে ড. আব্দুল মতিনের কথায় ‘বাঁধন খুলে দিলাম’ তার গাওয়া এবং সুর করা, যা সেই সময়ে ভীষণ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।